!! চোর!! সম্পূর্ণ নাটক রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

নাটকরে শুরুতে দেখা যায় মফিজের বউ মফিজকে অনেক কথা শুনাচ্ছে। মফিজ এই গ্রামেই বসবাস করে। কিন্তু মফিজের একটাই সমস্যা সে চোর। তার একটা শিষ্য আছে নাম বদি। বয়স অনেক হয়েছে তবুও তার চুরি বিদ‍্যা শেখা শেষ হচ্ছে না। তোর মফিজের বউ এর কথা মফিজের আর ভালো লাগছে না তাই সে বাড়ির বাইরে চলে যায় সাথে যায় বদিও। তারা গ্রামের একটা জায়গাই বসে কয়লা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করছে। তখন ঐখানে গ্রামের প্রধান শিক্ষক আসে। এবং বলে মফিজ জেল থেকে কবে বের হলে। মফিজ চুরি করে সেজন্য কয়েকদিন পরপর সে জেলে যায়। মফিজ বলে এই একসপ্তাহ। পুলিশ কোন প্রমাণ পাই নাই শুধু শুধু ধরে নিয়ে গেছিল। আমি চুরি ছেড়ে দিয়েছি।

---

---

---

---

এরপর প্রধান শিক্ষক বলে চুরি ছেড়ে দাও এসব ভালো কাজ না। যাইহোক এরপর প্রধান শিক্ষক চলে যায় এবং বদি মফিজকে বলে সে যে স্কুলের ৫০ বস্তা গম চুরি করেছে সেটা আমরা বলতে গেছি। যাইহোক এরপর দেখা যায় মফিজ এবং বদি রাতে পুকুর থেকে কী যেন তুলছে। আগেরদিন চুরি করে সেটা ভালো করে প‍্যাকেটে বেঁধে পুকুরে রেখে দিয়েছিল। এরপর তারা ঐ চুরি করা জিনিস নিয়ে গ্রামের এক গন‍্যমাণ‍্য লোকের কাছে যায়। তার নাম বসির। গ্রামের লোকের কাছে সে খুবই ভালো কিন্তু সে চুরির মালামাল ক্রয় করে। তো মফিজরা তার কাছেই চুরির মাল বিক্রি করে। মফিজ যা চুরি করে তাতে প্রায় ১০ হাজার টাকা মতো মালামাল ছিল। কিন্তু বসির বলে আমি ৩০০ টাকা দেব।

---

---

---

---

তখন মফিজ বলে এতো কম দামে আমি দিতে পারব না। বসির এর একটা নিয়ম আছে সে দাম বলার পর একটা কথা বললে ৫০ টাকা করে কমে যায়। মফিজের কোনো উপায় নাই ঐ দামেই বিক্রি করতে হয়। এরপর বাড়ি এসে খেতে বসে মফিজ ও বদি। তখন মফিজ এর বউ বলে আপনারা যদি চুরি দিয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন রাতে কোথায় যান। মফিছ বলে মাছ ধরতে হয়। মফিজের বউ বলে একদিনও তো একটা মাছ বাড়িতে আনতে দেখলাম না। তখন বদি বলে ভাবিসাব আমরা তো জেলে না মাছ ধরার নিয়মকানুন কিছুই জানি না। তাই মাছ পাই না। এরপর রাতটা কেটে যায়।

---

---

---

---

পরেরদিন সকালে পুলিশ এসে মফিজ এবং বদিকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে বসির এর সাথে দেখা হয়।বসির বলে স‍্যার চোরদের উচিত শিক্ষা দেবেন। পুলিশ নিয়ে গিয়ে মফিজ এবং বদিকে খুব মারে। মফিজের অভ‍্যাস থাকায় কিছু হয় না। কিন্তু বদি খুবই অসুস্থ‍্য হয়ে যায়। সে বেশ কয়েকবার রক্ত বমি করে। এরপর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। বাড়িতে মফিজ এবং বদি আসে। মফিজ অসুস্থ‍্য হয়ে শুয়ে পড়ে। এবং মফিজ দেখে বাড়িতে তার ছোট মেয়ে বউ না খাওয়া। এবং মফিজের অবস্থা দেখে সে সিদ্ধান্ত নেয় সে আর চুরি করবে না। সে একটা দোকান দেবে।

---

---

---

---

এরপর মফিজ বসিরের কাছে যায়। বসির পুকুরে মাছ ধরছে। মফিজ ভাবে আমি এতোদিন তার কাছে মালামাল বিক্র করছি। সে অবশ‍্যই আমাকে সাহায্যে করবে। মফিজ বলে আমাকে কিছু টাকা ধর দেবেন দোকান দেব চুরি আর করব না। এটা শুনে বসির বলে উওম চিন্তা কিন্তু কোনো টাকা দিতে পারব না। মফিজের খুব রাগ হয়। তাই সে ভাবে আজ আমি শেষ চুরি করব এবং এটা করব ঐ বসিরের বাড়িতে। এটা শুনে অসুস্থ‍্য বলি বলে আমিও আপনার সাথে যাব। জোৎস্না রাতে সাধারণত চুরি করতে হয় না। কিন্তু সেদিন তারা চুরি করতে হয়। গিয়ে যখন মাটি খুড়ছে। আগে সিদেল চুরির প্রচলন ছিল। সে সময়ে বসির চাচা ঠিক পেয়ে যায়। এবং বলে তোমরা দাড়িও আমি আসছি। ওটা দেখে বদি দৌড় দেয়। কিন্তু মফিজ জায়গাই দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ বসির বন্দুক বের করে নিয়ে এসে গুলি করে মফিজকে মেরে ফেলে। এখানেই নাটকটা শেষ হয়।

---

---

নাটকের শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

হুমায়ুন আহমেদ মানেই অসাধারণ কিছু। এই নাটকে আশি নব্বইয়ের দশকের গ্রামর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমাদের সমাজে যেমন মফিজের মতো চোর আছে। তেমনি আছে বসিরের মতো ছদ্মবেশী খারাপ মানুষ। মফিজ চুরি করে এটা সবাই জানে। তবে মফিজের মানবতা ছিল সে কখনো নিজ গ্রামে চুরি করত না। কিন্তু শেষবারে রাগ অভিমান থেকে বসিরের বাড়ি চুরি করতে যায়। কিন্তু বসির আড়ালে চুরির মালামাল ক্রয় বিক্রয় করে। কিন্তু গ্রামের মানুষদের কাছে ভালো সাজে। মফিজ শেষ পযর্ন্ত নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভালো পথে ফিরে আসতে চাই। কিন্তু কোনো খারাপ মানুষ যদি ভালো হতে চাই তাহলে আমাদের সমাজ তাদের বিশ্বাস করে সুযোগ দেয় না। অনেক শিক্ষনীয় একটা নাটক ছিল।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০

---

---

নাটকের লিংক

---

---