আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
একই শহরে থাকা বন্ধু গুলো যখন আলাদা হয়ে যায় ভিন্ন ভিন্ন শহরে থাকতে শুরু করে বছরে বা ছমাসে একবার দেখা হয়। তখন ব্যাপার টা বেশ অন্যরকম হয়ে যায়। তেমনই একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে। আমার বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন এখন গাজীপুরে কয়েকজন ঢাকাতে থাকে। এবং আমি বাড়িতে থাকি। ঈদের ছুটিতে সবাই মোটামুটি বাড়ি এসেছে। কিন্তু যে যার নিজের কাজে একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। যার ফলে কারো সাথেই আর দেখা করা হয় নাই। ইকরার সাথে হঠাৎ দেখা। ইকরার চলে যাওয়ার কথা থাকলেও ও এখন পযর্ন্ত যায়নি। তো ইকরা আমাকে বলল চলো কাল সবাই একসঙ্গে দেখা করি। আমি বললাম ঠিক আছে কখন কোথায় ফোন করে বলে দিও। পরশুদিন বিকেলে ইকরার ফোন পেয়ে রেডি হয়ে যায়। আমাদের দেখা করার স্থান ঠিক করা হয় বতর্মানে আমাদের শহরের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত জায়গা ব্রীজ।
যথারীতি আমি বের হয় সন্ধ্যার একটু আগে। কিন্তু আমার একটা স্বভাব বলেন আর অভ্যাস আমি যেকোন জায়গাই সবার আগে পৌছে যায়। এইদিনই ঠিক তাই হয়েছিল। আমি সবার আগে পৌছে গেলাম। গিয়ে দেখি এখনও কেউ আসেন। মাঝে মাঝে আমার এই অভ্যাস টার কারণে আমার বেশ রাগ হয়। মোটামুটি সবাই আমাকে অপেক্ষা করায়। যাইহোক এরপর ফোন দিলে একে একে সবাই আসে। আমি রাসেল, ইকরা, রাব্বি। রাব্বি তার পরের দিনই চলে যাবে। ইকরা এবং রাসেলেরও যাওয়ার সময় প্রায় এগিয়ে এসেছে। সবাই মিলে ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে কথা বলা গল্প করা শুরু করলাম। মোটামুটি বেশ ভালো গরম ছিল। তবে ব্রীজের উপর বাতাস থাকায় একটু স্বস্তি লাগছিল।
বন্ধুরা একসঙ্গে হলে পুরানো দিনের কথা নিয়ে মজা করা কিছুটা মন খারাপ করা এগুলো লেগেই থাকে। তবে পুরাতন প্রেমিকা কে নিয়ে যখন কথা তোলা হয় তখন ঘটনা গুলো অন্যদিকে চলে যায় হা হা। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে গল্প করতে করতে অনেক টা সময় কেটে যায়। এইতো আজ থেকে একবছর আগেও তো প্রতিদিন সবার সাথে দেখা হতো। ক্লাসে একসঙ্গে বসে সবাই ক্লাস করতাম। ক্লাসের ফাঁকেই কত হাস্যকর কথায় মেতে উঠত ক্লাস তার ঠিক নেই। অথচ এক বছরের ব্যবধানে আমরা শুধুমাত্র দেখা করার জন্য সময় বের করেছি। ব্যাপার টা খুবই দুঃখজনক। ঐদিন প্রচণ্ড গরম ছিল। ব্রীজের থেকে ঐপাশে যাওয়ার মাথায় বেশ কিছু শরবত এর দোকান ছিল। আমি এতো পরিমাণ পানি পিপাসা লেগেছিল অন্যরা একটা বা দুইটা খেলেও আমি প্রায় পাঁচটা লেবুর শরবত খেয়ে ফেলি। আমার এই খাওয়া দেখে ওরা অবশ্য একটু অবাক হয়ে যায়। কিন্তু কিছু করার নেই। পানি পিপাসা লাগলে আমার কিছু স্মরণে থাকে না। আর এই গরমে আমার পিপাসা টা একটু অতিরিক্ত লাগছে।
কয়েক ঘন্টা এভাবে কথা বলে আড্ডা দেওয়ার পর আমাদের আড্ডা শেষ করার সময় চলে আসে। এর কারণ আগামীকাল যেহেতু রাব্বি চলে যাবে বাড়িতে গিয়ে ওর ব্যাগ পএ গোছানোর একটা ব্যাপার আছে। সেজন্য আমাদের আড্ডা টা শেষ করতে হয়। একটা ব্যাপার বলি মোটামুটি সবাই শহর টা ছেড়ে বাইরে চলে গিয়েছে। সেখানে মানিয়েও নিয়েছে। কিন্তু আমার যেতে ইচ্ছা করছে না। কোন এক অদৃশ্য মায়া আমাকে বারবার টেনে ধরছে। এমন একটা অবস্থা যেন যেতে দিতে চাইছে না। আমার এর আগের ইন্টারভিউতে মার্চে যেটা দিয়েছিলাম আমার চাকরি টা হয়েই গেছিল। কিন্তু আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে অনুরোধ করে বলেছিলাম এটা যেন না হয়। এবারে রোজার পুরো মাস টা যেন এলাকায় থাকতে পারি। পরবর্তীতে সেটাই হয়। আমি চাকরি টা করিনি। যদিও ওটা আমার ডিপার্টমেন্টের বাইরে ছিল এটাও একটা কারণ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পরে বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। সত্যি বলতে কুমারখালী শহরের এখন প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গোলাম কিবরিয়া সেতুটা। তবে ভাই কোন জায়গায় দেরিতে পৌঁছানো থেকে আগে আগে পৌঁছানো ভালো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মতো আমি ও কোথাও গেলে সময়ের আগেই চলে যাই।আপনি অনেক দিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা করলেন।আর চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। আপনি পিপাসায় ৫ গ্লাস লেবুর শরবত খেয়েছেন।আসলে যে গরম পরেছে তাতে পানি, শরবত খাওয়া যায়,অবাক হওয়ার কিছুই নাই।অদৃশ্য মায়ায় গ্রাম ছেড়ে কোথাও যেতে পারছেন না। ভালো কোন সুযোগ পেয়ে গেলে তখন ঠিক ই চলে যাবেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit