আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে ধারণা নেই। একশ্রেণির মানুষ যদি শুনে আপনি অনলাইনে কাজ করেন বা ফ্রিল্যান্সার তারা বলবে আপনি বেকার। আর অনেক মেয়ের বাবা আছে এই ইনকাম এর কথা শুনলে আপনার সঙ্গে মেয়েই দিবে না। কারণ তাদের ধারণা অনলাইন ইনকাম সাময়িক সময়ের জন্য। এটা দিয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব না। বা এটা পেশা হিসেবে নেওয়া অসম্ভব। যারা ভালো স্কিল সম্পূর্ণ বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাদের অন্তত অনলাইনে কাজের কোনো অভাব হয় না এটা আমার ধারণা। আবার কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনলাইন ইনকামের নামে হয়ে গেল প্রতারণা। MTFE নামক একটা কোম্পানি প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও। এখন এখানে যারা প্রতারণার স্বীকার হয়েছে তাদের ধারণা হয়ে গেছে অনলাইন ইনকাম মনে হয় এমনই। কিন্তু এখানে যারা ইনভেস্ট করেছিল তাদের অধিকাংশই জানেই না ক্রিপ্টো বা ব্লকচেইন কী।
যাইহোক ওদিকে আর যাব না। আজ থেকে বছর পাঁচ বছর আগে অনলাইন ইনকাম আমার কাছে ছিল স্বপ্নের একটা বিষয়। ২০২০ সালে স্টিমিট এর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে বিষয়টি আমার কাছে স্বপ্ন থেকে বাস্তবে পরিণত হয়। কিন্তু স্টিমিট এর আগে আমি অনলাইন ইনকামের স্বাদ পেয়েছিলাম তবে সেটা পরোক্ষভাবে। আজ এই বিষয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিব। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় এটি। ২০১৮ সালের কথা। ঐ সময়ে বাংলাদেশ থেকে যারা অনলাইনে ইনকাম করতো তাদের অধিকাংশ ফাইবার মার্কেটে কাজ করতো। আমার তখন সামান্য একটা স্মার্ট ফোনও ছিল না। তখন সারাদিন স্কুল বন্ধু আড্ডা খেলাধুলা নিয়ে থাকতাম। এবং কয়েকটা টিউশনি করতাম। তবে আমার এলাকার আমার বড় ভাই কয়েকজন ছিল তাদের সঙ্গে আমার আবার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কারণ আমি আমার সমবয়সীদের থেকে তাদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতাম।
তো তাদের মধ্যে একজন ছিল উনার ল্যাপটপ ছিল। উনি আবার এই অনলাইনের দিক থেকে একটু অভিজ্ঞ এবং কৌতূহলী ছিলেন।। তো উনি ফাইবার মার্কেটে একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করেন। এরপর বেশ কিছু গিগ তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে। উনি সাধারণত বিভিন্ন বার্থডে উইস বা বিবাহ বার্ষিকী এর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও তৈরির কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তো ঐ গিগগুলো তৈরি করতে বেশ কয়েকজনের প্রয়োজন হয়। উনি আমাকে বলেন তুই কী করবি? আমি একেবারে রাজি হয়ে যায়। মূলত আমাদের কাজ ছিল প্রথমে ঐ ব্যক্তির নাম নিয়ে বার্থডে উইস করে পরে মিউজিকের সঙ্গে এক মিনিট মতো নাঁচা এইটুকুই। তো বেশ কয়েক প্রকার গিগ তৈরি করি। এরপর উনি সেগুলো এডিট করে সুন্দর করে আপলোড দেন। তারপর বেশ কয়েকদিন কেটে যায় কিন্তু আমরা কোনো অর্ডার পাই না। এভাবে আরও কিছুদিন দেখার পরেও কোনো লাভ হয় না। পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত নেয় গিগগুলো পূণরায় করব এবং একটু অন্যভাবে করব। এবং পরবর্তীতে আমরা আরও ইউনিকভাবে গিগ করি।
এবং সেগুলো আপলোড দেওয়ার পরের দিনই আমরা একটা অর্ডার পাই। সেই কাজটা করে দেওয়ার দুইদিন পর আরও তিনটা অর্ডার পাই। তারপর থেকে মোটামুটি প্রতিদিনই অর্ডার পেতাম। এক মাস পরে উনি টাকা উইথড্রো দেন। আমাদের ঐ বড় ভাই সহ আমরা প্রায় পাঁচজন ছিলাম। সেই সময়ে প্রথম একমাস পর আমি আমার ভাগে ৪২০০ টাকা পাই। যা ঐ সময়ে অনেক ছিল। সেদিন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম যেটা বলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এভাবে বেশ কয়েকমাস চলে। কিন্তু মানুষ যা ভাবে সেটা কী আর হয়। তার কিছুদিন পরেই ঐ ভাইয়ের সবগুলো একাউন্ট ফাইবার থেকে ব্লকড করে দেয়। কারণ হিসেবে দেখাই চায়িল্ড লেবার বা শিশুশ্রম। তারপর আর উনি ঐরকম চেষ্টা করেননি। ফাইবারে কাজ করা বাদ দিয়ে দেন। এরপর প্রায় দুইবছর আমিও আর অনলাইন ইনকামের দিকে যায়নি। কিন্তু ২০২০ সালের আগষ্টে আমার পরিচয় হয় স্টিমিট এর সঙ্গে। তারপর থেকে আস্তে আস্তে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আমার ধারণা ক্লিয়ার হয়। এটাই ছিল আমার প্রথম অনলাইন ইনকামের স্মৃতি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বলতে গেলে দলগতভাবে কাজ করেছিলেন তবে যেভাবেই কাজ করেন অনলাইন থেকে প্রথম ইনকামটা বেশ বড় এমাউন্টেরই ছিল। আপনার গল্প শেয়ার করার মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit