||| সুন্দর দিনটার ২ বছর আজ |||

আমি পুরানো সুন্দর অতীত গুলো কখনো ভুলি না। হয়তো অধিকাংশ মানুষই এইরকম। ২০২০ সালের এই ১ আগষ্ট ছিল কিন্তু ঈদুল আযহা। জানি না আপনাদের মনে আছে কীনা। তবে আমার মনে আছে। গতকাল রাতে গুগল photos থেকে একটা নোটিফিকেশন আসলো। গিয়ে দেখি ২০২০ সালের ঐ দিনের ফটো ঐগুলো। তখন ঐদিনের একটা মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল যেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পারে। যাইহোক ঘটনাটা ২০২০ সালের জুলাই মাসের ২৮ তারিখ। তখন চারিদিকে বেশ করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। তো আমরা কয়েক ফ্রেন্ড এবং দুইজন বড় ভাই মোটা ৬ জন ঠিক করলাম পিকনিক করব। তো পিকনিক টা হবে ঈদের আগের দিন রাতে। সবকিছু ঠিক ঠাক। এখন কী খাব সে অনুসারে টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। আমি প্রস্তাব করলাম মাংস ভুনা এবং বাশমতির খিচুড়ি হোক। কিন্তু তাতে কারো মন ভরলো না। অন‍্যরা বলল বিরিয়ানি খাব। আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে বিরিয়ানি হোক।

সবকিছু ঠিক ঠাক করে লিস্ট করে বাজার করে আনা হলো। বাজারে গিয়েছিলাম আমি এবং আমার বন্ধু তোহা। সব প্রকার মশলা নিয়ে এসেছিলাম। রান্না করবে আমাদের এক বড় ভাই। আমরা ফ্রেন্ড হিসেবে চলাফেরা করি। মোটামুটি সবকিছু ঠিকঠাক। চলে এলো সেই সন্ধ‍্যা।

---

---

---

---

মোটামুটি সবাই নির্ধারিত জায়গাই একএিত হলাম রাত ৯ টার পর। সবকিছু এগিয়ে নিয়ে এসে রান্না শুরু করলাম রাত ১০ টাই। সবাই হাতে হাতে কাজ করছে। অন‍্যদিকে আমার ঐ বড় ভাই তো সেইরকম ভাব নিচ্ছে। এমন ভাব নিচ্ছে উনি যেন নবাবের বিরিয়ানি রান্না করে অভ‍্যস্ত। আমি বললাম খেতে না পারলেই হবে। সবকিছু ঠিক ঠাক করে রান্না শেষ হলো প্রায় রাত ১২:৩০ টাই। এখন খাব না। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে রাত ১ টাই সবাই খেতে বসলাম। খাওয়ার আগে হাড়ির উপর থেকে পাএ টা সরানো হলে দেখি না বিরিয়ানি টা দেখতে তো বেশ চমৎকার হয়েছে। আশাকরি খেতেও ভালো হয়েছে। তো বিরিয়ানির হাড়ির ছবি তুললাম যে যার মতো।।

---

---

---

---

একে একে সবাইকে পরিবেশন করে বসে পড়লাম। তো মুখে নিতেই অন‍্যরকম বিরিয়ানি। না আমি খারাপ বলব না। তবে সত্যি বলতে বিরিয়ানি টা সেরকম স্বাদ হয়নি। তবে খাওয়ার মতো একেবারে অখাদ‍্য না। প্রথমত বিরিয়ানি তে তেল বেশি হইছে দ্বিতীয়ত লবণ কম সেরকম কোনো ঘ্রাণ নেই। সব মশলা দেওয়া হয়েছিল। তবে তখন যদি বলি খারাপ হয়েছে বড় ভাইয়ের মন খারাপ হবে সেজন্য কিছু বলি নাই। আমার মতো অবস্থা অন‍্যদেরও। বড় ভাই আকাশ ও ভালোই বুঝছে। যাইহোক মোটামুটি খেলাম বিরিয়ানি টা। ঐ জোর করে খাওয়াটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল হি হি। কোনোরকম রাতটা কাটলো। পরেরদিন ছিল ঈদ। ঈদের দিন আমাদের সবার শরীরের অবস্থা খারাপ ঐ বিরিয়ানি খেয়ে। শরীরের মধ্যে ছিল অন্যরকম একটা ভাব। এসিডিটি টা প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি কিছুই খেতে পারি নাই ঈদের দিন। অন‍্য সবারই ছিল এই অবস্থা। তো সেদিন মোটামুটি প্রতিজ্ঞা করেছি নিজেরা পিকনিক করলে আর কোনোদিন বিরিয়ানি রান্না করব না হা হা। এক ভুল আর না হি হি। ঘটনা আজ মনে পড়লো বেশ অনেকক্ষণ হাসলাম।।

------	-----
ফটোগ্রাফার	@emon42
ফটোগ্রাফি ডিভাইস	VIVO Y91C
সময়	জুলাই ,২০২০

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---