আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কোন দেশকে ধ্বংস করতে চাইলে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করলেই হবে। আর কিছু করা লাগবে না। এবং অযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দিতে হবে। তাহলেই সেই দেশের ধ্বংস নিশ্চিত। বতর্মানে বাংলাদেশে সবচাইতে আলোচিত বিষয় কোঠা। বাংলাদেশ হাইকোর্ট পূণরায় সরকারি চাকরির ক্ষেএে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোঠা বহাল করেছে। এই নিয়ে সবমিলিয়ে সরকারি চাকরিতে কোঠার পরিমাণ দাঁড়ালো ৫৬%। তবে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এর ক্ষেএে এই কোঠা ৯৬%। এখন এই কোঠা নিয়ে চলছে চারিদিকে আলোচনা সমালোচনা। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধটা হয়েছিল কিন্তু শোষণ নিপীড়ন এর কারণে। সবচাইতে বড় বিষয় ছিল বৈষম্য। সরকারি সব পদে এবং সব চাকরিতেই ছিল পাকিস্তানিদের আধিপত্য। এইরকম আরও কিছু ঘটনার জের ধরেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
আমাদের দেশ যারা স্বাধীন করেছে তাদের প্রতি আমার রয়েছে যথেষ্ট সম্মান শ্রদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত ভাতা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এটা তাদের অধিকার। এবং তাদের সন্তানেরা এই কোঠার জন্য মোটামুটি ভালো পজিশনে রয়েছে এখন। এখন আসল ব্যাপার টা হলো এই যে ৩০% কোঠা। এটা তারা আর কত প্রজন্ম পাবে বলেন। এখন এটা পাচ্ছে তার নাতি নাতনি এরপর পাবে তাদের ছেলেমেয়ে তারপর তাদের নাতি নাতনি এভাবে কী চলতেই থাকবে?? এটাই কী সিস্টেম। হ্যা অন্য কোন দেশ হলে হয়তো এমনটা হতো না। কিন্তু বাংলাদেশ বলেই এমনটা হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখের। সব কোঠার ভীড়ে মেধাবীরা ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। অযোগ্য রা গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দখল করে নিচ্ছে।
এবার একটা মজার তথ্য দেয় আপনাদের প্রথম আলো এর রিপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় পরিচয় পএের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ভাতাপ্রাপ্ত প্রায় দুই হাজার মুক্তিযোদ্ধার বয়স ৫০ এর নিচে। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫৩ বছর। কী বিষয়টি মজার না। তারা যুদ্ধ করে মারা গিয়ে আবার পূর্ণজন্ম পেয়েছে ব্যাপার টা এমন হা হা। শুধু যে চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপার টা এমন না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেএে এই কোঠা রয়েছে। অনেক সময় কোঠার কারণে অনেক অযোগ্য শিক্ষার্থী ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে যায়। শুধু যে মুক্তিযোদ্ধা কোঠা এমন না। বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেএে মুক্তিযোদ্ধা কোঠা বাদেও পোষ্য কোঠা, উপজাতি কোঠা, নারী কোঠা, প্রতিবন্ধী কোঠা রয়েছে। সবমিলিয়ে কোঠায় নিয়োগ হয় প্রায় ৫৬ শতাংশ।
তবে প্রাইমারি এর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেএে দেখা যায় নারী কোঠার আধিক্য। এখানে নারীরা একটু বেশিই সুযোগ পেয়ে থাকেন। না আমি তাদের অবজ্ঞা করছি না। শুধুমাত্র সত্যটা তুলে ধরছি। এখন বলেন এতো শত কোঠা তার উপর পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস তারপর আবার ঘুষ। এতো কিছুর পরে একজন সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?? হ্যা খুবই ক্ষীণ। আর এটাই হচ্ছে আমাদের দেশ টা ধ্বংসের শুরু। যদি এখনই এর কোন প্রতিকার করা না যায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য অনেক খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পযর্ন্ত ঠিক আছে কিন্তু তার নাতি নাতনি বা তাদের ছেলে মেয়ে কোন যুক্তিতে এই সুবিধা পাবে এটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। যদি আপনাদের হয় কমেন্টে জানিয়ে যাবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি,আপনার মতামতের সাথে আমিও একমত। পশ্চিম পাকিস্তানের বৈশিষ্ট্যই ছিলো শোষণ। সকল ক্ষেত্রেই তারা পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করে গেছে। আর বর্তমানে শোষণ করছে এই দেশেরই লোকজন। বিষয়টা খুবই কষ্টকর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit