আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইদানিং আমার মনে খামখেয়ালী চিন্তা একটু বেশিই আসছে। হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত ধরনের কিছু খেয়াল আমার মনে আসছে। আর সেটা নিয়ে চলছে ঘন্টার পর ঘন্টা চিন্তা ভাবনা। এটা চলছে প্রায় চার মাস ধরে। আমার খারাপ লাগে না খুব একটা। খামখেয়ালী ঐসব চিন্তা করার সময় অদ্ভুত ধরনের কিছু সত্য কিছু বাস্তবতা কাকতলীয়ভাবে আমার সামনে চলে আসে। ওগুলো যখন আমি একটু ভালোভাবে খেয়াল করি তখন বুঝতে পারি। এ চিন্তা চেতনা নেহাৎ খামখেয়ালীপনা বললেও ভুল হবে। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ পুরোপুরি একা সময় পার করা সেরকম কোন কাজ না করা এবং বাইরে খুব যাওয়া। এবং অতিরিক্ত পরিমাণে সাইকোলজিক্যাল থ্রীলার পড়া। হ্যা বিগত মাস ছয়েক হলো আমার এই অভ্যাস টা তৈরি হয়েছে। সাইকোলজিক্যাল থ্রীলার বইগুলোর দিকে আমার ঝোঁক বেশি।
এই ধরনের বইগুলো সাধারণত লেখা হয় ডিপ্রেশনে থাকা কোন ছেলে বা পারিবারিক সমস্যার ডুবে থাকা কোন চরিএ নিয়ে। সেসব বাদ দেয়। ইদানিং অভ্যাস করে নিয়েছি সারারাত জেগে থেকে সেহেরি করে তারপর ঘুমানো। এই সময় টা সাধারণত আমার ল্যাপটপ এবং ফোন নিয়েই কাটে। ল্যাপটপে সিরিজ দেখি মুভি দেখি অনেক সময় চলে ক্রিপ্টো নিয়ে ঘাটাঘাটি অ্যানালাইসিস। আবার ফোনে ই-বুক পড়ি অডিও বুক শোনার একটা অভ্যাসও রয়েছে। তো গতরাতে এগুলোর কিছুই যেন করতে ইচ্ছা করছিল না। নিজের মধ্যে অদ্ভুত একটা অনূভুতি কাজ করছিল। হঠাৎ মনে হলো যাই একটু বাইরে যায়। যেহেতু রমজান মাস সবাই আড়াই টা তিনটার দিকে উঠে পড়ে। আমি বের হয়েছিলাম রাত দুইটার দিকে। তখনই দেখি এলাকার অধিকাংশ বাড়ি অন্ধকার অর্থাৎ কেউ উঠেনি।।
আমার পড়োনে ছিল একটা টাওজার এবং গায়ে একটা গেঞ্জি। বাইরে বের হয়ে বেশ ভালো ঠান্ডা অনূভব করলাম। বেশ ভালো ঠান্ডা বলতে হয়। রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। কতদিন ভেবেছি এইরকম ওয়েদারে হাঁটব। আরেকটা মজার বিষয় বেশ খানিকটা কুয়াশা ছিল। মাঝে মাঝে বাতাস এসে আমার শরীর শিহরণ জাগিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা ভেসে আসছে বাতাসে। এরপর কিছুদূর এগিয়ে যেতেই দর্শন হলো আমাদের এলাকার রক্ষীদের সাথে। এইরকম বিনা পয়সার রক্ষী সব এলাকায় থাকে। প্রথমে আমার ছায়া দেখে ডাকাডাকি শুরু করল তারা। কিছুক্ষণ পরে আমি যখন এগিয়ে আসলাম রোড লাইটের আলোয় আমার মুখটা পরিষ্কার হয়ে গেল তখন তারা চিনতে পারল আমাকে। এবং সবাই মিলে একটা অভ্যর্থনা জানালো হা হা। হয়তো মনে মনে বলল আরে এতো আমাদের মতোই একজন নিশাচর হা হা। আমি এতক্ষণ বলছিলাম আমাদের এলাকার কুকুর গুলোর কথা।
হঠাৎ খেয়াল করলাম রোডলাইট টা। রোড'লাইট টা কে জ্বলার জন্য বেশ স্ট্রাগেল করা লাগছে। অর্থাৎ টিপ টিপ করে জ্বলছে। ঐটাই ভোল্টেজ ড্রপ অতিরিক্ত হচ্ছে। আকাশে সুন্দর একটা চাঁদও ছিল। না এখনো পুর্ণিমা আসেনি। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই চাঁদটা পূর্ণ হবে। সেরকমই একটা ভাব। আরও বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করলাম এলাকার মধ্যে। দিনের বেলা যেখানে মানুষের আনাগোনা শব্দ কথাবার্তা কতকিছু। কিন্তু এখন সেটা একেবারে নীরব। মৃদু বাতাসে গাছের পাতা নড়ছে সেটা পযর্ন্ত শোনা যাচ্ছে। কী একটা নিস্তব্ধতা ছিল চারিদিকে। এইভাবে নাইট আউট করার পরে আমার মাইন্ড টা বেশ ফ্রেশ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ যেন আবার প্রাণভরে একটা নিশ্বাস নেওয়া হলো।
------ | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi 12 |
সময় | মার্চ,২০২৪ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া কিছু চিন্তা খামখেয়ালী থেকেই আসে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আমাদের সবারই উচিত এমন খামখেয়ালী চিন্তা থেকে দূরে থাকা। ধন্যবাদ ভাইয়া বেশ ভালো লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit