আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
হিরক রাজার দেশে মুভিটা হয়তো আপনারা দেখেছেন। মাস্টারপিস একটা মুভি। এবং এই মুভিটা নির্মাণ করেছেন বাংলা মুভির কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তো এই মুভির যে রাজা হিরক রাজা ছিলেন একজন অত্যাচারী রাজা। যে রাজা কীনা নিজের প্রজাদের উপরে অত্যাচার করতো। অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দিত জোর করে মানুষকে হিরার খনিতে কাজ করাতো। এবং অন্য রাজ্যের রাজাদের কাছে খুব ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করত। মূলত তিনি ছিলেন একজন ভন্ড। এবং সত্যজিৎ রায় সম্ভবত ঐসময়ে বুঝতে পেরেছিলেন ভবিষ্যতে বাংলার অবস্থা কী হতে চলেছে। সেজন্য হয়তো ঐরকম একটা মাস্টারপিস সিনেমা তৈরি করে গিয়েছিলেন। তো ঐ সিনেমার কিছু পয়েন্ট এবং বতর্মান বাস্তবতা নিয়ে আমি আজ কথা বলব আপনাদের সাথে।
ঐ সিনেমার একটা সংলাপ এমন "অনাহারে না খেত, বেশি খেলে বাড়ে মেদ"। এর অর্থ খিদে পেলে খেতে নেই। বেশি খেলেই মানুষের মেদ অর্থাৎ ভুড়ি বাড়বে। মূলত রাজ্যে খাবারের দাম বেশি হওয়াই প্রজারা রাজার কাছ অভিযোগ করলে উনি এই সমাধান দেন। এখন দেখেন মিলটা ঠিক কোথায়। আমাদের দেশের বতর্মান অবস্থা কী। প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। এই প্রেক্ষাপটে যেখানে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তারা সেটা না করে কখনো আমাদের বলে মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি খেতে কখনো বলে পিয়াজ ছাড়া রান্না করতে আবার কখনো বলে খেজুরের পরিবর্তে বড়ই দিয়ে ইফতার করতে। এরা অনেক টা হিরক রাজার ঐ পথেই চলছে। ঐ রকম কথাবার্তায় বলছে। এখানে তাদের হিরক রাজার সাথে খুব একটা পার্থক্য নেই। এ যেন শতভাগ মিলে গিয়েছে।
হিরক রাজা ছিল অত্যাচারী। এখন প্রজারা যদি শিক্ষিত হয়ে যায় তখন সে অত্যাচার করতে পারবে না। প্রজারা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এইজন্য সে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। এবং ওখানে একটা সংলাপ বলে "লেখাপড়া করে যে অনাহারে মরে সে, বিদ্যা লাভে লোকসান, নাই অর্থ নাই মান"। এখন আমাদের দেশের কথায় আসি। আমাদের দেশে প্রবর্তিত নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আর কারো জানা বাকি নেই। এই শিক্ষা ব্যবস্থা যেন তৈরি করা হয়েছে একটা জাতিকে মেরুদণ্ডহীন শিক্ষাহীন করার জন্য । অনেকেই তো এটাকে প্রহসন বলছে। এটাও একটা চক্রান্ত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার। এই ব্যাপার টার সাথেও অনেক টা মিল পাওয়া যায় কিন্তু। এবার আসি তৃতীয় ব্যাপারে। হিরক রাজা প্রজাদের থেকে অত্যাচার করে অতিরিক্ত কর নেয়। এবং সেই অতিরিক্ত কর দিয়ে নিজের বিশাল একটা মূর্তি তৈরি করে।
এবং চারিদিকে শুধু তার নাম প্রচার করে। এটা আমাদের দেশেও হচ্ছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের থেকে বিভিন্ন উপায়ে ট্যাক্স অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে। এবং সেগুলো দিয়ে যা করা হচ্ছে সেটা নাম দেওয়া হচ্ছে একজনের বা বিশেষ একদলের মানুষের। এই উদাহরণ টা আর না দেয়। এগুলো আশাকরি আপনারা বুঝতে পারছেন হি হি। হিরক রাজা তো শুধু মুভির মধ্যে ঐরকম অত্যাচার চালাত। তার রাজ্যের প্রজারা ছিল খুবই অসহায়। আমাদের অবস্থা এখন ঠিক সেইরকম। হিরক রাজার মতো একটা অত্যাচারী একটা স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে যেন আমরা আছি। আমাদের জীবন যেন মুভির থেকেও বেশি বাস্তবিক। আসল কথা আমরা তো হিরক রাজার দেশেই বসবাস করছি। কেন জানি এই কথাগুলো প্রায়ই আমার মাথায় ঘোরাফেরা করে। মনে হয় আসলেই কত মিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit