প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। তো আজকে আমি এবং আমার বন্ধু দুজনে ঘুরতে যাওয়ার একটা সিদ্ধান্ত নিলাম আমি এমনিতেই একটু ভ্রমন পিপাসু কারণ ভ্রমন করলে আমার কেন জানি না অন্যরকম একটা শান্তি অনুভব হয় এবং মনে হয় সারাদিন যেন এভাবে ঘুরেই বেড়ায় চারিদিকে। তবে ভ্রমণ করলে একা, একা ভ্রমণ করার মধ্যে কোন আনন্দ নেই যদি পাশে একটা বন্ধু থাকে তাহলে ভ্রমণ করে আসলে অন্যরকম একটা তৃপ্তি অনুভব করা যায়। আমার একটা বন্ধু রয়েছে ওর নাম আলিফ একে নিয়ে এর আগেও হয়তোবা আমি এখানে ব্লগ আপলোড করেছি কারণ ও আমার জীবনের সঙ্গে অনেকভাবে জড়িয়ে রয়েছে এবং আমার মন খারাপ থাকলে কেমনে জানি না মন ভালো করে দেয়।

তো যাই হোক চলুন ভ্রমণ করার সময়ই আমরা কিভাবে ভ্রমন করলাম এবং আমাদের সঙ্গে কি, কি অভিজ্ঞতা হল সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রথমে আমি ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চলে গেলাম আমার বন্ধুদের বাসায় ওকে নিতে তো তারপরে গিয়ে দেখি ও প্রস্তুত হয়ে আছে কারণ এর আগে আমি ফোন করে ওকে বলেছিলাম যে বন্ধু আজকে আমাদের এলাকার আশেপাশে একটু ভ্রমণ করে আসতে হবে, শুনেছি নাকি ষোলোটাকার এবং শহরাবাড়ির মাঠে অনেক শস্য বপন করেছে এই দৃশ্যগুলো মিস করা যাবে না কারণ শস্য এর ফুল আমার অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে যখন সারা মাঠ পুরো শস্য খেতে ভরে যায় তখন সেখানে নানান রকম মৌমাছির আনাগোনা থাকে এবং শস্য ক্ষেতের সুগন্ধে যেন‌ সবকিছু মো, মো করে। তো এই অনুভূতিটা অনুভব করার জন্য আমি এবং আমার বন্ধু চলে গিয়েছিল শহরাবাড়ির মাঠে।

তো প্রথমত শহরাবাড়ির মাঠে রাস্তায় বের হয়েই যখন আমরা ষোলোটাকার রাস্তায় পৌছালাম তখন অদিকার আবহাওয়াটা যেন একটু অন্যরকম লাগছিল কারণ এদিকে বিভিন্ন রকম শাকসবজি থেকে শুরু করে নতুন, নতুন ফসল বপন করা হয়েছে যেমন কিছুদিন আগে একজন তামাক চাষী ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম উনি তামাক গাছ এর যত্ন করছিল তো এই ফসলটা আসলে অনেক পরিশ্রমের একটা কাজ তো কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে দেখি তামাক গাছ উনি তুলে ফেলে দিচ্ছেন তো আমি যখন প্রশ্ন করলাম এমন করার কারণ কি তো উনি বললেন যে এই তামাক গাছগুলো ফুটে গেছে। ফুটে গেলে এটা আর বড় হবে না এই সাইজেই থাকবে তাই এগুলো তুলে ফেললে নতুন চারা বপন করলে এখান থেকে বড় , বড় পাতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তো এই বিষয়টা ঐ আঙ্কেলের কাছ থেকে আমি প্রথম জানতে পারি জানতে পারি।

এখানে তামাক গাছের পাশাপাশি সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং সবচেয়ে চোখে যেটা পড়ে সেটা হচ্ছে সর্ষের ক্ষেত যখন আমরা ষোলোটাকার রাস্তার বাম দিকে একটা মেঠো পথ নেমে গেছে ওদিকে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন দেখি পুরো মাঠ টাই হলুদে ভরে গেছে কারণ পুরো মাঠ জুরে শুধু শস্য খেত তো ওখানে গিয়ে আমি এবং আমার বন্ধু কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম এই মুহূর্তগুলো ক্যামেরা বন্দি করার জন্য। এবং তারপরে আমি এবং আমার বন্ধু দুজনে দুই তিন ঘন্টা এভাবে ঘোরাঘুরি করার পরে চলে গেলাম গাংনিতে ঝালমুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আসলে ওখানে জহির নামে একজন ভাই রয়েছেন উনি অনেক সুন্দর ঝালমুড়ি তৈরি করেন তো অত্র এলাকায় এটা বিখ্যাত হওয়ার কারণে আমি এবং বন্ধু চলে গেলাম ঝালমুড়ি খেতে ওখানে গিয়ে আমাদের সিরিয়াল নাম্বার হলো ১১ 🙃, প্রথমেই বলেছিলাম ইনি মোটামুটি বিখ্যাত একজন ঝাল মুড়িওয়ালা এনার কাছে সব সময় কাস্টমার লেগেই থাকেন তো যাই হোক সিরিয়াল দিয়ে খেয়েও অনেক প্রশান্ত পেয়েছি অনেক সুন্দর ঝালমুড়ি তৈরি করেন উনি। তো এই ছিল আমার বন্ধু এবং আমার ঘোরাঘুরি কিছু মুহূর্ত। জানিনা কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানতে পারেন ধন্যবাদ সবাইকে।

• ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।

🫂ধন্যবাদ!!!🤵

[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy