আজ - শনিবার
সবাইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকে আবার নতুন একটি পোস্ট আমি শুরু করতে যাচ্ছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা ভৌতিক ঘটনা শেয়ার করব আর যারা এ ধরনের ভৌতিক ঘটনাগুলো অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন তাদের জন্য আমার মনে হয় আজকের এই পোস্টটা অনেক বেশি স্পেশাল হবে। আজকে যে ঘটনাটি শেয়ার করব এটা কিন্তু একদম বাস্তব একটি ঘটনা এটা আমার নানার সঙ্গে ঘটেছিল পরবর্তীতে এটা আমি আমার আম্মুর মুখ থেকে শুনেছি । যেমন- যেমন ঘটেছিল সেই ভাবেই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি তবে চলুন শুরু করা যাক। আমার নানা পেশা একজন কৃষক ছিলেন তখন উনার অনেক জমির জায়গা ছিল এবং যেহেতু তিনি একজন কৃষক ছিলেন তাই তার প্রধান কাজেই ছিল যে কৃষি জমিতে কাজ করে ফসল উৎপাদন করা। কোন এক ধানের সিজনে উনি অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করেছে এবং তারপরে যখন ধান কাটার সময় আসলো তখন কাজের চাপটা বেশ অনেকখানি বেড়ে গেল। এখন তো আমরা রাত দুইটা তিনটার দিকে ঘুমাই এবং সকাল নয়টা , দশটার পরে তার পরে ঘুম থেকে উঠি।
তবে একটা বিষয় কি জানেন? তখনকার মানুষের জীবনটা পুরোটাই আলাদা ছিল তারা আটটা থেকে নয়টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যেত এবং সকালে ভোর, ভোর উঠে পড়তো । একদিন ভোরে তিনি তার ধানের ক্ষেতে ধান কাটতে ,কাটতে হঠাৎ লক্ষ্য করে কি যেন একটা অনেক জোরে হেঁটে চলে আসতেছে। কিছুক্ষণের জন্য তিনি বেশ খানিকক্ষণ চিন্তা করলেন যে এ এই সময় কে আসতে পারে। আবার কি একটা ভেবে তিনি আবার কাজ শুরু করলেন কিছুক্ষণ পর আবার তিনি পায়ের শব্দ পেতে শুরু করলেন এবার বিষয়টা খুঁটিয়ে দেখার জন্য তিনি ধানের একটা কোণে লুকিয়ে ওই বিষয়টা লক্ষ্য করছিলেন যে কে এদিকে শব্দ করে আসতেছে। কিন্তু সত্যি বলতে তিনি যা দেখলেন সেটার জন্য তিনি একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না । তিনি দেখলেন যে একটা সাদা কাপড় পরা কোন অস্তিত্ব ধানের যেই আইল রয়েছে সেটা দিয়ে হেটে চলে যাচ্ছি কিন্তু তার পা দেখা যাচ্ছে না এ বিষয়টা দেখে তিনি বুঝতে পারলেন যে এটা কোন জিন অথবা পরী হতে পারে। এবার তিনি যেখানে লুকিয়ে ছিলেন ওখানে ওখানে খানিকক্ষণ লুকিয়ে ওই অস্তিত্বটার যাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন।
আসলে সত্যি বলতে আগেকার মানুষেরা কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন তারা রাত দিন খুব কষ্ট করে কাজ করতেন আর তখন যেহেতু গরমের সময় ছিল তাই গভীর রাতেও তারা কাজ করতে পারতো । কারণ অনেক সময় দেখা যায় গরমের সময় রাতটা পুরো চাঁদের আলোতে ফিখ-ফিকা হয়ে যায় এই সময়টা কে তারা কাজে লাগিয়ে তাদের কাজগুলো তারা আগেভাগে সেরে রাখত। আমি এই ধরনের অনেক ভৌতিক কাহিনী শুনেছি তবে আমার সাথে আজ পর্যন্ত এমন কোন অভিজ্ঞতা হয়নি। একবার হয়েছিল সেটা আমি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না সেটা কি সত্যি কোন অশুভ শক্তি ছিল না কি আমার কোন ভুল ধারণা। আবার অনেকের মুখে শোনা যায় আগে এসব ভূত-প্রেত আত্মা এসবের উৎপাত অনেক বেশি ছিল কারণ এখন যেহেতু লোকালয় অনেক বেশি বেড়ে গেছে কিন্তু সেইকালে একটি ঘর থেকে অন্য একটি ঘরের দূরত্বটা বেশ দূরে ছিল। এ কারণে শোনা যেত যেমন ভুত-প্রেত আত্মা এই অস্তিত্বের জ্বালা যন্ত্রণা বেড়ে গিয়েছিল। সেই সাথে অনেক বেশি ডাকাত পড়তো এবং লুটপাট হত তবে এই যুগে এসে এগুলো তেমন একটা চোখে পড়ে না।
তবে আমার জীবনের সাথে রিলেটেড একটা ভৌতিক বিষয় হচ্ছে আমাদের এলাকার পাশেই একটা বড় বেল গাছ রয়েছে । ওই বেল গাছটার একটি কবরস্থানে অবস্থিত কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে ওই বেল গাছের আশপাশ থেকে মাঝেমধ্যে মাংস রান্না, খিচুড়ি রান্না এবং বিভিন্ন রকম সুস্বাদু রান্নার গন্ধ নাকে ভেসে আসে । কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ওই জায়গাটার এক মাইলের মধ্যেও কোন প্রকার লোকালয় বা বসত বাড়ি নেই। মাঝেমধ্যে যখন আমরা ওইখানে ঘুরতে যেতাম বা আমাদের ক্ষেত খামারের কাজের জন্য যেতাম তখন প্রায় এই জিনিসটা লক্ষ্য করতাম । তখনই বুঝতাম যে হয়তোবা পেত আত্মা এইসব অস্তিত্ব রয়েছে আর এইসব এর অস্তিত্ব সত্যি যে রয়েছে এটা আমি মনপ্রাণ থেকে বিশ্বাস করি। কারণ আমাদের ধর্মে এটা সমর্থন করে যে জিন এর অস্তিত্ব পৃথিবীতে সত্যি রয়েছে। আরেকটি ঘটনা রয়েছে যেটা আমার দাদুর মুখ থেকে সোনা, উনি যদিও পৃথিবীতে নেই তবে উনার সে স্মৃতিগুলো আজও আমার মনে রয়ে গেছে।
উনি একটা ঘটনা আমার সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন সেটা হচ্ছে উনারা যখন ভোর তিনটা অথবা চারটার দিকে নাঙ্গল চাষ করতে যেতেন তখন নাকি অনেক জিন তাদেরকে জ্বালাতন করছে তবে আমার দাদু অনেক কিছু জানতেন যার কারণে এই অস্তিত্বগুলো তার আশেপাশে আসার সাহস পেত না। তবে দূর থেকে তাদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিত যে হ্যাঁ আমরা রয়েছি। বিষয়টা বেশ অদ্ভুত এবং ভয় ধরাণোর একটা বিষয়, আমি এই ধরনের বিষয়গুলো সত্যি অনেক ভয় পাই আর তা যদি সামনে কোনদিন চলে এসে জানি না কি করব হাহাহা, যাই হোক আপনাদের জীবনের সাথে যদি এমন রিলেটেড কোন ঘটনা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন এবং আজকের গল্পটি কেমন লেগেছে অবশ্যই বলবেন । যাই হোক সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে আজকে এখানে শেষ করছি আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ ভয়ংকর একটি ঘটনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আমরা যে শহরে বসবাস করি সেই চিত্র এবং গ্রামের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টে। এখনো গ্রামের মানুষ অনেক সকাল সকাল ঘুমাই যাই এবং অনেক ভোরে সকালে ঘুম থেকে উঠে যায়। আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন তাদের দিনর অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। আপনার নানার সাথে তো বেশ ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা ঘটতে চলেছিল তাহলে। ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া গল্প তো পড়লাম কিন্তু অল্প কয়েক লাইনে গিয়ে থেমে গেলেন। আপনার নানা ভোরবেলা ধান কাটতে গিয়ে কিছু একটা অস্তিত্বের হেঁটে যাওয়ার শব্দ লক্ষ্য করলো। এরপর দেখে চুপ করে বসে রইল চলে যাওয়ার অপেক্ষায়,এতটুকুতেই গল্প শেষ। এরপর তো আপনি অন্য কথায় চলে গেলেন,আমি গল্পের কিছুই বুঝলাম না। যাই হোক ভৌতিক গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit