আজ - শুক্রবার
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আসলে আমি সেদিন এই অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে দেখতে চেয়েছিলাম জিনিসটা কেমন হয় তো ভাবলাম যে এই সম্পর্কে একটা ব্লগ তৈরি করি এবং সেই চিন্তা ভাবনা নিয়েই আজকে ব্লগটি লিখতে বসলাম তবে চলুন শুরু করি। আমি সাধারণত দূরে কোথায় যাওয়া আসা করলে ট্রেনে যাওয়া আসা করার চেষ্টা করি কারণ বাসের তুলনায় ট্রেনের হয়রানিটাও কম হয় এবং বারবার এটা তেমন একটা থামেও না আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যদি আমি বাসে জার্নি করে সেক্ষেত্রে আমার ফিজিক্যালি অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেটা খুবই খারাপ একটা বিষয় আমার জন্য। সেদিন আমি প্রথম সিরাজগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদীতে এসে রেল স্টেশনে ওঠার সিদ্ধান্ত নিলাম। আসলে আমাদের আলমডাঙ্গা থেকে একবারে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার একটা ট্রেন রয়েছে যার নাম হচ্ছে চিত্রা এক্সপ্রেস এটা কিন্তু একবারে সোজাসুজি আলমডাঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জে ঢুকে যায়। তবে আসার সময় ঈশ্বরদী বাইপাস থেকে ধুমকেতু ট্রেনটি রাজশাহীর দিকে চলে যায় অর্থাৎ রাজশাহী হচ্ছে আমাদের এলাকার অপজিটে তাই ওখান থেকে আমি সাধারণত সিএনজি অথবা বাসে করে বাড়িতে আসি। তো সেদিন আমি বাড়িতে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম এবং অনলাইনে টিকিট দেখার চেষ্টা করছিলাম।
তখন ঘাটাঘাটি করতে, করতে হঠাৎ দেখলাম যে ঈশ্বরদী থেকে আলমডাঙ্গা একটা ট্রেন রয়েছে দুইটার দিকে। তারপরে ভাবলাম এটা আমার জন্য সুখবর কারণ আমি যদি সিরাজগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে নয়টার দিকে রওনা দেই সেক্ষেত্রে দুইটার আশেপাশে আমি ইনশাল্লাহ ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে পৌঁছে যাব। আসলে ঈশ্বরদীতে দুইটা রেলস্টেশন রয়েছে একটা হচ্ছে ঈশ্বরদী বাইপাস এবং আরেকটি হচ্ছে ঈশ্বরদী মেইন রেলস্টেশন। আর আপনারা যদি একটু অনলাইনে ঘাঁটাঘাটি করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বড় রেল স্টেশনের মধ্যেও ঈশ্বরদী নাম রয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল স্টেশনের নাম হচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশন এবং তারপরের স্থানে রয়েছে ঈশ্বরদী রেলস্টেশন। প্রথমে আমার সকালের ট্রেন ছিল ৮:৫৭ তে তো আমি খুব দ্রুতই আটটার মধ্যেও ওখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করলাম। তবে ট্রেন তখন প্রায় দুই ঘন্টা লেট করল এবং ট্রেন আসলো ১১ টার পরে। আসলে অপেক্ষা করাটাও খুবই কষ্টকর। অনেকক্ষণ যাবৎ বসে থাকতে, থাকতে প্রায়ই ধৈর্য্য হারা হয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু আমি সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি ট্রেনে ই বাড়িতে ফিরব। এভাবে লেট করার কারণে অনেকেই বিরক্ত হয়ে বাসে চলে গেল কিন্তু বাসে গেলে আমার অনেক ধরনের সমস্যা হয় এটা আগেই বললাম তো ওই জন্য বাধ্য হয়ে আমার বসে ফাঁকা লাগলো।
তারপরে যখন ১১ টার পরে ট্রেন আসলো ট্রেনে চেপে বসলাম এবং প্রায় ১ এর দিকে আমাকে ঈশ্বরদী বাইপাস রেল স্টেশনে নিয়ে গেল। ওখানে নেমে পড়ার পরে ওখান থেকে আবার ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে 15 টাকা ভাড়া দিয়ে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে দেখলাম যে ঈশ্বরদী থেকে আলনাঙ্গাতে দুইটা ট্রেন রয়েছে। একটা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এবং আরেকটা হচ্ছে রুপসা এক্সপ্রেস। আমি তখন রুপসা এক্সপ্রেস এর একটা টিকিট কাটলাম তবে আমি আলমডাঙ্গা পর্যন্ত টিকিট পেলাম না আমি পোড়াদহ পর্যন্ত একটা টিকিট পেলাম ওই ট্রেনটি ছিল 2 টার দিকে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই ট্রেনটাও প্রায় ২ ঘন্টার কাছাকাছি লেট করল। অবশেষে যখন আসলো তখন সেই কি যে বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখতে ,দেখতে সন্ধ্যার দিকে আলমডাঙ্গা তে আঘাতে পৌঁছে গেলাম। তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে ওদিকে বৃষ্টি হলেও আমাদের এলাকাতে তেমন একটা বৃষ্টি হয়নি। সেদিন তো শেষ পর্যন্ত যখন গ্রামের দিকে আসলাম তখন দেখলাম আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট একেবারে শুকনা কোন রকম বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু রাজশাহীর দিকে সেদিন অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। তখন উপলব্ধি করলাম যে মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কতই না চমৎকার এবং রহস্যময় যদিও এই আবহাওয়া সম্পর্কে ছোটবেলায় পড়েছি তবে নিজের চোখে দেখতে এগুলো বেশ ভালই লাগে।
আসলে বাড়িতে এসেছি একটু পার্সোনাল কাজে যদি এটা ঠিক হয়ে যায় খুব শীঘ্রই আবার বাড়ি থেকে হোস্টেলে ব্যাক করব। আমার এই ছোট্ট জীবনের মধ্য ছোট ,ছোট অভিজ্ঞতা গুলো আপনাদের মাঝে এভাবে শেয়ার করে যাব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। বাড়ির উপরে মায়া সবারই কাজ করে আসলে বাইরে না থাকলে বুঝতে পারতাম না যে এমনি নিজের মাতৃভূমির প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা এবং মায়া থাকতে পারে। যখন বাড়ির দিকে রওনা দেই তখন মনের ভিতরে যে এত আনন্দ কাজ করে কিভাবে যে বোঝাবো !! হয়তোবা আপনারা যারা বাইরে থাকেন এবং কয়েক দিনের ছুটির জন্য বাড়িতে আসেন তারাই এই জিনিসটা উপলব্ধি করতে পারবেন যে বাড়ির প্রতি ভালোবাসা বাড়ির মানুষের প্রতি ভালোবাসা কতটা মনকে শান্তি দেয়। বাড়িতে এসেই প্রথমে আম্মুর হাতের গরম ভাত এবং মাছ রান্না খেয়েছিলাম যেটা এখনো মুখে লেগে রয়েছে। কেন জানিনা আমার আম্মুর হাতের রান্না আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আর কোথাও এই রান্নার স্বাদ আমি খুঁজে পাই না। যাহোক বন্ধুরা আপনাদের সুন্দর মতামত এর অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের যদি এমন কোন অভিজ্ঞতা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে কমেন্টে জানিয়ে যেতে পারেন। আমিও দেখতে চাই আমার মত আর কারো এমন অভিজ্ঞতা আছে কি না। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে আমার এই ছোট্ট ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হব। ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
শ্রেণী | ট্রাভেল পোস্ট |
লোকেশন | আলমডাঙ্গা- ইস্রডি |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ট্রেন লেট করলে অনেক বিরক্ত মনে হয় ।ভাইয়া আপনি যখন ট্রেনে উঠলেন তখন অনেক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল এ সময়টা হয়তো আপনার অনেক সুন্দর কাটছিল ।কেননা ট্রেনের ভেতর বসে যখন বৃষ্টিপাত হয় তখন মুহূর্তটা ভোলার না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ সেদিন অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছিল। আর এটা ঠিক যে ট্রেন লেট করলে আসলেই খারাপ লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লেইট ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা আসলেই খুবই বিরক্তকর! পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনার ভোগান্তি একটু বেশী ছিল। সকাল ৮টা সিরাজগঞ্জ বাসা থেকে বের হয়েছেন আর সন্ধ্যায় আলমডাংগায় পৌছিয়েছেন! অনেক বেশী সময় লেগেছে টোটাল! বাসে গেলে অনেকক সময় সেভ করা যেত। ট্রেন জার্নির এই ভোগান্তি দূর করা জরুরি!
ভাল থাকুন!
সাধারণত দেখা যায় যে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বার বার প্রশ্রাবের ইনফেকশান (Recurrent UTI) হয়। কি কারন?
কারন গুলো হচ্ছেঃ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে এটা ঠিক বলেছেন। সেই সাথে ধন্যবাদ স্বাস্থ্য বার্তা গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit