আজ - শুক্রবার
সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে আজকে আমি আবার নতুন একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম। তো আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি সৌখিন এর জীবন গল্পর কিছু সুন্দর অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব। আসলে যেদিন আমি ওর মুখ থেকে ওর জীবন গল্পটা শুনলাম তখন সত্যি আমি অনেক আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম আর আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল এটি। ওই জন্য ভাবলাম এই গল্পটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি, আশা করি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে তবে চলুন শুরু করি। সৌখিন পেশাই বর্তমানে রয়েছেন একজন ফুচকা ওয়ালা তবে সবচেয়ে আশ্চর্যকর বিষয় কি জানেন? ওর বয়স মাত্র ১৪ বছর। ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল গত দুইদিন আগে তখন আমি আমাদের এলাকায় ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম এবং তখন দেখলাম ছেলেটা বিভিন্ন রকম চপ বিক্রয় করছে বিশেষ করে চিংড়ি চপ এবং বার্গার জাতীয় অনেক ধরনের আইটেম রাস্তার সামনে সাজিয়ে রেখেছে এবং বিক্রি করছে। তবে মজাদার বিষয় হচ্ছে ওর দোকানটাতে আশেপাশের তুলনায় দেখলাম বেশ ভিড় তাই আমি আগ্রহ নিয়ে ওর কাছে গেলাম।
এবার আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে ওর কাছে ডিমের চপ খেতে চাইলাম তো বলা মাত্রই ও আমার জন্য ডিমের ডিমের চপটি মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই গরম ডিমের চপ রেডি করে দিল। তারপরে হাতে একটা টিস্যু পেপার নিয়ে ওটা খাচ্ছিলাম এবং খাওয়া শেষ করে ওর সঙ্গে পাঁচ মিনিট গল্প করলাম। প্রথমে আমি আগ্রহ নিয়ে বললাম যে বন্ধু তোমার এই ব্যবসার সম্পর্কে আমাকে একটু বল আমি এটা সম্পর্কে জানতে অনেক আগ্রহী তখন ও বলল যে ভাই আমি ব্যবসা শুরু করেছি ক্লাস ফাইভ থেকে তারপরে আমার একটা বড় ভাইয়ের ফুচকার দোকান ছিল ওখানে আমি থাকতাম এবং সেখান থেকে এই ব্যবসা আমি ধরে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ প্রতিমাসে মোটামুটি একজন চাকরিজীবীর সমান বেতন উঠাতে পারি এবং আমি অনেক খুশি রয়েছি। তো এই কথাগুলো শোনার পরে আমি সত্যিই বেশ আশ্চর্য হয়ে গেলাম যে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ছেলের মুখে এত বড়, বড় কথা সত্যি শুনতে অনেক ভালো লাগে। তারপরে মূলত আমাকেও ওর ব্যবসার বিষয় এ সম্পর্কে জ্ঞান দিলো ওর অভিজ্ঞতা থেকে সত্যি আমি অনেক আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম।
তারপরেও ওর সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করার পরে সব এর পাশাপাশি ওর কাছে দুই বাটি ফুচকা খেলাম এবং বিল মিটিয়ে দিয়ে তারপরে হাসিমুখে ওখান থেকে চলে আসলাম। আমাদের বর্তমানে যে ইয়ং জেনারেশন রয়েছে এরা অল্প পুজিতে কোন কিছু করতে চায় না আর অনেক রয়েছে যে ছোট, ছোট ব্যবসা গুলোকে অনেক লজ্জাজনক মনে করে কিন্তু এটা আমাদের কখনোই করা উচিত নয় এই যে ছেলেটা কে দেখলাম অন্তত আমাদের এই ছেলেটাকে দেখে শেখা উচিত যে ব্যবসার কোন বয়স হয় না। আর সত্যি বলতে কি মাথায় যখন দায়িত্ব চলে আসে তখন সে বয়স টা দেখে না। আসলে সত্যি বলতে ফুসকা আমি তেমন একটা খাই না তবে ছেলেটাকে দেখে আমার অনেক ভালো লেগে গেছিল ওই জন্য ওর কাছ থেকে ফুচকাও খেলাম। ছেলেটা বয়সে আমার অনেক ছোট হলেও ওর কাছ থেকে আজ অনেক বেশি শিক্ষা নিয়ে গেলাম। যে আমরা একটা ছোট ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য কতই না কষ্ট করে যাচ্ছে কিন্তু দেখুন ও ক্লাস ফাইভে থেকে এই ব্যবসা শুরু করেছে এবং মোটামুটি একদিক থেকে পড়াশোনা করছে এবং আবার ব্যবসা করছে।
আর মধ্যে কথা হচ্ছে এক্সপেরিয়েন্স! ওর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেলাম যে ওটা বিগত পাঁচ বছরের এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে যেটা আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে বিশেষ করে ওই ছেলেটার বয়সের তুলনায়। আসলে প্রথম অবস্থায় ও ফুচকার দোকানে থাকতো তো তারপরে ধীরে, ধীরে নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে যেটা আসলেই অনেক চমৎকার একটা বিষয়। তো আমাদের উচিত এভাবে ধীরে, ধীরে আমাদের ছোট করে হলেও একটা ব্যবসা দাঁড় করানো তাহলে আমরা ভবিষ্যতে ওখান থেকে অনেক বেশি হতে পারব। তবে আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে আমাদের চিন্তা ভাবনা এখন থেকেই পরিবর্তন করা উচিত। তো যাই হোক আপনাদের আর চোখে কি এমন এমন সোনার ছেলে কোনদিন পড়েছে কিনা চাইলে কমেন্টে জানিয়ে দিতে পারেন। আপনাদের কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো তো ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে আমার ছোট্ট এই ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট |
লোকেশন | সিরাজগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
কোন কাজই ছোট নয়। তবে ছেলেটি খুবই অল্প বয়স থেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে এইসব করছে দেখে মনটা কেমন হয়ে উঠলো কারণ এই সময়টা পড়াশোনা করার সময়। যে যাই বলুক জীবনের অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে। আমি জানিনা ছেলেটি পড়াশোনা করে কিনা তবে হয়তো ওর বাড়ির অবস্থা সে রকম ভালো নয় তাই ও বাধ্য হয়ে কাজ করতে নেমেছে। বুদ্ধি প্রয়োগ করে নিজের ব্যবসায় উন্নতি করেছে এটাই বড় কথা। সব কাজই তো ছোট থেকে বড় হতে হয়। আমরা যে জন্মেইছি ছোট্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছেলেটা পড়াশোনা করে এবং পাশাপাশি ব্যবসা করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
১৪ বছরের সেই ফুচকাওলার ছবি দেখতে ইচ্ছা করছে ভাই। যদি পারেন কখনো তার ছবি শেয়ার করবেন। এতো বিস্ময়ে বালক। এত কম বয়সে এমন সফল ব্যবসায়ী খুব একটা দেখা যায় না। আপনি দারুণ সুন্দর করে তার দৈনন্দিন পরিশ্রমের কথা তুলে আনলেন। সে ফুচকা বেচে এই বয়সে একজন চাকুরিজীবীর মাইনে উঠাতে পারে জেনে খুব অবাক হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit