আজ -
সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তো আজকে যে পোস্ট নিয়ে কথা বলব আপনারা প্রথমে হয়তো বুঝতে পেরেছেন এটি একটি ছেলেবেলা স্মৃতি নিয়ে ঘটিত একটি পোস্ট। তো ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে খুব ভালই লাগে কারণ ছেলেবেলা ছিল আমাদের গোল্ডেন মুহূর্ত আর এই সময়টাতে আমরা যা কিছু করেছি আমাদের জীবনের আজকে আপনাদের মাঝে একটা স্মৃতি শেয়ার করার চেষ্টা করছি আশা করি আপনাদের বেশ ভালই লাগবে। যখন বসন্তকাল চলে আসে তখন চারিদিকে ফির ফিরে করে বাতাস বইতে থাকে। এবং এই বাতাস গায়ে লাগাতে বেশ ভালোই লাগে তো তখন একটা বিষয় সবসময় মাথার মধ্যে খেলা করত সেটা হচ্ছে খেজুর পাতা চড়কি। যদিও প্রথম অবস্থায় আমি তৈরি এটি করতে পারতাম না তবে যখন বন্ধু-বান্ধব এগুলো তৈরি করত ওগুলো দেখতে খুব ভালই লাগতো এবং নিজে নিজে কয়েকবার চেষ্টা করার পরে চরকি তৈরি করার প্রসেসটা আমি নিজেও শিখে গিয়েছিলাম তখন সময় পেলেই খেজুর পাতা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতাম এবং সেগুলো দিয়ে চরকি তৈরি করে বাতাসে উড়াতাম। এখন এই স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন হয়তোবা একটু হাসি পায় তবে তখন আমাদের জীবনের একটা সুন্দর মুহূর্ত ছিল এই সময় গুলো।
![]() |
---|
আসলে সত্যি বলতে বয়সের সাথে ,সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয় তখন কতই না ঘুরে বেড়াতাম সকালবেলায় উঠেই খেজুর সংগ্রহ করার জন্য চলে যেতাম তখন প্রচুর খেজুর গাছে আসতো এবং যে পাকা খেজুরগুলো থাকতো সেগুলোর নিচের দিকে পড়ে যেত এবং ভোর বেলায় গাছের নিচে প্রচুর পরিমাণে পাকা খেজুর পাওয়া যেত। আর গাছ পাকা খেজুর খেতে যে কি একটা মজা লাগে আপনারা যারা খেয়েছেন তারা হয়তো বা এটা উপলব্ধি করতে পারবেন। তো আমরা এগুলো সংগ্রহ করার পরে আর নিয়ে এসে ব্যাগে করে ফেলতাম এবং পরবর্তীতে যখন স্কুলে যেতাম তখন বন্ধুবান্ধব মিলে সবাই মিলে একসাথে খেতাম মাঝেমধ্যে ক্লাস করতাম এবং খেজুর এর বিষয়টা আমি বেশি এনজয় করতাম। এরকম আমি কিছু নিয়ে যেতাম এবং অন্যরা আম নিয়ে আসতো এবং কেউ জাম নিয়ে আসতো এভাবে আর সবাই মিলে কিছু না কিছু নিয়ে আসতাম আসার পরে ওগুলো এক জায়গায় নিয়ে এসে ভাগাভাগি করে যখন খেতাম কি যে একটা মজা লাগতো। প্রাইমারিতে যখন ছিলাম তখন তো আর পড়াশোনা তেমন একটা টেনশন ছিল না যাই পড়তাম সেটাতেই পাস সত্যি বলতে আজ পর্যন্ত আমি বোর্ড পরীক্ষায় কখনো ফেল করিনি। আর পড়াশোনা বরাবরই আমার তেমন একটা ভালো লাগে না।
মাঝখানে যখন এসএসসি দিতে গেলাম তখন বেশ ভালোই পড়েছিলাম এবং একটা ভালো রেজাল্টও করেছিলাম তবে বর্তমানে বাস্তবতা যত বেশি দেখছি তত বেশি পড়াশোনা করার প্রতি যেন মনটা মরে যাচ্ছে । বুঝতে পারছি যে জীবনে স্টাবলিশ হওয়ার জন্য পড়াশোনার প্রয়োজন আছে তবে একটি লিমিটেড পড়াশোনা হলেই যথেষ্ট। দেখা যাচ্ছে জীবনের অধিকাংশ সময় আমরা পড়াশোনার পিছনে নষ্ট করে ফেলি আর আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের একটাই মাত্র ইনস্ট্রাকশন থাকে সেটা হচ্ছে পড়াশোনা করার পর একটা ভালো চাকরি পেতে হবে।ভালো চাকরি যদি পায় তাহলে সমাজের সম্মান পাওয়া যাবে আর যদি না পাই তাহলে সমাজের মূল্য পাওয়া যাবে না। সত্যি বলতে কি জানেন শুধুমাত্র এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা চাকরির পিছনে ছুটতেছি। অনেক হেঁটে দেখা যায় অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বাড়িতে থেকে বেশ ভালো একটা এমাউন্টে টাকা উপার্জন করছে যেটা হয়তোবা চাকরি করে উপার্জন করাটা সম্ভব নয় তবুও সে পরিচয় দিতে পারে না যে আমি অনলাইনে চাকরি করি এটি উপার্জন করছি। আসলে সমাজের সবাই তো এক রকম নয় কিছু কিছু মানুষ রয়েছে এগুলো একেবারে হাসি ঠাট্টার মত করে নিবে কিন্তু এগুলো তো একদম সিরিয়াস একটা কথা।
তো যাই হোক সেগুলো কথা বাদ দেই যদি ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে আপনাদের মাঝে আর কথা বলছিলাম তাই আরেকটা সুন্দর আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমাদের এখানে মাইটি খেজুর বলে একটা খেজুর থাকতো এই খেজুরের রঙটা অনেকটা চকলেট কালারের হয়ে থাকে আর ওই খেজুরটা সমস্ত খেজুরের চেয়ে সাদে আলাদা হয়ে থাকে। সত্যি বলতে গেলে এটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই খেজুর গাছটা কিন্তু বেশি একটা বড় নয় অনেক ছোট তাই আমরা সকালে ভোর বেলায় উঠে আগে ওই খেজুরের গাছে যেতাম যদি উচ্চতার কথা বলি তাহলে হয়তো বা চার থেকে পাঁচ ফিট উচ্চতা হবে এই খেজুর গাছটার আর এই বয়সে খেজুর প্রচুর পরিমাণে আসতো। তো আমরা ওখানে গিয়ে মোটামুটি খেজুরগুলো হাতে পেতাম এবং প্রতিদিন দেখতাম যে কয়টা খেজুর পাততো। তো যদি কোন আর খেজুর পেকে যেত তাহলে আমরা ওই খেজুরটিকে নিয়ে এসে পরবর্তীতে পরিষ্কার করে স্কুলে নিয়ে যেতাম। তোর সেই সময় গুলো অনেক বেশি উপভোগ করেছি আর কোথায় চলে গেল সে গোল্ডেন সময় গুলো আর হয়তোবা ফিরে পাবো না তবে স্মৃতিগুলো রয়ে যাবে আজীবন স্মৃতির পাতায়। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে আমার এই ব্লগটা উপভোগ করার জন্য।
আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
ক্রোম | ব্লগার | @emonv |
---|---|---|
১ | ডিভাইস | Tecno camon 20 |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![]()
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা চাইলেও আর শৈশব কে কখনো ফিরে পাবো না। শৈশবের প্রতিটি স্মৃতি রঙিন। আমিও ভালো ছিলাম এখন আর পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করেনা। আমাদের মত মধ্যবিত্ত সন্তানদের একটাই আশা সেটা হলো চাকরি। আমরা পড়াশোনা করি চাকরির জন্য। অনলাইন ইনকাম করি এই কথাটা সত্যি কাউকে বলা যায় না। চাকরির মাধ্যমে যে সম্মানটা পাওয়া যায় অনলাইনে কাজ করে হয়তো সমাজের থেকে সেই সম্মান টা পাওয়া যায় না। দিনশেষে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের চাকরি একমাত্র ভরসা। দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোষ্টের মাঝে খুবই বাস্তবিক কিছু কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া। কথাগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কথাগুলো শুধু আপনার নয়, আমাদের মতো প্রতিটি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit