শীতের সময় পিঠা খাওয়ার অনুভূতি ‌|| আমার বাংলা ব্লগ

in hive-129948 •  last year 

Picsart_23-12-10_19-14-41-278.jpg

আজ- রবিবার

অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩০বঙ্গাব্দ
ডিসেম্বর, ০৫ , ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ


সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আজকে আবার আমি নতুন একটা পোস্ট শুরু করতে যাচ্ছি। আজকের সুমন ভাইয়া হঠাৎ করে দুপুরে ফোন দিয়ে বলল ইমন আজকে বামুন্দি তে যেতে চাচ্ছি তুমি কি যাবা? আসলে সুমন ভাইকে আমি বড় ভাই ,বন্ধু সবটাই মনে করি কারণ তিনি যেমন আমাকে শাসন করেন তেমনি বন্ধুর মতো করে সব জায়গাতে সাথে নিয়ে যান এবং দুনিয়াটা কেমন এবং কোথায় কিরকম সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এই সম্পর্কে তার মূল্যবান যুক্তি দেন। তো তারপরে আমি যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলাম। আসলে বামুন্দিতে যাওয়ার আজকে মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাবীর জন্য ওষুধ কেনা এবং শীতের পিঠাপুলি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আজ আমার বাসায় একটু কাজ ছিল যার জন্য বিকেলে যাওয়াটা সম্ভব হয়নি তাই এই সন্ধ্যার মাঝামাঝি অবস্থায় আমি এবং ভাইয়া দুজনে আমার বাইক এ চেপে চলে গেলাম বামুন্দিতে তারপর ২০থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলাম বামনন্দি বাজারে তারপরে ভাইয়া আমাদের রেজাউন ভাইকে একটা কল দিছিলো ইচ্ছা ছিল তার সঙ্গে দেখা করব তবে হয়তোবা উনি ব্যস্ত ছিলেন যার জন্য কলটা রিসিভ করতে পারেননি তাই আর দেখা করা হলো না।

IMG_20231210_180800_418-01.jpeg
IMG_20231210_180819_096-01.jpeg

যাই হোক এদিক থেকে ভাইয়া কেনাকাটা করছে অন্য দিক থেকে আমি একটু বাজারটা ঘুরে ,ঘুরে দেখছিলাম তারপরে একপর্যায়ে সব কেনাকাটা শেষ করে আমরা চলে গেলাম পিঠা খাওয়ার উদ্দেশ্যে পিঠা ওয়ালার কাছে। পিঠা ওয়ালার কাছে গিয়ে ভাইয়া পিঠা অর্ডার করলেন তো এখানে পিঠা খাবার মজাটাই অন্যরকম কারণ এক দিক থেকে গরম গরম পিঠা তৈরি করছেন এবং অন্য দিক থেকে আমরা সেগুলো চেয়ারে বসে ,বসে খাচ্ছি শীতের সময় গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তো আমি একটু মিষ্টি খাবার কম খাই যার জন্য আমি কয়েকটা পিঠা খাবার পরে একটু ঝাল জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা হল তারপরে পাশে দেখলাম গরম ডিম বিক্রি করছে তারপরে আমি ডিম ওয়ালাকে বললাম আঙ্কেল আমাকে আধা সিদ্ধ করা একটা ডিম দেন খেয়ে দেখি কেমন লাগে। তো ডিমটা তেমন একটা আধা সিদ্ধ নয় যাই হোক ডিমটা আঙ্কেল দু'ভাগ করে ওর উপরে মসলা ছিটিয়ে দিয়ে খাওয়ার জন্য দিয়ে দিলেন গরম গরম ডিম খেতে বেশ ভালই লাগলো।আজ যেহেতু আমি শুধুমাত্র একটা ফুলহাতা টি শার্ট গায়ে দিয়ে গিয়েছিলাম যার জন্য বাইক চালানোর সময় খুব ঠান্ডা লাগছিল।

IMG_20231210_180554_767-01.jpeg
IMG_20231210_180544_019-01.jpeg

তারপরে সুমন ভাইয়া বলল ভাবি নাকি বড়া খেতে খুব পছন্দ করে তো তাই উনি বড়া নিবেন। তো উনি বললেন আমাদের জন্য ৫০ টাকা নেয় এবং ভাবীর জন্য ৫০ টাকা নেয়। আমি বললাম ভাইয়া বড়া খেতে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না কারণ এটি খেলে পরবর্তীতে এসিডিটিতে অনেক সমস্যা করে পেটের ভিতরে এবং গলার ভিতরে জ্বালা করে যার জন্য বললাম একটা কাজ করেন আমাদের জন্য সিঙ্গারা নেন এবং ভাবির জন্য পিয়াজ বড়া নেন এটাই ভালো হবে তো তারপরে ভাইয়া বলল ঠিক আছে এটাই হোক। ভাবীর জন্য ভাইয়া বড়া নিলেন এবং আমার এবং আমাদের জন্য সিঙ্গারা নিলেন। এবার প্রায় ২০ মিনিট পর আমাদের বাসার কাছাকাছি আসার সময় একটা রাস্তা রয়েছে যেখানে একটা সুন্দর বসার জায়গা তৈরি করা রয়েছে এবং পাশে রয়েছে পানি খাওয়ার টিবঅয়েল তো ভাইয়া বলল যে এখানে বসে সিংগারা খাওয়া যাক এবং পাশে তো পাব ওডয়েল রয়েছে খাওয়ার শেষে এখান থেকে পানি পান করা যাবে। তো তারপরে দুজনে গল্প করতে করতে গুলো খেলাম এবং এইমাত্র বাড়িতে পৌঁছলাম। আজকে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যি ই অনেক চমৎকার ছিল ধন্যবাদ সুমন ভাইয়া 🥰🤭😉

  • ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।

🫂ধন্যবাদ!!!🤵


ব্লগার@emonv
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix note 11 pro
[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জীবনে এরকম বড় ভাই অনেকগুলো পেয়েছি । যারা বন্ধুর মত অনেক ভালো বুদ্ধি দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। তাদের সাথে এখনো চলাচল করি। সত্যিই জীবনের এটাই বড় সার্থকতা। আজকে বামুন্দি বাজারে গিয়ে কিছু কেনাকাটার পরে পিঠা খাওয়া ডিম খাওয়া এই মুহূর্তগুলি বলে দেয় ভালোবাসা কতটুকু। সেটাই আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।

Posted using SteemPro Mobile

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

শীতকাল মানেই পিঠার আয়োজন। আর এই বিভিন্ন পিঠার রেসিপি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে। আজকে আপনার পিঠের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ লিখেছে।

Posted using SteemPro Mobile

শীত কথা মনে হলেই পিঠার কথা মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। অন্য ঋতুতে পিঠা খেতে এতটা স্বাদ পাওয়া যায় না, যতটা না শীত ঋতুতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে যদি গ্ৰামের রাস্তার পাশে বসে এভাবে পিঠা খাওয়া যায় তার আনন্দটা অনেক বেশি। আপনার পিঠা খাওয়ার অনুভূতি মূলক পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

বাহ শীতের দিন গরম গরম পিঠা সেই সাথে ডিমও দেখা যাচ্ছে, বেশ ভালো একটা সময় কেটেছে সেটা সময় গরম গরম পিঠা খাবার মজাই আলাদা সময়টা বেশ ভালো এনজয় করেছেন।

শীত মানেই কনকনে সকালে বা, গোধূলি সন্ধ্যায় আরেক রকম পিঠা খাওয়ার আনন্দ। শীতকালে সব জায়গায় খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়‌। গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন। আপনার পিঠা খাওয়ার দেখে তো ভাই আমারও পিঠা খেতে ইচ্ছে করতেছে। শীতের সময় পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য। আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

ভাপা পিঠা আমার খুব প্রিয়।
বিশেষ করে বেশি করে নারকেল দিয়ে প্রস্তুত করলে খেতে সবথেকে বেশি মজা হয়।
রাস্তার পাশে এমন টং দোকান থেকে প্রায় দিনে ভাবা পিঠা খাওয়া হয়।
আপনাদের পিঠা খাওয়ার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো।

শীতের সন্ধ্যায় ভাপা পিঠা খাবার মজাটাই যেন অন্য রকমের। আপনি আর সুমন সাহেব দেখছি সন্ধ্যার সময় বামুন্দি চলে গিয়েছেন ভাপা পিঠা খাবার জন্য। ভাবছি আমিও একদিন সন্ধ্যার সময় বামুন্দি যাব এই ভাপা পিঠা খেতে।

শীতের সময় রাস্তার পারে দাঁড়িয়ে দোকান থেকে কিনে পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে বাড়িতে বানানো পিঠার স্বাদ একটু ভিন্ন মনে হয়। পিঠা তারপর সিঙ্গারা খেয়েছেন এই শীতের মধ্যে ব্যাপারটা বেশ ভালই হয়েছে। আসলে এই সময় বাইক চালাইতে গেলে একটু শীত শীত লাগে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে শীতমানে পিঠাপুলি।শীতের দিনে গরম গরম পিঠা খেতে কি যে ভালো লাগে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।ডিমে মসলা ছড়িয়ে দিয়েছে দারুণ লোভনীয় লাগছে।ঠিক বলেছেন বড়া ভাজা খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে তবে খেতে বেশ ভালোই লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

শীতের সন্ধ্যায় বামুন্দি বাজারে গিয়ে ভাপা পিঠা আর ডিম সিদ্ধ খাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে আমাদের বামুন্দি বাজারে শীতের শুরু থেকে একেবারেই শীতের শেষ পর্যন্ত সুস্বাদু পিঠা তৈরি করে। এই পিঠাগুলো দামেও বেশ সস্তা রয়েছে। যাহোক বামুন্দি বাজার থেকে সুস্বাদু পিঠা খাওয়ার চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

শীতকাল মানেই তো পিঠাপুলির উৎসব।বাজারে এখন বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করা হয়।রাস্তার পাশের এসকল দোকানের পিঠা গুলো বেশ মজার হয়।আপনার পিঠা খাওয়ার অনুভূতি মূলক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।