আজ - শনিবার
সবাইকে সুস্বাগতম এবং সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে আমার নতুন একটি পোস্ট আমি শুরু করতে যাচ্ছি। আজকে আমার ইচ্ছা ছিল সকালে ভোরবেলা উঠেই পোস্ট টি করে ফেলবো কিন্তু সকালবেলা আজকে একটু অসুস্থ হয়ে গেছিলাম যার কারণে আর পোস্টটা করতে পারিনি। তবে ইচ্ছা ছিল যে দুপুর বেলায় ডিনার শেষ করার পরে ফ্রেশ হয়ে কাজে বসব কিন্তু আজকে হঠাৎ করে আমাদের একটা ভাই যার নাম হচ্ছে রাকিব উনি অসুস্থ হয়ে যায়। কি জানি হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হল শুরু হলো এবং হাত এবং পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। এই জিনিসটা দেখে আমরা সবাই অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম এবং সাথে সাথে মাথায় পানি দিয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলাম। তারপরে হসপিটালের যে ডক্টরগুলো ছিল তখন তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালু করতে শুরু করল এবং একটা প্রেসক্রাইব করে দিল কিছু ওষুধ আনার জন্য। তারপরে আমি এবং আরেকটা ছোট ভাই দুজনে মিলে ফার্মেসি থেকে ওই ওষুধ এবং স্যালাইন গুলো ক্রয় করে আনলাম এরপরে নার্সের হাতে সেগুলো দিয়ে দিলাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তারা এগুলো তার শরীরে পুশ করে দিল। মোটামুটি অনেকক্ষণ পরে ভাই স্বাভাবিক হলো এবং আমাদের টেনশন টা একটু হলেও কমলো। তখন ডাক্তার বলল যে এন আর হয়তোবা দুশ্চিন্তার কারণে এইসব লক্ষণ গুলো দেখা দিয়েছে।
আসলে মূলত ভাইয়ের মূল সমস্যা ছিল হচ্ছে টেনশন। কারণ কয়েক মাস হল উনার আম্মু মারা গেছে যার কারণে এমনিতেই উনি মানসিকভাবে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে গেছিল তার উপরে তাদের আর্থিকভাবে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত তা এসেছে। বিশেষ করে তাদের গরুর খামার রয়েছে সেই খামারের কয়েকটা গরু মারা গেছে যার জন্য টেনশন টা আরো বেশি বেড়ে গেছে। তো এইসব কারণে জন্য হয়তোবা তিনি অসুস্থ হয়ে গেছে আর এই সমস্যাটা এনার এর আগেও হয়েছে আসলে উনার কথা মত উনি এইসব চিকিৎসা করাবেন না উনি বড় কোন জায়গায় চিকিৎসা করাতে চান কারণ উনি এদিক থেকে ওষুধ খেয়ে অনেক দেখেছে কিন্তু তিনি তেমন একটা ভালো ফল পাননি । তবে যাই হোক আমাদের সামনে যখন উনি অসুস্থ হয়ে গেছিল তখন আমরা সবাই অনেক মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে গেছিলাম এখন মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ রয়েছে। তো আজকে আমি সারাদিন ওখানেই ছিলাম এবং একটু আগে বাড়িতে আসলাম অনেকে হসপিটাল থেকে রিলিজ নিয়ে। এবার যখন ইজিবাইকে এ ওনাকে নিয়ে আসছিলাম তখন স্যালাইনটা খুলে রাখছিলাম কিন্তু বাড়িতে এসে যখন স্যালাইনটা আবার উনার শরীরে দেই।
তখন স্যালাইন আর উনার শরীরের টানে না।স্যালাইনের ভলিউম ফুল দেওয়ার পরেও স্যালাইন আর উনার শরীর পুশ হয় না তো এটা দেখে আমরা সবাই ভয় পেয়ে গেছিলাম। তখন আবার তাড়াহুড়া করে আমরা আমাদের এখানে একটা প্রাইভেট হসপিটাল রয়েছে ওখানে নিয়ে গেলাম এবং তখন ওনারা স্যালাইন এর যেই পূরণ নলটা রয়েছে ওরা পরিবর্তন করে দিল এবং শরীরের ভিতরে স্যালাইন কিছু বের করে আবার পুনরায় পুশ করল তারপর আবার এটা ঠিক হয়ে গেল। তো যাই হোক এখন উনার রুমে ছিলাম ওখান থেকে একটু গল্প করে উনাকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দিয়ে কেবল রুমে আসলাম। এসে দেখি প্রায় এগারোটা পার হয়ে গেছে কিন্তু আমার প্রত্যেক দিনের কাজ প্রত্যেকদিন করায় লাগবে এই জন্য এখনই পোস্ট করতে বসে পড়লাম। কারণ বারোটার আগে আমার পোস্ট শেষ করা লাগবে তা নাহলে হয়তোবা আজকের এই দিনটা নষ্ট হয়ে যাবে। তো এজন্যই আমি খুব দ্রুত পোস্ট করার চেষ্টা করছি আজকে আর একটা কথা অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা উচিত সেটা হচ্ছে আমাদের শরীরেই হচ্ছে আমাদের সম্পদ।
আমাদের এদিকে নজর রাখতে হবে যেন আমাদের শরীর সবসময় সুস্বাস্থ্য থাকে এবং সুস্বাস্থ্য খাবার দাবার খেয়ে আমরা যেন বেঁচে থাকতে পারি। কারণ যদি একবার নিজের কিছু হয়ে যায় তাহলে পুরো পরিশ্রমিই বৃথা তাই। আমাদের পরিশ্রম করার পাশাপাশি টেনশনটা কমাতে হবে এবং আমাদের শরীরের যত্ন নিতে হবে আসলে টেনশন করলে তেমন কিছু একটা হয় না কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা কিছু না কিছু, প্রত্যেকটা মানুষের কপালে রেখেছে আর আমাদের জীবন যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেভাবেই অতিবাহিত হবে। তাই টেনশন না করে সবকিছু আল্লাহ তাআলার হাতে ছেড়ে দিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে হবে । তাহলে জীবনটা সুন্দর হয়ে উঠবে এবং টেনশন অনেক বেশি কমে যাবে। আর বর্তমানে যে সব রোগগুলো হচ্ছে হাই প্রেসার বিপি সবগুলোই টেনশনের কারণে হয়ে থাকে তাই এটা অনেক মারাত্মক একটা ব্যাধি তৈরি হয়ে যাচ্ছে আমাদের মধ্য। আসলে টেনশন হওয়ার কিছু কিছু কারণ রয়েছে কারণ বাংলাদেশ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি খারাপ অবস্থায় আছে তবে যাই হোক এগুলো সবসময় দিক থেকে আশা করি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। ততদিন আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে যাই হোক ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং পোস্ট |
লোকেশন | সিরাজগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের টেনশন থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। ভাইয়ের টেনশন অনেকগুলো দেখলাম। এক দিকে মা মারা গেল তাছাড়া খামারের গরু মারা গেল টেনশন হওয়ারই কথা। আপনার ওই ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি। মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টেনশন বা দুশ্চিন্তা খুবই বাজে একটা জিনিস খুবই বাজে জিনিস। এটা মানুষ কে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। আপনার পোস্ট টা পড়ে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে। আমি নিজেও মোটামুটি এটার স্বীকার। চাইলেও যেন বাদ দিতে পারি না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মানুষের যদি টেনশন হয় তাহলে তাকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যাগুলো থেকে বের হয়ে আসাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়৷ আসলে আমাদের অনেকগুলো কারণে অনেক ধরনের টেনশন হয়ে থাকে৷ সে টেনশন গুলো যদি অনেক বড় ধরনের হয় তাহলে আমাদের অনেকটাই কষ্ট হয়৷ যাইহোক দোয়া করি যেন অতি তাড়াতাড়ি এই টেনশন গুলো থেকে বের হয়ে আসা যায়৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit