নাটক রিভিউঃ- ভাত

আজ - শুক্রবার

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

আসলে ঢাকা শহরে মানুষ কতটাই না কষ্টে আর ভাতের জন্য কতই না লড়াই করে এই নাটকটা তার জলদান্ত প্রমাণ। নাটকটার প্রথমে থামনেল দেখেই আমার একদম ভিতরে আঘাত করেছে কারণ এই দৃশ্যগুলো বিশেষ করে আগের মানুষদের ভিতরে দেখা যেত যে তারা তিন বেলার মধ্যে শুধু এক বেলায় ভাত খেতে পারত আর বাকি দুই বেলা পানি খেয়ে থাকত। তো এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমি প্রথমে নাটকটা দেখতে বসলাম তো আজকে আমি এই নাটকের বিস্তারিত এবং সংক্ষিপ্ত একটি রিভিউ পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি আপনারা উপভোগ করবেন। আচ্ছা নাটকটি রিভিউ করার পূর্বে তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করে নেই তাহলে হয়তোবা নাটকটি বুঝতে আপনাদের আরো বেশি সুবিধা হবে।
নাটকের নায়ক এবং নায়িকার আসল নাম

• শামীম
• তানিয়া

এবার নাটকের সামান্য কিছু তথ্য জেনে আসা যাক।

নাটকের নাম	ভাত
ডেসক্রিপশন	জাকিরুল ইসলাম রিপন
অভিনয়	শামীম ইসলাম, তানিয়া, মনিরা আরো অনেকেই।
মিউজিক	সজীব

নাটকের প্রথমেই আমরা দেখতে পাই যে শামীম ব্যাচেলার একটা টিনের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকে।
সে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে তবে চাকরি করলেও তার বেতন ঠিকমতো তারা দেয় না। আসলে বলতে গেলে ওটা একটা ভুয়া কোম্পানি তো কয়েক মাস মার্কেটে আসার পরে তারা হারিয়ে যায় এবং যারা এমপ্লয়ি ছিল তাদের সব সবার টাকা নিয়ে তারা চলে যায় কারণ তাদের টাকা দেয়ার মত কোন অ্যাাবিলিটি ছিল না। এদিকে শামীম ঢাকা শহরে নতুন এসেছে তার কাছে খাওয়ার টাকাও নেই। তো কোনভাবে খোঁজ পেল যে একটা খালা মাসে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে তিন বেলা খেতে দেয় তো শামীম প্রথমে সেখানে গেল গিয়ে খালাকে কনভেন্স করার চেষ্টা করল যে আমি আমি আপনার কাছে খেতে চাই তবে বর্তমানে আমার কাছে তেমন টাকা নেই চাকরির বেতন পেলে দিয়ে দিব। তারপরে খালা বলল যে এখানে সবাই এমন কথা বলে এবং তুমি যদি টাকা না দিয়ে চলে যাও সে ক্ষেত্রে আমার কি হবে? তুমি যদি কোন গ্যারান্টি দেওয়ার মতো লোক নিয়ে আসতে পারো সে ক্ষেত্রে আমি তোমার খাওয়ার দায়িত্ব নিতে পারি।

শামীম যেহেতু নতুন ছিল তাই তার তেমন কোন লোক ছিল না সে হতাশ হয়ে যখন ফিরে আসছিল তখন খালার মেয়ে তার নামে সুপারিশ করে বলল যে আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু ওকে খেতে দেও দেখে তো ভদ্র ঘরের ছেলে মনে হয় হাতের পাঁচটা আঙ্গুল তো সমান নয়। তো তারপরে ১৫ দিন খাওয়ার পরে যখন শামীম একটা টাকাও দিতে পারে না তখন সে আর খেতে যায় না এবং ১৫ দিন পর খালার মেয়ে শামীমের বাসায় এসে টাকার কথা বলে। তখন সে তার সীমাবদ্ধতার জায়গা গুলো তারা সামনে তুলে ধরে যেভাবে আমাদের টাকা নিয়ে কোম্পানি চলে গেছে তাই আমি আপনার টাকা দিতে পারছিনা। আমি কয়েকদিনের মধ্যে একটা ইন্টারভিউ দিতে যাব যদি ওই চাকরিটা আমার হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমি আপনার টাকা পরিশোধ করে দিব। তারপরেও তানিয়া শামীমের কথা বুঝতে চায় না। তারপরে শামীম যখন একটা সোনার দুল তাকে দিয়ে দেয় এবং বলে যে এটা আমার মায়ের, সম্পদ বলতে আমার কাছে এটুকুই রয়েছে আপনি এটা বিক্রি করে আপনার মায়ের সব টাকা দিয়ে দিয়েন। তখন তানিয়া শামীমকে বিশ্বাস করে।

এবং নিয়মিত তিন বেলা তার জন্য খাবার আনতে শুরু করে তো এইভাবে যখন শামীমের চাকরিটা হয়ে যায় তখন জয়েনিং এ পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতন পায় এবং সবাইকে জানিয়ে সবাই অনেক খুশি হয়। তানিয়া ও অনেক খুশি হয় তো তারপরে শামীমের সঙ্গে বসের মেয়ের অন্যরকম একটা ভাব জমে যায়। এবং বসের মেয়ে শামীমকে পছন্দ করতে শুরু করে তো যাই হোক এক পর্যায়ে শামীমকে থাকার জন্য কোম্পানি থেকে বাসা দেওয়া হয় তো যখন শামীম পুরনো বাসাটা ছেড়ে দেয় তখন তানিয়া অনেক বেশি কষ্ট পায় এবং তার জন্য প্রতিদিন অফিসে খাবার নিয়ে যাই তো এক পর্যায়ে গেট দারোয়ান তাকে খাবার দিতে দেয় না তারপরে তানিয়া অনেক বেশি কষ্ট পাই আর তানিয়া থেকে শামীম অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় কারণ সে সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকে এবং এখান থেকেও যেহেতু চলে গিয়েছে তাই দুজনের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে তানিয়া অনেক বেশি কষ্ট পাই। তো এক পর্যায়ে তানিয়া তার মায়ের কাছ থেকে প্রতিদিনই খাবার নিয়ে যাই এবং রাস্তা যেই বৃদ্ধ মুরুব্বী গুলো রয়েছে তাদেরকে খেতে দেয়। এবং একপর্যায়ে তানিয়ার এক্সিডেন্ট হয়ে যায় আর এখানেই নাটকটি শেষ হয়।

আসলে নাটকের কাহিনী টা আমার কাছে তেমন একটা যুক্তিগত মনে হয় নাই তবে কাহিনীটা আরো বেশি বেটার হতো যদি আগের মানুষের দৃশ্যগুলো আমাদের মধ্য ফুটে ফুটিয়ে তোলা যেত। তবে মোটামুটি তারা খুব ভালোভাবে চেষ্টা করেছে তাই যদি রেটিং এর কথা আসে তাহলে আমি ১০/৬.৫ দিতে চাই।

আর এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে ভাত এমন একটা মূল্যবান জিনিস যে সবার কপালে তিন বেলা জুটে না। তাই অবশ্যই আমাদেরকে সঞ্চয় করে খেতে হবে এবং কখনোই খাবার নষ্ট করা যাবে না। যাইহোক ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে ব্লগটা উপভোগ করার জন্য আবার খুব শিগগিরই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে তখন সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

ব্লগার	@emonv
ডিভাইস	Tecno camon 20
শ্রেণী ‌	নাটক রিভিউ পোস্ট
লোকেশন	সিরাজগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা

🔚 সমাপ্তি

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy