সুস্বাদু গুড়ের খাজা রেসিপি || ১০% @shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  3 years ago 

Picsart_22-01-07_18-00-02-407.jpg

আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও ভাল আছি ।পোস্টের প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় দাদা সহ আমার বাংলা ব্লগের সকল সুদক্ষ মডারেটরদের । যাদের অক্লান্ত এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে আমি আমার মাতৃভাষায় স্বাধীনভাবে পোস্ট করতে পারছি। আজকে আমার পোষ্টের বিষয় হচ্ছে গুড়ের খাজা রেসিপি। এই রেসিপি টা আমি ব্যক্তিগতভাবে খেতে অনেক ভালবাসি ।বিশেষ করে যারা মিষ্টান্ন খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য এই রেসিপিটা হতে পারে খুবই মজাদার একটি রেসিপি। এবং এই রেসিপিটা আমাদের গ্রাম অঞ্চলে অনেক জনপ্রিয় একটি রেসিপি । বিশেষ করে শীতকালে রেসিপিটা সবচেয়ে বেশি তৈরি করা হয়। এই রেসিপিটা ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই খেতে পারবে । আজকে আমি আপনাদের মাঝে দেখাবো কিভাবে খুব সহজেই আপনারা তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু গুড়ের খাজা রেসিপি । তবে চলুন শুরু করা যাক।

# রেসিপিটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান

ক্রমিক নম্বর ‌উপাদান ‌পরিমাণ
চাউল২০০ গ্রাম
কুসুরের গুড়৩০০ গ্রাম
লবণস্বাদ অনুযায়ী
কলার পাতা১ টি

image.png

ধাপঃ-১


IMG_20220107_111117.jpg

প্রথমে পরিমানমতো চাউল একটি পাত্রে আলাদা করে রেখে দিলাম।
image.png

ধাপঃ-২


IMG_20220107_111328.jpg

এবার কড়াই এর উপরে দিয়ে চাউল গুলো ভাল করে ভেজে নিতে হবে।

image.png

ধাপঃ-৩


IMG_20220107_111426.jpg

অবশেষে চাউল ভাজা শেষ হয়ে গেল এবার চাউলগুলো একটি আলাদা পাত্রে রেখে দিলাম।
image.png

ধাপঃ-৪


IMG_20220107_111546.jpg

এবার কুসুরের গুরগুলো কড়াই এর উপরে রেখে ভালো ভাবে গরম করে নিতে হবে।
image.png

ধাপঃ-৫


IMG_20220107_111952.jpg

এবার গুড় এবং চাউল ভাজা ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
image.png

ধাপঃ-৬


IMG_20220107_112507.jpg

এবার মিশিয়ে নেওয়া শেষে কলার পাতার উপরে ছোট ছোট করে ঢেলে দিতে হবে।
image.png

ধাপঃ-৭


IMG_20220107_113621.jpg

এবার ঠাণ্ডা করে একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলেই খাওয়ার জন্য এবং উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুত।
image.png

ধাপঃ-৮


IMG_20220107_113849.jpg

রেসিপির সাথে আমার একটা ছবি।
image.png

🫂ধন্যবাদ!!!🤵


ফটোগ্রাফার@emonv
ফটোগ্রাফি ডিভাইসVIVO Y12 A

image.png

[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

image.png

image.png

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZjhKfwarvyppgw9vqb9HZvwjHzdVYbXjNSwmxX8BvQtkJibkzjkMfqSg4GHwc6sRTpcDcvAvyxra.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই সময়টাতে গুড় খুব জনপ্রিয় থাকে এবং সত্যিই খুব ভালো লাগে এবং গুড় দিয়ে তৈরি যেকোনো কিছু খেতে। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য এবং এটি অনেক ইউনিক একটি রেসিপি যা দেখি আসলে জিভে জল এসে যাচ্ছে।

ধন্যবাদ সাইফুল ভাই আপনার মূল্যবান মতামত টা শেয়ার করার জন্য।

গুড়ের খাজা রেসিপিটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। অনেক পুরোনো একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। গুড় দিয়ে খাজা খেতে অনেক টেষ্ট লাগে। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন‍্য।

জ্বি ভাই একদম ঠিক বলেছেন খুবি টেষ্টি রেসিপি। বাড়িতে একবার ট্রাই করতে পারেন খুবই মজা পাবেন।

অনেক দিনের কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া।ছোট বেলায় এই খাজা খাওয়ার জন্য অনেক দুর দোকানের পিছু পিছু ছুটটাম।অনেক ভালো ছিল সেই দিনগুলো।অনেক সুন্দর ও নিখুঁত ভাবে আপনি সব করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে।আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর ও ইউনিক একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া আমিও ছোটবেলায় এই রেসিপিটা খুবই ভালবাসতাম ,এখনো খুবই ভালোবাসি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

এটি খেতে খুবই মজাদার বাড়িতে একবার ট্রাই করতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

গুড় দিয়ে খাজা বানানোর দারুন একটি প্রসেস আপনি দেখিয়েছেন আমার কাছে এটা অনেক ভালো লেগেছে। আর এটা দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে খুবই মজার হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

গুড়ের এই খাজা গুলো খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি বাসায় অনেক সময় এই খাজা গুলো তৈরি করে থাকি। আমাদের বাসার সবাই আমার হাতের খাজা গুলো খেতে পছন্দ করে। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এ রেসিপি দেখে খুব লোভ লেগে গেলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমাদের বাড়িতেও অনেকে খেতে এটি খুবই পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

  • ভাই একা একা খেয়ে ফেললেন? দেখে তো জিভে জল চলে আসে এসব রেসিপি দেখলে। খুব অসাধারণ দেখাচ্ছে দেখতে। এসব রেসিপি খেতে খুব মজা হয়ে থাকে।

আপনার জন্য দাওয়াত রইল ভাই, একদিন আসেন আমাদের গ্রামে অবশ্যই তৈরি করে খাওয়াবো। 🥰

ওয়াও ভাই এবং তিল দিয়ে খুবই লোভনীয় খাজা পনির প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য মনে হচ্ছে এখনই একটু তুলে খেয়ে নেই এই খাগাটি আমার কাছে সম্পূর্ণ ইউনিক মনে হচ্ছে কারণ গুড় দিয়ে এরকমভাবে কখনো খাজা তৈরি করে খাওয়া হয়নি ধাপগুলো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য

আপনাদের ভাল লেগেছে এতেই আমি অনেক খুশি ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।❤️

আপনার তৈরি গুড়ের খাজা টি দেখার পরে আমার অনেক লোভ লেগে যাচ্ছে ইচ্ছা হচ্ছে এখনি এটা যদি খেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে খাজা তৈরীর পদ্ধতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এমন একটা জিনিস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনাদের ভালো লাগলে আমারো অনেক ভালো লাগে ভাই। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

ভাই আপনার মত গুড়ের খাজা আমিও খেতে ভালোবাসি।তবে সব সময় কিনে খেয়েছি।বাসায় বানানো হয়নি কখনো।আপনার রেসিপি বানানোর পদ্ধতি দেখে শিখে নিলাম।ধাপগুলো বেশ ভালোভাবেই উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

জি ভাইয়া এটি খেতে আমিও অনেক ভালোবাসি। একবার বাড়িতে তৈরি করে দেখেন খুব মজা খেতে।

গুড়ের খাজা আমার খুবই পছন্দের খাবার ভাই। ছোটোবেলায় খুবই খেতাম।এখন তেমন একটা খাওয়া হয়না।আপনি খাজা বানানোর পদ্ধতি খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

দারুন মূখরোচক একটি খাবারের রেসিপি করেছেন আপনি। আমার তো খেতে ইচ্ছা করছে ভাই বেশ গুছিয়ে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইলো

ওয়াও লোভনীয় গুড়ের খাজা রেসিপি । দেখে জিভে জল চলে এসেছে । গুর দিয়ে যেকোনো জিনিস খুব ভালো লাগে ।আপনি চাল দিয়ে খাজা রেসিপি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার।

জ্বী ভাইয়া গুড় দিয়ে যেকোনো রেসিপি আমার অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

খুব সুন্দর করে আপনি চাউল দিয়ে তার সাথে গুড় মিশিয়ে আপনি খাজা তৈরী করেছন। এটা খুব সুস্বাদু ও টেস্টি। এবং ধাপ গুলো ভালোভাবে বর্নণা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

ছোটবেলায় মাঝে মাঝেই তিলের খাজা খাওয়া হতো। কিন্তু গুড়ের খাজা এই প্রথম দেখলাম আমি। দেখে খুবই মচমচে হচ্ছে। তৈরীর প্রক্রিয়া টা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন মজাদার একটি জিনিস আমাদের তৈরি করে দেখানোর জন্য। শুভেচ্ছা রইল আমার পক্ষ থেকে।

জি ভাইয়া এটি খেতে অনেক মুচমুচে এবং অনেক মিষ্টি। বাড়িতে একবার ট্রাই করতে পারেন খুবই মজা পাবেন খেয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।