ক্রিয়েটিভ রাইটিং || ছোটবেলার জনপ্রিয় আউটডোর খেলা ||

in hive-129948 •  9 months ago  (edited)

আজ - শনিবার

১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মে ২৫, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

বর্তমানে ইনডোর গেম গুলো অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে কিন্তু আমাদের যখন ছেলেবেলা ছিল তখন আমরা আউটডোর গেম গুলো সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতাম। এর ভিতর অন্যতম ছিল ঢং, গোল্লাছুট, কাবাডি, এবং গপ্পু খেলা। এই গেমগুলো আমরা অনেক পছন্দ করতাম প্রতিদিনই এই গেমগুলো নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকতাম এবং সবচেয়ে বেশি মজা করে খেলতাম গুটি খেলা এবং ঢাঙ্গল খেলা। কাবাডি ব্যতীত হয়তোবা ইন্টারন্যাশনাল ভাবি কোন খেলারই অস্তিত্ব নেই তবে এই খেলা গুলো ছোটবেলায় আমাদের সবচেয়ে ফেভারিট এবং ভালোলাগার খেলা ছিল। এখন বর্তমান টেকনোলজির উন্নতির কারণে সব সময় বিদ্যুৎ থাকে আর অতিরিক্ত গরম পড়লে হয়তো বা ১ থেকে ২ পর্যন্ত লোড সেডিং হয়ে থাকে এবং গ্রামাঞ্চলে সর্বোচ্চ হয়তোবা সব মিলিয়ে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং হয়ে থাকে । কিন্তু আমাদের যখন বাচ্চা কাল ছিল তখন গ্রামে প্রচুর লোডশেডি হতো বলা যায় চার পাঁচ ঘন্টা এর বেশি হতো।

summer-8721588_1280.jpg

Source

লোডশেডিং হলে কেউ আর ঘরে থাকতো না, আমরা সবাই বাইরে থাকতাম এবং রাতের বেলায় ঢং খেলা সবচেয়ে বেশি খেলতাম। ঢং খেলা সম্পর্কে হয়তোবা আপনারা জেনে থাকবেন এটা হচ্ছে একটা আউটডোর খেলা, আবার ইনডোর দুটোই বলা যায়। কারণ এই খেলাতে একজন ১ ২ ৩ ৪ ‌৫ ৬ ৭ এভাবে ১০০ পর্যন্ত কাউন্ট করতে থাকবে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর যখন এটা শেষ হয়ে যাবে তখন বাকি যে প্লেয়ারগুলো রয়েছে এরা আশেপাশে যে কোন স্থানে লুকিয়ে থাকবে। এবার যে কাউন্ট করছিল তার মূল কাজ হচ্ছে এদেরকে খুঁজে বের করা এবং এক দুই তিন এভাবে চিহ্নিত করা। এভাবে প্রথমে যে ধরা পড়বে সে আবার কাউন্ট করবে এবং ওই ঘরের মধ্যে যদি কেউ এসে হঠাৎ করে এসে ঢং বলে দেয় তাহলে আবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে প্রথমে যে কাউন্ট করছিল ও একাউন্ট করবে। খেলাটি সহজ মনে হলেও সবাই মিলে যখন একসঙ্গে খেলাটি উপভোগ করা যায় তখন বেশ মজা লাগে। যারা আমাদের জেনারেশনের লোক রয়েছেন তারা হয়তো বা একদিন হলেও এই খেলাটা খেলেছেন।

children-4571876_1280.jpg

source

এবার আরেকটি জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ডাঙ্গুল খেলা। এই খেলাটির সঙ্গে মোটামুটি আমার অনেক ইমোশন জড়িয়ে রয়েছে। এই খেলাটা যে কত খেলছি তার কোন হিসাব নেই। ডাঙ্গল খেলার জন্য প্রথমে একটা বড় গাছের ডাল নির্বাচন করতাম এবং গুলের জন্য ছোট একটি ডাল এবং তারপরে নির্দিষ্ট সাইজ অনুযায়ী দুইটা কেটে নেওয়ার পরে এই খেলাটা খেলা হতো। যারা জীবনে একবার হলেও ডাঙ্গুল খেলা খেলেছেন তারা হয়তোবা এই কথাগুলো উপলব্ধি করতে পারছেন যে এই খেলাটি খেলার সময় কতই না মজা ‌হতো। এমন সময় হতো যে সকাল বেলায় শুরু করেছি এবং সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাও এই খেলাটা খেলে যাচ্ছি 🤭। এখন ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে এবং এই এডুকেশন কে আরো ইন্টারেস্টিং করে সবার সামনে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে। যেটা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনেক ভালো একটা বিষয় তবে আমাদের সময় এমন উন্নত প্রযুক্তি না থাকার কারণে আমরা বেশিরভাগ সময়ই এভাবে হেসে খেলেই দিন পারতাম।

children-2487845_1280.jpg

source

আর গোল্লাছুট খেলার কথা যদি বলি, তাহলে এটাও অনেকটা ঢং খেলার মত কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ঘরের মধ্যে এসে ঢংয়ের বদলে বলতে হয় যে গোল্লা । তাহলেই একটা গোল্লা হয়ে যায়। গোল্লাছুট খেলার অনেক গল্প আমার আম্মুর মুখ থেকে শুনেছি কারণ ওনাদের সময় এই খেলাটা অনেক বেশি হতো। তবে দিন, দিন জায়গার অভাবে হয়তোবা এই খেলা গুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । তবে এগুলো আমাদের অবশ্যই সারা জীবন মনে থাকবে বলে আমার মনে হয় কারণ এই খেলাগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে আমার জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। যাইহোক আপনার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় খেলাটির নাম কমেন্টে জানাতে পারেন যার ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কোনো প্রতিযোগিতা নেই । তবে এই খেলাটি ছেলেবেলার সবচেয়ে বেস্ট এবং জনপ্রিয় একটা খেলা ছিল। আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন ইন্টারেস্টিং পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ। ❤️❤️

ব্লগার@emonv
ডিভাইসInfinix note 11 pro
শ্রেণী ‌ক্রিয়েটিভ রাইটিং (গল্প)

🔚 সমাপ্তি

Screenshot_20240511-225100.jpg

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে তোমার ছোটবেলার বেশ কিছু খেলা সম্পর্কে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ। আসলে ছোটবেলায় আমিও অনেক সময় ডাঙ্গুল খেলা খেলেছি। এই খেলা খেলতে গিয়ে একবার আমার বাড়ির পাশের এক দাদাকে আমি প্রায় মেরে ফেলছিলাম। ডাঙ্গুল যখন দূরে ছুড়ে মেরেছিলাম পাশে বসে থাকা দাদার মাথায় গিয়ে লেগেছিল হঠাৎ সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়, আমরা তো সেই দৌড় দিয়েছিলাম সেখান থেকে। প্রায় সন্ধ্যার পরে বাড়িতে এসেছিলাম ভয়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলার বেশ কিছু খেলাধুলা নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে একটি সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমরা ছোটবেলায় অনেক রকমের খেলাধুলা খেলতাম। যেন আপনার এই গানগুলি খেলা সহ বিভিন্ন খেলার কথা পড়তে গিয়ে অনেক কিছু স্মরণ করতে পারলাম।

প্রথম খেলাটা কে আমাদের দিকে বলত লুকোচুরি। বিশেষ করে জোৎস্না রাতে এই খেলাটা বেশি আনন্দ দিত। দ্বিতীয় খেলাটা আমাদের দিকে ডাঙ্গুলি বলত কিন্তু ঐটা খুব একটা খেলিনি আমি। তবে আমার সবচাইতে পছন্দের খেলা ছিল গোল্লাছুট কারণ আমি অনেক চালাক ছিলাম এবং আমি অনেক জোরে দৌড়াতে পারতাম। বেশ ভালো লাগল আপনার পোস্ট টা পড়ে।

আপনি বেশ আবেগপ্রবণ করে দিলেন ভাই! ছোটবেলায় অপেক্ষায় থাকতাম কারেন্ট যাওয়ার জন্য! সন্ধ্যা বেলায় কারেন্ট যাওয়া মানেই ছোটদের জন্য ছিলো দারুণ আনন্দের বিষয়। কত রকমের খেলা যে খেলা হতো!! আপনি এক্সেটাকে ঢং বলছেম, সেটা লুকোচুরি খেলা নামেই চিনি। তবে আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে মনে পড়ে গেলো সেইসব হারানো দিনগুলোর কথা!