আজ - বৃহস্পতিবার
তবে আমি যেদিন থেকে মামা হয়েছি আমার একটা
ছোট্ট ভাগ্নে রয়েছে তার নাম হচ্ছে মাহাদি তো এখন কি জানি এই ছোট বাচ্চাদের প্রতি আমার এত একটা ভালোবাসার আসক্তি হয়েগেছে সেটা বলে বোঝানোর মত নয়। কি যে বলি দুই তিন দিন না দেখলে মনে হয় যে মনের ভিতরে পুড়ে যাচ্ছে ওর জন্য আমার প্রচুর মায়া হয় আবার অন্য দিক থেকে ও কিন্তু আমাকে প্রচুর ভালোবাসে আমাকে ছাড়া ওর চলেই না। আমি যদি কখনো ওদের বাড়িতে যাই তাহলে ওর মা-বাবার কাছে যায় না শুধু আমার কাছেই থাকবে এবং মামা,মামা করে ডাকবে। আমি এই বিষয়টা অনেক বেশি উপভোগ করি। আমি মাঝেমধ্যে বসে, বসে ভাবি যে মানুষ কি থেকে কি হয়ে যায় আগে আমি বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে, দূরে থাকতাম এখন আমার প্রত্যেকটা বাচ্চাকে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং আমি ওদেরকে কোলে নেই আর যখন আদর করে দেই তখন মুচকি একটা হাসি দেয় আর আমার মনে হয় যে এই হাসিটাই হচ্ছে মহামূল্যবান একটা জিনিস।
আর মা বাবার কথা যদি বলি তাহলে এটা বলতে হয় পৃথিবীর মধ্যে যদি সুন্দর একটি ভালবাসা থেকে থাকে সেও সেটা হচ্ছে মা বাবা এবং সন্তানের মধ্যে ভালোবাসা। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে পিওর এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে একজন প্রেমিক আরেকটা প্রেমিকার জন্য সুইসাইড করে বা অনেক কিছু ত্যাগ করতে রাজি হয়ে যায় এই ভালোবাসাটা কেমন আমি আজ পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারিনি কারণ এমন ভালোবাসায় আজ পর্যন্ত পড়ি নাই। তবে হয়তোবা এই ভালোবাসার মধ্যেও কিছু বিশেষত্ব অবশ্যই আছে তা না হলে একটা মানুষ অন্য একটা মানুষের জন্য কিভাবে তার জীবন ত্যাগ করতে রাজি হয়ে যায় এটা অনেক অদ্ভুত একটা জিনিস। তবে আমি মা এবং আব্বুর জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারি এটা আমি একদম শক্ত করে বলতে পারি । কারণ আমাদের মধ্যে ভালোবাসাটা অন্য লেভেলের। আপনাদের আম্মুর সাথে আপনাদের কেমন সম্পর্ক অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন আমিও দেখতে চাই আমার মত কে কে আম্মুকে বেশি ভালোবাসে।
ছোটবেলা থেকেই আম্মু আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে । আব্বুকে দেখে একটু ভয় পেতাম এবং সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক হচ্ছে আমার আম্মুর সাথে কারণ আমার কোন সমস্যার কথা সবার আগে জানে হচ্ছে আমার আম্মু এবং আমাকে ফাইনান্সিয়াল থেকে শুরু করে ব্যক্তিগতভাবে এবং মেন্টালি অনেক বেশি হেল্প করেন আমার আম্মু। একটা মজার বিষয় কি জানেন? যখন আমি স্টিমিটে প্রথম আসছি তখন আম্মুকে বলেছিলাম আম্মু এই যে এখান থেকে ব্লগিং করে আর্নিং করা যায় তুমি আমাকে রেসিপি বানাতে হেল্প কর আমি রেসিপি পোস্ট করতে চাই। একবার বলার সাথে সাথেই আমার আম্মু আমার জন্য অনেকগুলো রেসিপি তৈরি করে দিয়েছিলেন এবং আমি ধাপে, ধাপে সেই বছরে অনেক রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতাম কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করত। বলতো যে কি একটা অযথা কাজ করে কোন কাজ নেই হ্যানো তেনো,এই সেই অনেক ধরনের কথা শোনা যেত । কিন্তু আমার আম্মু আমাকে প্রচুর বিশ্বাস করত এবং সব সময় আমাকে সাপোর্ট করার জন্য প্রস্তুত থাকতো।
যাই হোক এভাবে যখন স্টিমিট কাজ করা শেষে আমার প্রথম পেমেন্ট পাই এবং ওটা যখন আম্মুর হাতে তুলে দেই তখন ওটা দেখে অনেকেরই মুখ বন্ধ হয়ে গেছিল। আর আমার আম্মু একটা নিশ্বাস ছেড়ে আমাকে বলল যে বাবা দেখিস তুই অনেক বড় হবি। ওই কথাটা এখনো আমার কানে ভাসে আসলে নিজের আপনজনের মুখে যখন হাসি দেখা যায় তখন নিজের কাছে অনেক স্বস্তি অনুভব হয় । আর মনে হয় হয়তো বা নিজে এবার কিছু একটা করতে পেরেছি। যাইহোক এসব কথা আপনাদের মাঝে আর শেয়ার করছি না, এগুলো বলতে বলতে আমি একটু ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছি। যাই হোক ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আমার ছোট্টই ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit