বন্ধুদের সঙ্গে মুড়ি পার্টি || আমার বাংলা ব্লগ

in hive-129948 •  4 months ago 
1000003905.jpg

আজ - মঙ্গলবার

১১, কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আজকে আবার নতুন একটি পোস্ট আমি শুরু করছি। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আমার লাইফে সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেব তবে চলুন শুরু করি। সবাই মিলে একসঙ্গে মুড়ি খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা কারণ আমরা যখন হোস্টেলে ছিলাম তখন আমার মনে আছে বড় ভাইয়েরা প্রত্যেক শুক্রবার রাতে মুড়ি পার্টি করত এবং আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিতো উনারাই সব কিছু ক্রয় করে এনে মাখিয়ে তারপরে আমাদের সবাইকে খাওয়াতো। তবে হঠাৎ করে যখন হোস্টেল লাইফ টা কাটিয়ে উঠলাম তখন এই জিনিস গুলো অনেক বেশি মিস করতাম কারণ আপনারা যারা এই মুড়ি একসঙ্গে বসে খেয়েছেন তারা হয়তো বা জানবেন এটা খেতে কতই না মজা। লাগে এবং আড্ডা দিয়ে খাওয়ার মধ্য কত না তৃপ্তি রয়েছে। আসলে বন্ধুবান্ধব এমন একটা জিনিস যে আপনার লাইফে যদি হাজারো প্রবলেম থাকে বন্ধুদের সঙ্গে যখন এই জিনিসগুলো শেয়ার করবেন এবং সবাই মিলে একসঙ্গে আড্ডা দিবেন দেখবেন যে সবকিছু যেন শূন্য হয়ে গেছে অর্থাৎ আপনার কোন কিছু আর মাথাব্যথা মনে হবে না মনে হবে যে এটাই হচ্ছে আমার গোল্ডেন সময় এখনই এটা উপভোগ করতে হবে।

1000003884.jpg1000003885.jpg

তো কিছুদিন আগে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন আমরা সবাই মিলে হোস্টেলেই ছিলাম। বাইরে বের হতে পারছিলাম না কিন্তু বৃষ্টি হলে খিচুড়ি খেতে এবং মুড়ি মাখিয়ে খেতে অনেক বেশি মজা লাগে তাই আমরা সবাইকে বললাম আজকে চল মুড়ি মাখিয়ে খাই। আমার এ কথা বলতে সবাই এক মুহূর্তেই রাজি হয়ে গেল এবং সবাই মিলে আমরা ৩০ টাকা করে উঠিয়ে বাজার থেকে গিয়ে পেঁয়াজ মরিচ সরিষার তেল মুড়ি চানাচুর এবং যাবতীয় কিছু মসলা নিয়ে আসলাম এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে রাতের খাবারের পরে রাত ১১ টা থেকে বারোটার মধ্যে মুড়িটা মাখাবো এবং তারপরে সবাই মিলে আড্ডা দিব মুভি দেখব এবং মুড়ি মাখা খাব। আসলে সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে মুভি দেখার মধ্যেও কিন্তু অন্যরকম একটা মজা আছে তো তাই ভাবলাম যে ওই সময়টার মধ্যে মুড়ি খেলে হয়তোবা সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। তো যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ আমরা রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাত বারোটার দিকে সবাই মিলে মুড়ি মাখানো শুরু করে দিলাম। মুড়ি তৈরি করার মধ্য সব চেয়ে বিরক্তিকর কাজ হচ্ছে পেঁয়াজ কাটা কারণ পেঁয়াজ কাটতে গেলেই চোখ দিয়ে পানি বের হতেই থাকে। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে পেঁয়াজ একেবারেই কাটতে পারিনা।

1000003883.jpg1000003886.jpg

কারণ ছোটবেলা থেকে এটা তেমন একটা অভ্যাস করা হয় নাই তাই আমাদের মধ্যে রাতুল পিঁয়াজ মুড়ি সব ভালো ভাবে কাটতে পারে তো। ওকে দিলাম পেঁয়াজ কাটতে শুরু করল এদিক থেকে আমরা মজার মজার কথা বলছি সবাই মিলে হাসতেছি এবং ও কান্না করতে করতে হাসতেছে আসলে পেঁয়াজের কারণে চোখ দিয়ে অটোমেটিক পানি বের হয়ে যায়। তো এই বিষয়টা নিয়ে আমরা অনেক বেশি মজা করছিলাম এবং উপভোগ করছিলাম তো তারপরে ওগুলো যখন কাটা হয়ে গেল তখন আমরা সবাই মিলে মুড়ি মাখানো শুরু করলাম এবং একটা কথা বলে রাখি আমাদের মধ্যে মিজান নামে একটা ছেলে রয়েছে ও প্রচুর পরিমাণে সরিষার তেল খাই। তো আমরা যখন মুড়ি ক্রয় করছিলাম তখন সরিষার তেল ২০০ গ্রাম মত নিয়েছিলাম তাই প্রথমে ৫০ গ্রাম মত ব্যবহার করছিলাম তবে শেষের দিকে মিজান সবগুলোতে একেবারে মুড়ির ভিতরে ঢেলে দিয়েছিল। আসলে এই বিষয়টা দেখার পরে আমরা যেমন হাসছিলাম তেমনি ভাবে আবার অন্যদিকে কয়েকটি বন্ধুর জন্য এটা খাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে গেছিল কারণ অনেকে রয়েছে তেল কম খায়। কিন্তু এদিকে মিজান তেল বেশি খায় তবে আমার তেমন একটা সমস্যা হয়নি কারণ আমি মসলাপাতি এমনিতে একটু বেশি খাই কারণ আমাদের ওদিকে এটার একটা ট্রেডিশন রয়েছে।

1000003882.jpg

এবার মুড়ি অনেক বেশি মাখিয়ে ফেলেছিলাম যার কারণে শেষ পর্যন্ত এটা আর খেতে পারছিলাম না কারণ আপনারা হয়তোবা জানেন মুড়ি বেশি একটা খাওয়া যায় না খেলে দুই পাশে যে চুয়াল রয়েছে এটা লেগে যায়। তো মোটামুটি আমরা যতটুকু পারলাম খেলাম এবং শেষ পর্যন্ত তখন আর পারছিলাম না তখন আমাদের একটা বন্ধু আশরাফুল এর কথা মনে হয়ে গেছিল কারণ ও এমনিতে অনেক মোটা এবং মুড়ি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে আসলে ও সেদিন বাড়িতে গিয়েছিল যার কারণে আমাদের পার্টির ভিতরে ওকে রাখতে পারিনি। ও যদি থাকত তাহলে আধা ঘামলা মুড়ি ও একাই খেয়ে নিতো হাহাহা, আসলে কিছু, কিছু লোক রয়েছে খাওয়া-দাওয়া অনেক বেশি পছন্দ করে ও ঠিক তেমন দিন, দিন মোটা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ও খাওয়া-দাওয়া কিছুতেই কম করে না হাহাহা। যাইহোক প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা পছন্দের জায়গা থাকে তো ওর পছন্দের জায়গাটা হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া। তো এভাবেই সেদিন আমরা সবাই মিলে মজা করলাম এবং একটা স্মৃতিময় দিন কাটিয়ে ফেললাম। তো ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে আমার মুহূর্তগুলো উপভোগ করার জন্য। আপনাদের যদি এমন সুন্দর কিছু মুহূর্ত থাকে তাহলে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। আমরা সবাই মিলে এটা দেখতে পাবো তাহলে। সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আজকে এখানেই শেষ করছি।

ব্লগার@emonv
ডিভাইসTecno camon 20
শ্রেণী ‌লাইফস্টাইল পোস্ট
লোকেশনসিরাজগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা

🔚 সমাপ্তি

Screenshot_20240511-225100.jpg

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেসে এইভাবে যখন একসাথে মুড়ি মাখানো খাওয়া হয় তখন খুবই আনন্দ হয়।সাথে আবার আড্ডাও হয়।বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত সকলে মিলে উপভোগ করা যায়। আমিও আমার মেস লাইফের সেই সময় গুলো খুবই মিস করি। আপনার শেয়ার করা পোস্ট পরে সেই দিন গুলো মনে পড়ে গেল।যখন অনেকগুলো বন্ধু মিলে এভাবে মুড়ি পাটি করা হয়। তখন অনেক আড্ডার সাথে মনের কথাগুলো শেয়ার করা যায়।দারুন একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

মেস লাইফে এরকম সময় অনেক কাটানো হয়েছে। সবাই মিলে একসাথে কোন কিছু খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে মুড়ি চানাচুর এসব খেতে বেশি ভালো লাগে। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাইয়া। দেখে খুবই ভালো লাগলো।

এটা সত্যি বলেছেন ভাই যারা এভাবে মুড়ি পার্টিতে জয়েন করেছে তারাই জানে যে, কত মজা রয়েছে। বন্ধুদের সাথে দারুন মুড়ি পার্টির আয়োজন করেছিলেন এবং অনেক সুন্দর উপভোগ করেছেন যারা ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

আমরাও এরকম বন্ধু-বান্ধব মিলে খুব সুন্দর ভাবে মুড়ি পার্টি দেই।আসলে এরকম সবাই মিলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মুড়ি পার্টি দিতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে।আমিও কিন্তু মুড়ির ভেতরে ময় মসলা একটু বেশি করে নিতে খুব ভালো লাগে আমার।যাইহোক খুব সুন্দর একটি উপভোগ করছেন দেখে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

image.png

বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে মুড়ি পার্টির সেই আড্ডার অনুভূতি আজকে আবারো মনে করিয়ে দিলে। তুমি তোমার নতুন রুমমেটদের সাথে মুড়ি পার্টি করেছো জানতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে সে অনুভূতিগুলোর কথা এখনো আমার মনে পড়ে যখন একসাথে ম্যাচে অনেকগুলো মানুষ মুড়ি পার্টির আড্ডায় মেতে উঠতাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

হোস্টেলে সবাই মিলে বৃষ্টির দিনে মুড়ি মাখার আয়োজন করেছেন। মুড়ি গুলো দেখেই তো লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সবাই মিলে এরকম একসাথে বসে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনাদের কাটানো সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

অনেকদিন বন্ধুদের সাথে মুড়ি পার্টি হয় না আমার। আগে তো সবাই একত্রে মিলে বটগাছের নিচে মাঠপাড়ায় বসে পড়তাম। কিছুদিন আগে একা বসে ছিলাম সেখানে আর মনে করেছিলাম। যাইহোক আজকে কিন্তু সন্ধ্যা রাতে আমি নিজে একলাই মুড়ি পাটি তৈরি করেছিলাম।

মাঝেমধ্যে এভাবে মুড়ি পার্টি করলে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে মুড়ি পার্টি করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। দেখেই বুঝতে পারছি খেতে অনেক ভালো লেগেছে। আমরা তো কয়েকদিন পরে পরে ঘরের মধ্যে সবাই মিলে এরকমভাবে মুড়ি পার্টি করে থাকি। যেটা কিনা আমার অনেক বেশি পছন্দের।

বন্ধুদের সঙ্গে দারুন টাইম স্পেন্ড করেছেন।ঝালমুড়ি সবাই একসাথে খেলে বেশ ভালো লাগে।আপনাদের ঝালমুড়ি দেখে তো জিভে জল চলে এলো,হাহাহা ধন্যবাদ।