আয় ব্যায়ের ভারসাম্যহীনতা। || Expenditure imbalance.

in hive-129948 •  last year 
আয় ব্যায়ের ভারসাম্যহীনতা

সংগ্রহশালা

আজকাল আয়ের সাথে ব্যায়ের কোন সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধরুন আপনার মাসিক আয় যদি হয় দশ হাজার তবে দেখবেন যতোই কষ্ট করে চলুন না কেন প্রায় পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকায় খরচ টান দিয়েছে। মানে আপনার আয়ে থেকে ব্যায় দেড় থেকে দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটাই হচ্ছে আয় ব্যায়ের ভারসাম্যহীনতা।

এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে আয় যেহেতু কম তাহলে ব্যায়টা কমিয়ে করলেই হয়। আরে ভাই কিভাবে সেটা করবে মানুষ বলুন? এই ধরুন আজ পেঁয়াজ চল্লিশ টাকা তো পরশু আশি টাকা, আজ ডিম চল্লিশ তো কাল ষাট, আর মাছ মাংসের কথা তো বাদই দিলাম। মানে বাজারে গেলেন পরিকল্পনা করে কিন্তু যেয়ে দেখলেন ঐ টাকা দিয়ে অর্ধেক বাজার হচ্ছে না, আবার না খেয়েও থাকা যাচ্ছে না। আসলে বাধ্য হয়েই দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে। এখন এই যে বাড়তি টাকা আপনার পকেট থেকে চলে গেল এই টাকা পূরণ করার জন্য আপনাকে ধার দেনা করতে হবে না হলে অবৈধ পথে উপার্জন করতে হবে কারন আপনার আয়ের থেকে ব্যায় বেশি। তবে যারা অনৈতিক কাজ করতে পারে না তাদের ঘরে গিয়ে দেখুন তারা কতটা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

আবার ইদানিং বিভিন্ন রোগের প্রকোপ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেছে, মানুষের চিকিৎসা খরচ এবং সেবা খাতে খরচ বেড়েই চলেছে। চারিদিকে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে, কেউ কেউ মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে কারণ কোনদিকে কূল কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানব সৃষ্ট দুর্যোগ কষ্টের মাত্রা আরো বাড়িয়ে চলেছে। মানব সৃষ্ট দুর্যোগ মানে আপনি নিজের স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে অন্যের আয়ের পথ বন্ধ করে দিলেন আরকি।

সত্যি বলতে চারিদিকে মানুষের জীবিকার সন্ধানে অস্থিরতা এবং তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু যাদের এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা তার নিরব ভূমিকা পালন করছে। আসলেই বিবেকের কাঠগড়ায় এসে কবিও নিরব হয়ে যায়, এই হলো আমাদের অবস্থা। মানুষ না পারছে, কিছু বলতে, না পারছে সইতে, বাধ্য হয়ে কেউ কেউ খারাপ রাস্তা বেছে নিচ্ছে। আসলে কবে যে এই আয় ব্যায়ের ভারসাম্যহীনতা ঠিক হবে এটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানেনা।

যাইহোক আমাদের এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বেঁচে থাকতে হবে এবং খরচের দিকে যতটা সম্ভব লাগাম টানতে হবে তাছাড়াও নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। হঠাৎ করেই একটা কর্মসংস্থান বন্ধ হলে যাতে পরিবার খরচ চালানো যায় সেই চিন্তা করতে হবে। জানিনা সামনে কি দিন অপেক্ষা করছে তবে নিজের আয় ব্যায়ের ভারসাম্য নিজেকেই বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে, অবশ্যই নিজের বিবেককে জাগ্রত করে।

পৃথিবী হয়তো কোন একদিন ভারসাম্যে ফিরে আসবে।
তখন হয়তো আমরা থাকবো না



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

banner-abbVD.png

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

"Please support Bangla Witness"

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

https://steemitwallet.com/~witnesses



VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1ejFJCaMLR3zrx1iztXmdz4AFKcaXPfpHbadyDS7yzWTRRjc8kkRjGZNGVw27n8Q3Mi19jpMVHLYFyQ4NZ.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন খারাপ রাস্তা বেছে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করা যেন যুদ্ধের সমান। প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম সহ নানান অসুস্থতার কারণে মানুষের ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু আয়ের পরিমাণটা সেই আগের মতই আছে বলতে গেলে।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যা এটা ঠিক আছে আমাদের আয়ের থেকে ব্যায় অনেক বেশি। তবুও খারাপ রাস্তায় যাওয়া যাবে না কারন আমাদের ধর্মে কড়া নিষেধ করা হয়েছে। ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

সত্যি আপনি একদম সময় উপযোগী একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে যারা ভালোমতো আয় করে তাদের কাছে হয়তো বা এই সামান্য কিছু জিনিসের দাম বাড়লে খুব একটা প্রবলেম ফেস করতে হয় না। কিন্তু যাদের আয় খুবই স্বল্প এবং আয়ের পরিধিটা বাড়ানো যায় না তাদের ক্ষেত্রে এটা সবচেয়ে বেশি কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। কারণ ব্যয় দিন দিন বেড়ে চলেছে কিন্তু আয়টা সেই আগের অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সত্যি এই আয় এবং ব্যয়ের ভিতর ভারসাম্য থাকাটা খুবই জরুরী তা না হলে অনেকে বেশি আয় করার জন্য খারাপ পথ বেছে নিতে পারে। এতে করে আরেক ধরনের বিপত্তি হতে পারে। যাই হোক আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক ভাই আপনার আয় যদি হয় কম আপনি যতই ভারসাম্য ঠিক রাখার চেষ্টা করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতি যেটা ভারসাম্য টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন। কোনভাবেই সম্ভব নয় অনেক মানুষ কষ্টে জীবন যাপন করছে সেই বিষয়টি উপলব্ধি করেই দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

খুবই সুন্দর একটি সময়োপযোগী পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া বর্তমান সময়ে আয়ের চেয়ে ব্যয়ের মাত্রাটা অধিকারে বৃদ্ধি হয়ে গেছে। বর্তমানে অনেক মানুষ বর্তমান সময়ের ঊর্ধ্বগতির বাজারে তার ইনকামের টাকা গুলো দিয়ে সংসার ঠিকঠাক পরিচালনা করতে পারছে না। যার কারনে, অনেকে অধিক ইনকাম করার জন্য খারাপ পথ বেছে নিচ্ছে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই আয় বুঝে ব্যয় করার চেষ্টা করতে হবে।

ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এখনকার সময়ে মধ্যবিত্তদের খুব সতর্কতার সাথে জীবন পরিচালনা করতে হচ্ছে কারন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিপত্তি ডেকে আনছে।

Posted using SteemPro Mobile

বেশ দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তো আজ। আসলে দিনে দিনে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে যদি আমরা খরচ না কমাই তাহলে আমাদের সামনে অনেক খারাপ সময়ের মোকাবেলা করতে হবে। আয়ের সাথে যদি ব্যয়ের মিল না ঘটে তা হলে তো দুরগতি আসবেই। তাই তো আমাদের কে আয়ের উপর নির্ভর করেই ব্যয় করতে হবে।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
অবশ্যই আমাদের আয় ব্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে।

Posted using SteemPro Mobile

দ্রব্যমূল্যের বাজারে আয়টা যেমন হচ্ছে তার ঠিক দ্বিগুণ পন্য কিনে ব্যয়টা পুষে যাচ্ছে। মাস শেষে আয় ব্যয়ের হিসেবটা পাওয়া যায় না। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারেও আমাদের টিকে থাকবে। যারা সৎ পথে জীবনযাপন করে তারা আসলেই ভাইয়া মানবেতর জীবন যাপন করে। তবে আমাদের বহুমুখী আয়ের দিকেও এখন থেকে নজর দেয়া জরুরি।

আপনার লেখাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এমন সমসাময়িক বর্তমান পরিস্থিতি কে নিয়ে সুন্দর একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করলেন। আসলে যারা চাকরিজীবী তাদের কাছে বর্তমান বাজারের সাথে একদম ভারসাম্যতা রক্ষা করা যায় না। তাছাড়া ও বেতনের অর্ধেক বাচ্চাদের কিংবা নিজেদের চিকিৎসার খরচের মধ্যে চলে যাই। বাকি রয়েছে খাওয়া-দাওয়া বাসা ভাড়া। এছাড়াও আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ। একদম ঠিক বলছেন যারা আসলেই অবৈধ পথে ইনকাম করে তারাই খোলামেলাভাবে খরচ করতে পারবে। কিন্তু যারা বৈধ ইনকাম করেন তাদের ক্ষেত্রে খুবই কষ্টকর হবে। অসাধারণ ছিল অনেক ধন্যবাদ।

অনেক ধন্যবাদ আপু আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। সত্যিই এই সময়টাতে মধ্যবিত্ত মানুষের চলা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে, তবুও আমরা বেঁচে আছি এটাই উপর ওয়ালার কাছে শুকরিয়া।

বাস্তবতা নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। এধরনের পোস্ট গুলো পরলে আসলে জীবনের মানে বোঝা যায়। সত্যি আমরা সকলেই খুব কষ্টের মধ্যে আছি। আমাদের যে ইনকাম এই ইনকামে পরিবার চালানো মুশকিল। তবুও আমাদের সব কিছু হিসেব করে চলা উচিত। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

যেকোনো জিনিসই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্বারা আবদ্ধ থাকে।তেমনি আয়-ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে কিছুটা সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা উচিত সকলের।এছাড়া আপনি সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।