আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।।
আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ করুণায় “আমার বাংলা ব্লগের” সকল সদস্যগণ খুব ভাল আছেন।
আলহামদলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
আমি মোঃ আশরাফউদ্দীন আই ডিঃ @engrashrafuddin. আমার পরিচয় পরিচিতির জন্য “আমার বাংলা ব্লগে “এটা আমার দেওয়া প্রথম পোষ্ট|আশা করি সকলে সাদরে গ্রহন করবেন এবং আমার সাথে থাকেন।
জন্মসুত্রে একজন বাংলাদেশী হিসাবে বাংলার দঃ পশ্চিমে ইন্ডিয়া সংলগ্ন বাংলাদেশের প্রাচীন এবং প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোর এর শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার অন্তরগত শিকড়ী গ্রামে জন্ম।
আমি আমার পরিবারের প্রথম পুত্র সন্তান। আমার বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।তিনি স্থানীয় একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকতা করতেন।আমার মা ,তিনি একজন গৃহিনী। আমার কোনো বোন নাই ,আমার ০২ভাই আছে যাদের দুজনেই লেখাপড়া করে।
ছোট বেলা থেকেই বেড়ে উঠতে থাকি সবুজে ঘেরা মনোরম এক পরিবেশে।শৈশব কৈশর কাটে গ্রামেই ।গ্রামের বিদ্যাপিঠ থেকে শুরু হয় শিক্ষা জীবন। দুপাশে সারি বাধা গাছের মাঝে আকা বাঁকা পথ ধরে হেটে স্কুলে যাওয়া,খোলা মাঠে খেলা ধুলা।পুকুরে দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করা,পানিতে ডুব দিতে দিতে চোখ লাল করে বকা শুনে পুকুর থেকে উঠে আশা।
গরমের রাতে বাড়ীর উঠানে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে শুয়ে চাঁদ দেখা,ভাই বোনে দের সাথে তারা গননা করা,কখনো কখনো জ্যোৎস্না ভরা রাতে খেলাই মেতে উঠা ।
বৃষ্টির দিনে লুডু খেলা আর আড্ডা,সীতের সকালে খেজুরের রসের সাথে মুড়ি খাওয়া, শুকনা পাতা কাঠ ধানের খড় জ্বালিয়ে আগুন পোহানো।
এভাবে আনান্দঘন উল্লাসে কেটেছে আমার ছোট বেলা।
এবার আসা যাক আমার পড়াশুনায়
আমি শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০৪ সালে এস এস সি পাস করি।এবার পালা কলেজে পড়া,আমি যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ভর্তি হই ২০০৪ এ।আমার বিভাগ ছিলো ইলেক্ট্রনিক্স ।আমি ২০০৮ইং সালে ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করি। পরবর্তিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য অতিশ দিপংকার ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ঢাকা ভর্তির জন্য চলে যায়। ০৪বছরের শিক্ষাক্রম শেষ করে ২০১২ ইং সালে বি এস সি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স পাস করে জীবিকার জন্য বের হয়ে পড়ি।
আমি বর্তমানে বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য মোবাইল প্রস্তুতকারী একটি কোম্পানিতে চাকুরিরত আছি।
আমার সখ বলতে হলে গান শোনা ,ভ্রমন করাটাই প্রাধান্য পায়।
চাকুরির পাশাপাশি কিছু একটা করার জন্য একটা কাজ খোজ করতে থাকি এমতবস্থায় ইউটিউবের মাধ্যমে জানতে পারি “আমার বাংলা ব্লগ”এর কথা।লেখা লেখির ইচ্ছা আগে থেকেই এক আধটু ছিল।আমার “বাংলা ব্লগ”এর সাথে সুংযুক্ত হতে পারলে আমার জমে থাকা ইচ্ছাটা বাস্তবে রুপদান করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে “আমার বাংলা ব্লগ”এ সতাতার কাজ করা হয় এবং এখানের এডমিন মডারেটর গন সকলেই আন্তরিক এবং সহযোগী এবং সহৃদয়বান।
আমি আর ও জানতে পারলাম আমার বাংলা ব্লগ ভরিফাই মেম্বারের বেফার ছাড়া নতুন মেম্বার নিচ্ছে না। আমাকে রেফার করার মতো ইস্টিমিটে কোন মেম্বার নেই । সুতরাং আমার মতো নতুন মেম্বারদের যদি আমার বাংলা ব্লগ এ সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আপনাদের সহযোগিতায় নিজের মেধা কে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করতাম।
আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অবশ্যই সততার সাথে “আমার বাংলা ব্লগ”কমিউনিটিতে কাজ করে যাবো ইনসা-আল্লাহ।
সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। সকলের সুস্বাস্থ কামনা করি।
সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন ।।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আশা করি এই কমিটির সকল নিয়ম কানুন মেনে চলে আমাদের সাথে একসাথে পথ চলা শুরু করতে পারবেন। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দরভাবে আপনার পরিচিতি মুলক পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। তবে আমরা আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড মেম্বারদের রেফার ছাড়া অন্য কোনো মেম্বার গ্রহণ করছি না।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit