ফুটপাতে কাবাব খাওয়ার অনুভূতি

আজকে আপনাদের সাথে সন্ধ্যা পর নাস্তা খাওয়ার মূহুর্ত শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। প্রতিদিন এর ন্যায় অফিসে কাজে সন্ধ্যা হয়ে গেলে অফিসে নাস্তা খাওয়া শেষ করে বের হওয়া হয় বেশিরভাগ সময়ই। কিন্তু আজকে অফিসে কাজ শেষ করে আবার বিকেলে গিয়েছিলাম প্রজেক্ট ভিজিট করতে। সেখানে কাজ শেষ করতে করতে মাগরিব এর আজান দিয়ে দিয়েছিল। নামাজ পড়ে কাজ শেষ করে চলে আসার সময় দেখি প্রজেক্ট পাশেই দেখি একটা নতুন দোকান দিয়েছে টিকা কাবাব,জালি কাবাব এই ধরনের ভাজা পোড়া জিনিস। আমার তো আবার এই ধরনের খাবার অনেক পছন্দের। দোকান দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম যে কিছু একটা খেয়ে যায়।

দোকানের দূর থেকে দেখলাম ছেলেরা বেশ ইয়াং এবং সব কিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।এই জন্য বেশি আগ্রহ জাগলো। কাছে গিয়ে দেখলাম আসলে ছেলেরা একজন কলেজে এবং একজন ভার্সিটিতে পড়ে।শোনার পর খাবার এর আগ্রহ টা বেড়ে গেল। পড়ে তাদের সাথে গল্প করতে করতে কখন যে খেয়ে ফেললাম অনেক গুলো আইটেম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তাদের কথা শুনে তাঁরা নিজেরা কাজ করে নিজেদের খরচে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে এই ঢাকা শহরে মানুষ কত রকমের তা বোঝার কোন উপায় নেই দূর থেকে।তারা এই বিজনেস করে ভালো চলছে। আমরা বাঙালিরা সমস্যা হচ্ছে লজ্জা। লজ্জা জন্য আমরা পিছিয়ে আছি অন্য দেশের মানুষের কাছে থেকে। তাদের খাবার এর মান গুলো মোটামুটি ভালো ছিল। বেশি ভালো লেগেছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দিক দিয়ে ভালো ছিল।

খাবার গুলোর দামটা অনেক কম তুলনা মূলক ভাবে। এই খাবার গুলো রেস্টুরেন্টে খেলে অনেক টাকা লাগতো।আমি তিন চারটি আইটেম খাওয়া পর বিল আসছিল 130 টাকা। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় দিকে চলে আসলাম। বাসায় আসার পথে দেখি প্রচুর জ্যাম রাস্তায়। রিক্সা থেকে নেমে পড়ে আছতে আছতে হেঁটে বাসায় চলে গেলাম। আজকে এই পর্যন্তই পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।

আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।

আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।

---

---