শীত গ্রীষ্মের মধ্যে পাৰ্থক্য খুঁজলে আমার মনে হয় শীতের মধ্যেই সবার জীবনের সব থেকে বেশি স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বিশেষ করে তাদের যারা কিনা ছোট থেকে গ্রামীণ এলাকায় বড় হয়েছে। এখন যদি গ্রামে যাই মনে হয় আগেকার সেই পরিবেশটা আজও বেঁচে আছে। হয়তো একদম হুবহু খুঁজে পাওয়াটা অনেকটা কঠিন কিন্তু একদমই বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। যদিও যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে কিছুদিন পর সেটা বিলুপ্তির পথেই হাটবে তবে আজ কালকের সমাজ ব্যবস্থার সাথে আগের দিনের সমাজ ব্যবসার তুলনা বড়ই পার্থক্যময়। না আপনি খুঁজে পাবেন সেই আনন্দ , না পানি খুঁজে পাবেন সেই গ্রামীণ পরিবেশ।
অনেকেই বলে শীতের মধ্যে শহরে আরাম বেশি। কিন্তু আরাম আর আনন্দের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। গ্রামে শীতের সময় একদম ভোরে যখন হাটতে বের হতাম তখন মনে হতো প্রকৃতি যেন সেই ভোর বেলাতেই তার আসল রূপ দেখায়। চারি দিকে কুয়াশা আর কুয়াশা। বেশি একটা দূর পর্যন্ত দেখা যায়না তবে তার একটু পর যখন কুয়াশা কমে আসে তখনি যেন ইচ্ছে হয় এই জীবন প্রকৃতির নাম উৎসর্গ করি। ইচ্ছে হয় প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের মহিমায় হারিয়ে যেতে। তবে কি আমরা আমাদের প্রকৃতিকে বাঁচাতে পারবো ? তবে তা ঠিক , যেদিন প্রকৃতি বিলুপ্তির পথে হাটবে সেদিন থেকে পৃথিবীও একই পথে হাটবে।
আজ হয়তো আমি গ্রামে নেই কিন্তু গ্রামের সেই প্রকৃতিকে অনুভব করতে পারছি। আর আমাদের শহরের মানুষদের তো এটা ছাড়া আর কিছু করারও নেই। আমার কাছে শীত কালের রাতের বেলা ব্যাডমিন্টন খেলাটা সব থেকে বেশি আনন্দ লাগতো। তা প্রায় ৪-৫ বছর যাবৎ শীতের মধ্যে বাড়ি যাওয়া হয়না। আর গ্রাম ছাড়া শহরের মধ্যে বাসা থেকে বের হতেও দিবে না। সত্যি বলতে শহরে তেমন খেলার আমেজও এখন দেখা যায়না। সবমিলিয়ে গ্রীষ্ম বর্ষা শীত ও বসন্ত সব যেন একই রকম আমাদের কাছে। না আছে কোনো আমেজ না আছে এইসবের প্রবণতা।
শীতের কথা উঠলে পিঠার কথা তো কোনো মতেই বাদ দেয়া যায়না। যদিও এবার বাড়ি যায়নি তবে পিঠা খাবার অভাব পড়েনি। এবং সেটা শুধু এইবার না , প্রতি শীতের মধ্যেই আম্মু অনেক পিঠা বানায় আমাদের জন্য। বাড়ি যায়নি তো কি হয়েছে পিঠা বানাতে তো কোনো অসুবিধা নেই। আজ বলতে গেলে এটা শীতের প্রায় মাঝ বরাবর। অনেক পিঠা খেয়েছি এবং আশা করছি এই শীত শেষ হতে হতে আরো অনেক পিঠা খেতে পারবো। তবে দোয়া করবো পরের বার শীতের এই সময়টায় যাতে গ্রামে থাকতে পারি।
আর আপনার শীতের স্মৃতিগুলো পড়ে সত্যি আমারও শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো। শীতের সময় গুলো আমাদের অন্যরকম কাটতো। শীত আসলে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। অনেক রাত পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন খেলতাম। আর শীতের সকালের নানা রকমের পিঠা খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। আসলে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। শীতের এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতের স্মৃতিগুলোও যেন শীত শেষের কুয়াশার মতো হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের সকলের জীবনে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে শীতকাল নিয়ে। শীতকাল আমার ভীষণ পছন্দের। ছোটবেলার সেই শীতকালে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আপনার এই পোস্ট পড়ে। সত্যি আপনি ঠিকই বলেছে গ্রীষ্ম আর শীতের মধ্যে পার্থক্য করলে তো শীতই আমার জন্য বেস্ট। কারণ ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি তো শীতের মধ্যে অন্যরকম একটা স্মৃতির জড়িয়ে আছে আমার। আর পিঠা ফুলির উৎসবের কথা তো বাদই দিলাম অনেক মজা করতাম সবাই একসাথে পিঠা পুলি খাওয়ার সময়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্টের মাধ্যমে আবারও সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই শীত যেন বহন করে লাখ মানুষের কোটি স্মৃতি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছে শীতকালের সকালবেলার মুহূর্তটি একটু বেশি ভালো লাগে। ছোটবেলার ওই স্মৃতি এখনো মনে পড়ে যখন ভরে ভরে উঠে সবাই মিলে হাঁটতে যেতাম। আসলে গ্রামে অন্যরকম একটা আনন্দ পাওয়া যায় শীতের সময়। শীতের ওই মুহূর্তটি যেন ভোলার নয়।আপনি আজকে শীতের স্মৃতি নিয়ে অসাধারন একটি পোস্ট করেছেন যা পড়তে এমনিতেই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। গ্রামের মানুষেরা একটু বেশি আনন্দ উপভোগ করে। গ্রামের থেকে বেস্ট জায়গা অন্য কোথাও আছে বলে শীতকালে আমার মনে হয় না। গ্রামই হচ্ছে শীত উপভোগ করার বেস্ট জায়গা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমনটা মনে হয় শীতকাল যেন শুধু গ্রামেই শোভা পায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit