শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গ্রামে আনন্দ লেগে থাকে প্রতি ঘরে।প্রতিটি ঘর যেন হয়ে ওঠে নানান রকম পিঠা তৈরীর বেকারি।গ্রামের প্রতিটি মানুষই সহজ-সরল। এই সহজ-সরল মানুষগুলোর ঘরে যখন নতুন ফসল আসে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে নানান রকম উৎসবে মেতে উঠে। আমি কিছু বছর আগের গ্রামে থাকতাম।গ্রামে আমার শৈশব কৈশোর পাড়ি দিয়ে বেড়ে ওঠা। গ্রামের সাধারণ মানুষ গুলো প্রতিটি ঋতুকে ভিন্ন ভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেয়। গ্রীষ্মকালে নানা ধরণের ফলের সমারাহে ভরে ওঠে বাজার ,শীতকালের খেজুরের রস এর খাওয়ার হিড়িক,বর্ষাকালে নানান ধরণের মাছ ধরার প্রতিযোগিতা ,শরতের শুভ্র কাশফুল প্রতি দিন হয়ে উঠে উৎসবময়। গ্রামে হয়তো শহরের মতো এতো সুযোগ সুবিধা নেই কিন্তু রয়েছে অপুরূপ শান্তি এবং প্রকৃতির সমারোহ।মন ভালো করার জন্য আমার মনে হয় গ্রামের সেরা।শীতের পরিবেশ আমার অসাধারণ লাগে।

এটি গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় পিঠা। শীতের সময় গ্রাম বাংলার মানুষ এই পিঠাটি বেশি তৈরি করে থাকে। পিঠা গুলো যেমন দেখতে তেমন তার স্বাদ।এটি ময়দা ও নারিকেল দিয়ে তৈরি করা হয়।বিশেষ করে এর ভিতরে থাকা ভাজা নারিকেল অসম্ভব সুন্দর লাগে।এবং পিঠা গুলো খেজুর এর রস এর মধ্যে দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়।তৈরি করার পর ১৫-২০ মিনিট পর খাবার জন্য তৈরি হয়ে যায়। এই পিঠা টি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। তবে এই পিঠা টি আমার কাছে পুলি পিঠা নামে পরিচিত।

এই পিটা টি ও শীত এর সময় বেশ ভালোই তৈরি করে।তবে এই পিঠা টি আমার কাছে সেই রকম ভালো লাগে না।কিন্তু পিঠাটি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়।আমার এক রিলেটিভ এর জন্য এই পিঠাটি বাসায় তৈরি করা হয়ে ছিল। এই পিঠা টি ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়।এবং খেজুর এর রস জাল দিয়ে রসের মধ্যে চুবিয়ে রাখা হয়।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টিতে ফুলের অবদান রয়েছে।ফুল গ্রামের পরিবেশ কে আরো সুন্দর করে তোলে। শাপলা ফুল সুন্দর বলে হয়তো বাংলাদেশের প্রধান ফুলের জায়গায় দখল করে নিয়েছে।শীতের সকালে হাঁটতে বেরিয়ে এমন শাপলা ফুল দেখতে পারা আসলে আমার কাছে অনেক সুভাগ্য বিষয় এবং মন ভালো হয়ে যাওয়া মাধ্যম।

শীতের সকালে আমি গ্রামে থাকলে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি গ্রাম্য রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো। আহ!! কতোই না মজা করতাম এই সকালে ঘুরে বেড়ানো।অনেক বছর পর কলেজ বন্ধ থাকায় সুযোগ টা আবার চলে আসল।

এই হাট টির নাম জয় বাংলার হাট এটি অনেক পুরাতন হাট।গ্রামের মানুষেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এই হাটে নিয়ে আসে।দাদার থেকে শুনে আসছি এই হাট ১৫০ বছর এর ও বেশি সময় ধরে একই স্থানে চলে আসছে।শীত এর সময় গ্রামীণ হাট এ ঘুরতে ভালোই লাগে। কারন শীতের নানান রকম শীত কালীন সবজিতে বাজার ভরে ওঠে।