দ্যা গ্র‍্যান্ড কাচ্চি (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)

আসসালামু আলাইকুম এবিবি বাসী। আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।

খাবার নিয়ে লিখতে গেলে এই একটা সমস্যা খুব হয় রে ভাই।লিখতে লিখতে খাবারের স্মৃতিগুলো মনে পরে যায় আর জিভে পানি চলে আসে সেই খাবার আবার খাওয়ার জন্য।এবার থেকে ভাবছি একটা কাজ করবো।সেটা হচ্ছে,যখন যেখানে খাবো সেখানে বসেই সেই খাবার সম্পর্কে লিখবো😁।

যাইহোক,কথায় আসি।আজকের লেখায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বিস্ময়কর আমার কাছে সেটা হলো কিপটা নাফিস ট্রিট দিয়েছে।এমনে সময় ৫ টাকা বের করেনা অথচ সেদিন আমাদের তিন বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে ১০৮০ টাকা খরচ করে কাচ্চি খায়িয়েছে।যে ৫ টাকা খরচ করেনা আমাদের জন্য সে খরচ করেছে ১০৮০,বুঝতেই পারছেন পিছে কোনো কারণ আছে।কারণের কথা না বলাই ভালো,ওটা হিডেন থাক।

ঘটনা এ মাসের ৬ তারিখের।বায়োলজি প্রাইভেট পড়ছিলাম আমি আর নাফিস।নাফিস হঠাৎ করেই বললো,আজকে তোকে আর হৃদয় এবং হাসিবকে কাচ্চি খাওয়াবো।খাওয়ানোর কথা আগেই বলেছিল বাট ডেট ছিলনা।তো সেদিন ডেট বলে রাতের বেলাই আমাদের তিনজনকে নিয়ে গিয়েছিল কাচ্চি খাওয়াইতে।
রাতে ওর প্রাইভেট শেষ হয়েছিল ৭ টায়।প্রাইভেট থেকে বের হয়ে আমায় আর ওদের ফোন দিয়ে ডেকেছিল কালি মন্দিরের সামনে যাওয়ার জন্য।সবাই একসাথে হলে একটা রিক্সা নিয়ে গিয়েছিলাম জলেশ্বরীতলায়।রেটুরেন্টের নাম ছিল, দ্যা গ্র‍্যান্ড কাচ্চি।

কিপটা লোক খাওয়াইতে নিয়ে গেছে,তো তাই বলে তো কিপটামি স্বভাবটা তার ভেতর থেকে যাবেনা।সেই ঘটনা নাফিসের সাথেও ঘটেছে।মেনু কার্ডে সবচেয়ে কম দাম ছিল,বাশমতি কাচ্চির।ওকে বললাম,আচ্ছা তুই বাশমতির দামই দিস আমরা তার সাথে নিজ নিজ টাকা যোগ করে স্পেশাল কাচ্চিটা নিই।ও ব্যাটা তাতেও রাজি হয়না।বলে,না না আমি ট্রিট দিচ্ছি মানে টাকা সব আমারই যাবে।আর আমি বাশমতি কাচ্চির বাহিরে খরচ করবোই না।কি আর বলার!
অর্ডার করার মিনিট ১০ পরেই খাবার চলে এসেছিল।কথায় বলে,ঘ্রানে অর্ধভোজন।তাই হয়েওছিল।আহা,সে কি সুবাস।মনটা চাচ্ছিলো না,ছবি তোলার জন্য খাবার মুখে দেয়ায় দেরি করি।কয়েকটা ছবি তাড়াতাড়ি করে তুলে,যখন প্রথম লোকমা মুখে দিলাম-আমি যেন কাচ্চির ভেতরে হারিয়ে গিয়েছিলাম।চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল🤭।মাংসগুলোও এতো পরিমাণ সিদ্ধ হয়েছিল যেন চামুচ না ঢুকাইতেই আউলায় যাচ্ছিলো।মানে,পারফেক্ট কাচ্চি বলতে যা বোঝায় আরকি।পরিমানেও বেশ ভালোই ছিল।
খাবার শেষে ছিল শাহী মসলা।সেটাও যেন অনন্য।মোট কথা,জাস্ট ফ্যান হয়ে গেছি।কিছুক্ষন রয়ে সয়ে খাওয়ার পর নিজেরা টুকটাক ছবি-টবি তুলেছিলাম।

হাসিব,আমি এবং নাফিস।

মাঝেরটা হৃদয়।

আমি আর নাফিস।

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আগেই মেসে যাইনি কেউ।সাতমাথায় গিয়ে নিজেদের কিছু কাজ ছিল,সেগুলো সেরেছিলাম।তারপর একটু আড্ডা দিয়ে যে যার মেসে এসেছিলাম।

cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date. 20/06/22