মানসিক প্রশান্তি।। প্রথম পর্ব

in hive-129948 •  2 years ago 

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছো, আমি ভালো আছি তোমাদের ভালোবাসাতে। বন্ধুরা নিয়মিত আমার বাংলা ব্লগে সময় দিতে পারছি না ব্যক্তিগত কিছু ঝামেলার কারণে। আমার বাংলা ব্লগকে খুব বেশি ভালোবাসার কারণে শত ব্যস্ততার মাঝেও এটা থেকে দূরে থাকতে পারিনা। যাইহোক বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে চলে এলাম আমার নতুন লেখা মানসিক প্রশান্তি প্রথম পর্ব নিয়ে। আশা করি আমার লেখা পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
WhatsApp Image 2022-12-21 at 5.40.39 AM (1).jpeg
Location
সত্যি বন্ধুরা একটা মানসিক প্রশান্তি কাজ করছে নিজের মধ্যে। খেলাধুলা আমার পছন্দ ছোটবেলা থেকে নিজেও খেলার খুব পাগল ছিলাম। খেলাধুলার জন্য অনেক বকা খেয়েছি বাবা মায়ের কাছে তারপরেও আবার খেলাধুলা করতে গিয়েছে বন্ধুদের সাথে। আমার প্রিয় খেলা ফুটবল, ফুটবল নিয়ে জীবনে অনেক মাতামাতি করেছি। ফুটবলে প্রিয় দল হল আর্জেন্টিনা, সেই ২০০২ সাল থেকে আজ অবধি এই দলটাকে ভালবেসে যাচ্ছি। শুরুতেই বলেছিলাম যে এটা মানসিক প্রশান্তি কাজ করছে নিজের মধ্যে কারণ হল আজ আমার প্রিয় দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্বকাপ জিতে। এটা যে কতটা আবেগের বিষয় তা আমি আপনাদের বুঝিয়ে বলতে পারবোনা। এই দল সাপোর্ট করাকে কেন্দ্র করে অনেকবার নানান ধরনের ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে প্রতিপক্ষ ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে।

ছোটবেলায় বাবার কাছে শুনতাম ম্যারাডোনা নামক একজন খেলোয়াড় ছিল, যার একক নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ ১৯৮৬ সালে। ম্যারাডোনার নানা ধরনের ফুটবলীয় কীর্তি প্রতিনিয়ত মানুষকে বলতে শুনেছি ছোটবেলা থেকে। ম্যারাডোনার কথা শুনতে শুনতে তার দল আর্জেন্টিনার একজন ভক্ত বনে গেলাম। এই দলকে সমর্থন করে আসছি ২০০২ সাল থেকে, দলটির প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা কাজ করতো। কিন্তু ২০০২ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটা বিশ্বকাপে দারুণভাবে হতাশ হয়েছি, তারপরও হাল ছাড়িনি প্রতিটা বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর মনের মধ্যে আশা ছিল পরবর্তী বিশ্বকাপে আমার দল বিজয়ী হবে।
WhatsApp Image 2022-12-21 at 5.40.40 AM.jpeg
Location
আমার দেখা প্রতিটা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে বেশকিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ২০০৬ সালে প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসি দলে যোগদান করার পর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মনে আশা জেগেছিল হয়তো আমরা তার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। প্রিয় খেলোয়াড় মেসির মাধ্যমে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে। যদিও ২০০৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি খুব বেশি ম্যাচ খেলানি, কারণ তখন সদ্য দলে যোগদানকারী একজন খেলোয়াড় ছিল।

২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হন ফুটবল জগতে। কিন্তু সেই বিশ্বকাপে আমার প্রিয় দল খুব বেশিদূর যেতে পারেনি বেশকিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় দলে থাকা সত্ত্বেও। ১০ সালের আফ্রিকা বিশ্বকাপে কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে কিন্তু তার কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে প্রিয় দল সেবার বাদ পড়ে যায়। একজন আর্জেন্টিনার সমর্থক হিসেবে সেবারও আমার মন ভেঙেছে, আর্জেন্টিনা বাদ পড়ার পর আমি ফাইনাল খেলা বাদে আর কোন খেলা আর দেখিনি।
WhatsApp Image 2022-12-21 at 5.40.40 AM (1).jpeg
Location
১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে প্রায় একক নৈপুণ্যে লিওনেল মেসি ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। যে সময়ে মেসি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্লেয়ার হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। কিন্তু সেবার প্রচণ্ড পরিমাণের মন ভেঙে গিয়েছিল আমার মত হাজারো আর্জেন্টাইন সমর্থকের। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও আমাদের হতাশ হতে হয়েছে যার জন্য প্রিয় দলের প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসি সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আর্জেন্টাইন ভক্তদের নানান ধরণের কথা শুনতে হয়েছে।

আবারও পরাজয়ের গ্লানিতে নিমজ্জিত হল ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে। সেখানেও বাদ পড়তে হল নক আউট পর্ব থেকে। ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর পরপর দুইটি কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে পরাজিত হয়ে প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসি সহ আরও কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় অভিমানে দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন। মাস্টারমাইন্ড কোচ লিয়নেল স্ক্যালোনি ছিলেন তখন সহকারী কোচ।
WhatsApp Image 2022-12-21 at 5.40.39 AM.jpeg
Location
প্রিয় বন্ধুরা, আজ এখানেই শেষ করছি মানসিক প্রশান্তি গল্পের পরবর্তী পর্ব নিয়ে যেকোনো সময় আবার আপনাদের সামনে হাজির হব, সে পর্যন্ত সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি, অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।

amarbanglablog.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি বলতে আমি খেলা তেমন একটা দেখি না ব্যস্ততার কারণে। তবে গত ফাইনাল ম্যাচ আমি দেখেছি এবং অনেক বেশি উপভোগ করেছি। মেসির প্রতিটি মুভমেন্ট একটু ভিন্ন রকমের ছিল। যেহেতু ফাইনাল ম্যাচ, এদিক থেকে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশেষে বিশ্বকাপে চুমু দিতে পেরে তার মানসিক প্রশান্তি টি ফিরে এসেছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

সত্যিই দারুন অনুভূতিশ প্রকাশ করেছেন। যেখানে মানসিক প্রশান্তি নেই সেখানে কোন কিছুতেই আনন্দ নেই। তবে খেলার প্রতি আপনার আগ্রহ এবং কি ভালোবাসা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আমিও ফুটবল খেলা খুব পছন্দ করি। বয়সের ভারে এখন আর খেলা হয়ে ওঠে না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য, অপেক্ষায় থাকলাম আগামী পর্বের।

সত্যি বলতে ওই রাতটা ছিল ফুটবলপ্রেমীদের ফুটবল বিশ্বের লিও মেসি এবং লিওনেল স্কেলনি র শীর্ষদের। আপনার মত আমাদেরও মনটা অনেক উৎফুল্ল অনেক মজা করেছি আনন্দ করেছি সর্বোপরি মেসির হাতে বিশ্বকাপ এক কথায় রাজকীয় একটি পরিবেশ রাজার হাতে রাজ্য এখন।।

আসলেই অনেক ভালো একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম বিশ্বকাপ মানে ফাইনাল খেলার দিন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল ফাইনাল খেলাটি। ৩৬ বছর অপেক্ষা কর মেসি বিশ্বকাপ জয় করেছে এটা জেনেই ভীষণ ভালো লেগেছে। পরিবারের সবাই মিলে ঐদিন খেলা দেখেছিলাম। আপনি আজকে ফুটবল খেলা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন যা পড়ে ভালো লেগেছে। সত্যি আমার কাছে মুহূর্তটি ভীষণ ভালো লেগেছিল যে মুহূর্তে মেসি বিশ্বকাপ কে চুম্বন করেছিল। চুম্বন করতে ফিরে তার মানসিক প্রশান্তি ফিরে এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি বলতে খেলাধুলা নিয়ে বাবা মার কাছে বকা খায়নি এরকম মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমিও আপনার মত খেলাধুলার জন্য বাবা-মার কাছে অনেক বকা মার খেয়েছে তারপরেও বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যেতাম। আপনার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আসলেই সেদিনের সেই আর্জেন্টিনার ফাইনাল ম্যাচ দেখে অনেকেই হয়তো আনন্দে কান্না করে দিয়েছে অনেকের মধ্যে মানসিক প্রশান্তি জাগ্রত হয়েছে। শেষমেষ আর্জেন্টিনা জয়লাভ করেছে এটাই মূলত আর্জেন্টাইন সমর্থকদের অনুপ্রেরণা।

সত্যিই যখন নিজের প্রিয় দল হেরে যায় তখন সবার মন ভেঙ্গে যায়। আপনি আজকে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে অসাধারণ একটি গল্প লিখেছেন। আর্জেন্টিনা সামর্থকরা অনেক খুশি হয়েছিল যখন এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জয়ী হয়। ফুটবল খেলা অনেকেই পছন্দ করে বলতে গেলে ১০০% এর ভেতর ৯৯% মানুষ। আমি এত বেশি ফুটবল খেলা পছন্দ করে না কিন্তু কোন দল জয়ী হয়েছে এটা জেনে নিই সবার কাছ থেকে। আমার কাছে এরকম পোস্টগুলো ভালো লাগে তাই তো এরকম পোস্টগুলো বেশি পড়ি। আপনার পোস্ট খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলাম খুবই ভালো লাগলো।