মজাদার পুডিং রেসিপি।

in hive-129948 •  yesterday 

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি মজাদার পুডিং রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

1000043875.jpg

আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে আমার বাংলা ব্লগে অনেকেই অনেক সুন্দর সুন্দর ইউনিক রেসিপি শেয়ার করে যেগুলো দেখতে সত্যি অনেক লোভনীয় আরো অনেক ইউনিক। আজকে আমি নতুন আরেকটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি পোষ্ট টি হল মজাদার পুডিং রেসিপি। পুডিং খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে আমার হাসবেন্ড পুডিং খেতে অনেক পছন্দ করেন। সেজন্য বেশিরভাগ সময়ই তার জন্য পুডিং তৈরি করা হয়। আর পুডিং তৈরি করতে করতে সব সময় চেষ্টা করি এর মধ্যে নতুন কিছু যোগ করার এবং নতুন কোন ধরনের পুডিং তৈরি করার। আজকে আমি লাল ও সাদা রঙের কম্বিনেশনে একটা পুডিং তৈরি করেছি। আসলে আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম ক্যারামেল পুডিং। কিন্তু সেদিন আমি দুইবার ক্যারামেল তৈরি করে নষ্ট করেছে। সেদিন আমার ক্যারামেল ঠিকভাবে হচ্ছিল না তৃতীয়বার যখন ক্যারামেল তৈরি করতে গেলাম ভাবলাম দুই বার নষ্ট হয়েছে এবার যদি নষ্ট হয় তাহলে কি করবো। আসলে আমি তৃতীয় বার কোন ঝূঁকি নিতে চাইনি সেজন্য ভাবলাম লাল রং এর জেলি তৈরি করে নতুন একটা পুডিং তৈরি করি। সেজন্য আমি এই পুডিং মধ্যে লাল রঙের জেলি দিয়েছি। জেলি দেওয়াতে বিষয়টা খুব একটা খারাপ হয়নি পুডিংটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর আর আকর্ষণীয় লাগছে। তাছাড়া খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে একেবারে আলাদা রকমের একটা পুডিং হয়েছে। কারণ উপরে জেলির কারণে এই পুডিং এর স্বাদ আর বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।

উপকরণ


দুধ
ডিম
চিনি
পানি
ভ্যানিলা এসেন্স
লাল ফুড কালার
আগার আগার পাউডার

1000043877.jpg

তৈরি করার পদ্ধতি:-

ধাপ:-১

পুডিং তৈরির জন্য প্রথমে আমি একটা পাত্রের মধ্যে দুই চামচ চিনি দিয়ে দিলাম। এরপর পানি দিয়ে আমি ক্যারামেল মতো তৈরি করলাম।

1000043681.jpg

1000043684.jpg

ধাপ:-২

তৈরি করা ক্যারামেল এর মধ্যে আমি দিয়ে দিলাম লাল রঙের ফুড কালার। এরপর দিয়ে দিলাম এক চামচ আগার আগার পাউডার।

1000043698.jpg

1000043700.jpg

ধাপ:-৩

সবকিছু একবার ফুটিয়ে আমি একটা বাটির মধ্যে সেট করে নিলাম এবং ঠান্ডা করার পর তৈরি হয়ে গেল লাল রঙের জেলি। আমি যেই বাটিতে পুডিং তৈরি করব সেই বাটিতে জেলি সেট করে নিয়েছি।

1000043699.jpg

1000043709.jpg

ধাপ:-৪

এখন আমি একটা পাত্রের মধ্যে দুটো ডিম নিয়ে নিলাম এবং পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে নিলাম।

1000043687.jpg

1000043688.jpg

ধাপ:-৫

এরপর ডিম আর চিনি একসাথে ভালো করে অনেকক্ষণ মিশিয়ে নিলাম। যতক্ষণ না চিনি গুলো গলে না যায় যতক্ষণ পর্যন্ত আমি মিশিয়েছি।

1000043689.jpg

1000043878.jpg

ধাপ:-৬

এরপর আমি ডিমের মধ্যে দিয়ে দিলাম এক লিটার দুধ। দুধ দেওয়ার পর ডিম আর দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।

1000043879.jpg

1000043692.jpg

ধাপ:-৭

এরপর আমি দুধের মধ্যে দিয়ে দিলাম কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স যাতে দুধের মধ্যে ডিমের গন্ধ না লাগে।ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আরো একবার মিশিয়ে নিলাম যাতে দুধের সাথে ভালো করে মিশে যায়।

1000043880.jpg

1000043881.jpg

ধাপ:-৮

এরপর দুধের মিশ্রনটা আমি চুলার উপর বসিয়ে দিলাম। দুধ গরম হয়ে যাওয়ার পর আমি দুধের পরিমাণ অনুসারে তিন চামচ আগার আগার পাউডার দিয়ে দিলাম।

1000043706.jpg

1000043707.jpg

ধাপ:-৯

আগার আগার পাউডার দেওয়ার পর আমি দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম এবং একটা বাটির মধ্যে ঢেলে নিলাম।

1000043710.jpg

1000043711.jpg

ধাপ:-১০

এরপর সবকিছু ঠান্ডা করে ৩০ মিনিট রেখে দিলাম জমাট বাঁধার জন্য। ৩০ মিনিট পর আমি ফ্রিজ থেকে বের করে ছুরি দিয়ে কেটে নিলাম।

1000043712.jpg

1000043722.jpg

শেষ ধাপ:-

এরপর আমি ছুরি দিয়ে কেটে সুন্দর করে পরিবেশন করলাম আর সবাই মিলে খেয়েছিলাম। ঠান্ডা ঠান্ডা এই মজাদার পুডিং খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পুডিং এর উপর জেলি দিয়ে কখনোই পুডিং তৈরি করা হয়নি। প্রথমবার তৈরি করলাম আর খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।

1000043871.jpg

1000043872.jpg

1000043873.jpg

1000043874.jpg

1000043875.jpg

1000043876.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনফেনী


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এত মজাদার পুডিং তৈরি করেছেন দেখে তো লোভ লেগে গেলো। আপনার তৈরি করা পুডিং দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছে করছে। এত মজাদার পুডিং তৈরি করতে পারেন। আমাদের জন্য মাঝেমধ্যে তৈরি করে পাঠিয়ে দিবেন। শুধু ভাইয়া একা খেলে হবে নাকি। যাইহোক আপনার তৈরি করা আজকের এই পুডিং আমার দেখেই ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই অনেক মজাদার ছিল।

আপনার উপস্থাপন করা পুডিং রেসিপি টা দেখেই মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু অনেকদিন হলো পুডিং তৈরি করে খাওয়া হয় না আপনি এই রেসিপি পোস্ট এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপিটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। এই জিনিসটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ মজাদার পুডিংস তৈরি করে দেখিয়েছেন। আসলে এই জাতীয় রেসিপিগুলো নিজের মনের মত করে তৈরি করা যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করলে ইচ্ছেমতো সুস্বাদু বানানো সম্ভব। করি আপনার এই পুডিং রেসিপি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।

পুডিং খেতে অনেক বেশি মজাদার লাগে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কম বেশি সবাই পুডিং এর রেসিপি শেয়ার করেন। আজকে আপনার মজাদার পুডিং এর রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

পুডিং আমার খুব পছন্দের। পুডিং স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আজ আপনি খুব সুন্দর করে চমৎকার ভাবে পুডিং তৈরি করেছেন। পুডিং তৈরি প্রক্রিয়া বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। পুডিং দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপু আপনি ফুড কালার ব্যবহার করার কারণে পুডিং টি দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছে। পুডিং খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে তৈরি করে খাওয়া হয়। কিছুদিন আগে আমিও পুডিং রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ শেয়ার করেছেন। এরকম মজাদার একটি খাবার দেখতে পেটে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।

জেলি দিয়ে পুডিং বানানো আমি প্রথম দেখলাম। এমনিতেও পুডিং এর মজাদার রেসিপি আমি আপনাদের বাংলাদেশী নানান ব্লগ থেকে শিখি । আমাদের এপার বাংলায় পুডিং এর চল কিন্তু আপনাদের মত নেই। আপনার পুডিং টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর খেতে হয়েছিল। আর লাল রঙের জেলি ব্যবহার করা ফলে দেখতেও অসাধারণ হয়েছে।

মজার মজার রেসিপি দেখলে কিভাবে লোভ সামলানো যায় আপনি বলেন। যেমন আপনার রেসিপিটা দেখে আমার এতটা লোভ লেগেছে। এখন তো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। আপনি সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো অনেক লোভনীয় হয়ে থাকে। বুঝতেই পারে দেখে এগুলো অনেক সুস্বাদু হয়। নিশ্চয়ই এই রেসিপিটাও অনেক সুস্বাদু ছিল। সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করলেন দেখেই অসম্ভব ভালো লাগলো।

মজাদার একটি রেসিপি। পুডিং খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও এর আগে কখনো বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে বাড়িতে বানানোর ইচ্ছে জাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।।

আপু আপনি আজ বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। পুডিং খেতে আমি খুব পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই এই রেসিপি তৈরি করা হয় আর খেতেও খুব ভালো লাগে। ফ্রুট কালার দেওয়ার জন্য দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। নিশ্চয়ই খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনার হাজব্যান্ড পুডিং খেতে পছন্দ করে সেটি জানতে পারলাম আপনার পোস্টে। তবে আপু পুডিং খেতে বড় ছোট সবাই পছন্দ করে। তবে আপনার পুডিং রেসিপি দেখে আমার নিজেরও খেতে ইচ্ছে করতেছে। মজার পুডিং রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।