নদীর পাড়ে পিঁয়াজু খাওয়ার গল্প।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। নদীর পাড়ে পিঁয়াজু খাওয়ার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

B612_20230505_194435_745.jpg

আজকে আমি আপনাদের সাথে অনেকদিন আগের একটি ঘটনা শেয়ার করব। বলতে গেলে প্রায় পাঁচ বছর আগের ঘটনা।আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে একটি ছোট নদী গিয়েছে ওই নদীটি আমাদের বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূরে নয়। আমরা যদি পায়ে হেঁটে যাই পাঁচ মিনিট সময় লাগে যেতে।ঐ নদীর কূলে পিঁয়াজু খাবার গল্প আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি।

পাঁচ বছর আগে আমাদের বাজার গুলোতে পিঁয়াজু দাম ছিল তিন টাকা করে। বর্তমানে এই পিঁয়াজু দাম হচ্ছে পাঁচ টাকা। কিন্তু পাঁচ বছর আগে তখন আমাদের নদীর পাড়ে পিঁয়াজু মূল্য ছিল মাত্র এক টাকা করে। তবে বিষয়টি হচ্ছে পেঁয়াজের দাম যেহেতু এক টাকা ছিল তাই পিঁয়াজু ছোট ছোট ছিল। আমি বান্ধবীর একসাথে নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম একদিন পিঁয়াজু খাওয়ার জন্য। আমরা এমনিতেই ছোটবেলায় বিভিন্ন সময় সবাই মিলে একসাথে আড্ডা দিতাম এবং সময় সুযোগ পেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম। হঠাৎ সেদিন আমার মন চাইলো সবাই মিলে একসাথে নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসতে এবং সুযোগ পেলে সেই মজাদার পিঁয়াজু গুলো খেয়ে আসতে।

আমরা পাঁচ বান্ধবী একসাথে গিয়েছিলাম নদীর পাড়ে। তারপর ওই দোকান থেকে পঞ্চাশ টাকার পিঁয়াজু কিনেছিলাম। একটা পিঁয়াজু দাম যেহেতু এক টাকা সে ক্ষেত্রে পঞ্চাশ টা পিঁয়াজুর দাম পঞ্চাশ টাকা এসেছিল। আমাদের একজনের ভাগে দশটা করে পিঁয়াজু পড়ল। পিঁয়াজু গুলো অনেক সুস্বাদু হওয়াতে আমরা অতি দ্রুত এগুলি খেয়ে ফেললাম। আর বর্তমান সময়ে তো পঞ্চাশ টাকায় পঞ্চাশ টা পিঁয়াজু পাওয়া স্বপ্নের মত হয়ে গিয়েছে। সবকিছুর এত দাম বেড়েছে কল্পনার বাইরে।

অতীতের এই সময় গুলি ছিল অনেক সুমধুর। ওই সময় গুলি আর কখনোই ফিরে পাওয়া যাবে না। যদিও বর্তমানে ওই পেঁয়াজের দোকান এখন আর নেই এবং ওই পিঁয়াজু এর দামও ওই অবস্থাতে এখন আর নেই। যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট এর মূল্যই অনেক বেশি। আমার এই পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনারা ৫ বান্ধবী মিলে পঞ্চাশটা পেয়াজু খেয়েছেন বাহ্ দারুন লিখেছেন। নদীর পাড়ে আডডা দেওয়ার মুহূর্ত গুলো সব সময়ই ভীষণ ভালো লাগে। ছোট ছোট পেয়াজু খেতে দারুন মজা লাগে। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ ভাইয়া আমার এই পোস্ট পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। আমার এই গল্পটা পড়ে আপনি কমেন্ট করেছেন এটাই অনেক বেশি ভালো লাগলো।

প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু । আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটি মুহূর্ত প্রকাশ করেছেন। যেখানে নদীর পাড়ে পাঁচ বান্ধবী মিলে ৫০ টাকার ৫০ টি পেঁয়াজ খাওয়ার কাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। এত সুন্দর আনন্দ ঘন একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু

হ্যাঁ বেশ ভালই লেগেছিল অনেক আগে পিঁয়াজু দাম কম ছিল। তাই এতগুলো কিনেছি এবং খেতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।