গল্প:- পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল(পর্ব ৩)।

in hive-129948 •  2 months ago 

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000050807.jpg

আজকের গল্প ঠিক আছে একটি অভাগী মেয়ে কিভাবে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যটাকে পরিবর্তন করেছে সেটা নিয়েই। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি। গ্রামীণ জীবনের একটি সুন্দর পরিবারের গল্প শুরু করব এখন। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে গত কয়েকদিন আগে শেয়ার করলাম। গল্পটির বাকি অংশ আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম যে পর্যন্ত সেখান থেকেই শুরু করছি আজকে। মেয়েটি বড় হয়ে যাওয়ার পর সবাই গ্রামের শুধু মেয়েটির জন্য বিয়ের জন্য নিয়ে আসেন। মেয়েটি তো তার দাদিকে আগে বলে দিয়েছে যে সে এখন বিয়ে করবে না লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।

সে লক্ষ্যে মেয়ের দাদি ও যখন সবাই বিয়ের জন্য মেয়েটিকে অনেক কথা বলে তখন অনেক কিছুই বলে মানুষকে যে তার নাতনি এখন বিয়ে করবে না। লেখাপড়া করে চাকরি করবে তারপর সে বিয়ে করবে। এদিকে গ্রামের মানুষজন তার দাদিকে অনেক কথাই বলে মেয়েটি তো বাড়িতে থাকেন আর চাকরি খোঁজার জন্য বেরিয়ে যায়। সব কথা তা তাদেরকেই শুনতে হয়। দাদি তার স্বপ্নকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে সেজন্য মানুষের কথায় কান দেয় না। কারণ সবসময় সাপোর্ট করে যে উৎসাহ দিয়ে যায়। এদিকে গ্রামের মানুষ মেয়েটির জন্য বিয়ে করুন পাত্র নিয়ে আসে আর যখন দাদি নিষেধ করে তখন সবাই অনেক কথা বলে যায়।

গ্রামের অনেক মহিলারাও বলে মা-বাবা নেই আর কেউ নেই তাদের পরিবারে এই মেয়েটিকে বিয়ে না দিলে পরবর্তীতে তাকে দেখবে কে। মেয়েদের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলে তখন আর বিয়ের জন্যও আসে না। এখন বিয়ের জন্য আসছে ভালোভাবে বিয়ে দিয়ে দিলেন কপাল খুবই ভালো হবে এসব কথাবার্তায় সব সময় বলা হয়। যাইহোক মেয়েটি এবং তার তাদের সব কথা সাইডে রেখে তারা আগামীদিনে এগিয়ে যায় এবং একটা সময় চাকরিও পেয়ে যায়। খুব ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায় মেয়েটি। আর মেয়েটি যখন চাকরি করতে যায় তখন গ্রামের মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। গ্রামের একটা মেয়ে মা-বাবা হারা লেখাপড়া করে আজ এত দূরে গিয়ে এসেছে।

এভাবে দিন কাটছিল সে ভালোভাবেই দাদিকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিল। চাকরি-বাকরি করছে তাদের সুখে দিন কাটছে এখন। হঠাৎ করেই একটা ঘটক তার জন্য বিয়ের জন্য নিয়ে আসে। ছেলেটি ছিল তার পরিচয় যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সেই প্রতিষ্ঠানেই ছেলেটাও চাকরি করে। তো ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। তাছাড়া তার ও মনে মনে ছেলেটাকে ভালই লাগতো ছেলেটা ও মেয়েটাকে অনেক বেশি পছন্দ করত সে জন্য বিয়ের প্রস্তাবটা পাঠানো হয়। এখন যেহেতু সে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লেখাপড়া করে চাকরি-বাকরি এখন সেও ঠিক করে নিয়েছে বিয়ের করবে(চলবে...)

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

1000041574.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1000051721.jpg

যে যত বেশি পরিশ্রম করবে সে তত বেশি নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারবে। তাই আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে কঠোর পরিশ্রম করার মধ্য দিয়ে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন আনার।

মেয়েটা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে। শেষ পর্যন্ত সে এখন চাকরি করে খুব ভালোভাবে দিন কাটাচ্ছে তার দাদির সাথে এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। একটা মানুষের ভালো কেউ কখনোই দেখতে পারে না। বিশেষ করে গ্রামের কিছু কিছু মানুষ। সব সময় অন্যের পেছনেই লেগে থাকে। যাই হোক তারই প্রতিষ্ঠানের একটা ছেলের জন্য তার বিয়ের প্রস্তাব এসেছে দেখছি। দেখা যাক তাদের বিয়ে হয় কিনা।

আপনার এই গল্পের আগের পর্বগুলো আমি পড়েছিলাম। আর আজকে গল্পটার দ্বিতীয় পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। মেয়েটা শেষ পর্যন্ত পেরেছে নিজের সফলতা অর্জন করতে। মানুষের কথায় কান না দিয়ে দাদীও তাকে যথাযথভাবে সাপোর্ট করেছে। এখন তার বিয়ের কথা চলছে দেখা যাক বিয়ে হয় কিনা।