হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ছিচকে চোর এর ভালো মানুষ হয়ে ওঠার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
এই গল্পটির আরো দুই পর্ব আমি গত সপ্তাহে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আজকে এই গল্পের বাকি অংশটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গত পর্ব গুলোর মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম একটা চোর বিয়ে করার পর চাইছিল যে খুবই সুন্দরভাবে সম্মানের সাথে জীবন কাটাতে এবং সৎভাবে ইনকাম করে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে। কাজ করে চলেছিল কিন্তু সেই ইনকামে তাদের পরিবার কোন ভাবে চলছিল না। তার জন্য তারা চিন্তা করছিল কিভাবে ইনকাম করা যায় বেশি বেশি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক এই গল্পের বাকি অংশটি।
তখন তারা সেখানে বসে বসে চিন্তা করছিল এর পাশাপাশি আর কি করা যায় যাতে রোজগারটা আরেকটু বেশি বাড়ে। তার বউ বলে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে যদি এই কাজটা সফল করতে পারি হয়তো আমরা অনেক বেশি সফল হবো জীবনে। আমাদের দুই পরিবারের অভাব অনটন থাকবেনা। তখন তারা জিজ্ঞেস করে যে তোমার মাথায় কি বুদ্ধি এলো। তখন সে বলে শুনেছে আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে কলার চিপস জনপ্রিয়। কলার চিপস খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। কলাবাগানে তো প্রচুর কলা হয়। আমি যদি এই কলাগুলো দিয়ে কিছু চিপস তৈরি করে আর সেগুলো বিক্রি করি তাহলে তো কিছুটা ইনকাম বাড়বে।
তখন তারা বলে মানুষ তো আলুর চিপস বেশি পছন্দ করে কলার চিপস কি সবাই পছন্দ করবে সবাইকে খাবে। তখন সে বলে কলা চিপস খেয়ে যদি সবার কাছে ভালো লাগে আর সেটাও যদি বেশ মজাদার হয়ে থাকে তাহলে কেন খাবে না। আর প্রথম অবস্থায় আমরা সেই
কলার চিপসগুলো তৈরি করে সবাইকে এমনি খাওয়াবো। তাতে মানুষ এই মজাদার জিনিস খেয়ে বুঝতে পারে কলার চিপস খেতে অনেক বেশি মজার হয়। পরবর্তীতে যখন সবার কাছে ভালো লাগবে আমরা তখন সবার কাছে টাকার বিনিময় বিক্রি করব এবং সবাই যদি বেশি পছন্দ করে এই চিপস আমরা বাজারে এবং বিভিন্ন জায়গা আরো বেশি করে বিক্রি করতে পারবো।
তখন তার স্বামী বলে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে সেটাই করে দেখা যাক। যদি কোন ভাবে আমাদের ভাগ্য ভালো হয় তাহলে আমরা অবশ্যই সফল হব। তখন তার বউ বলে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা অর্জন করা যায়। সেই লক্ষ্যে তারা কলাবাগানে যখন কলা উৎপাদন ভালো হয় সেখান থেকে কিছু কলা নিয়ে বাড়িতে রাখে এবং কিছু কলা বাজারে বিক্রি করে। বাড়িতে রাখা কলা গুলো দিয়ে তার বউ কলার চিপস তৈরি করে। এরপর বাজারে যখন তারা করাবে বিক্রি করতে যায় সেখানে কিছুই মানুষ বলা কিন্তু আসলে তাদেরকে কলার সাথে এই কলার টিপস গুলো ফিরিয়ে দিত। মানুষ যখন পাওয়ার চিপস খেয়ে তাদের কাছে ভালো লাগে এরপর মাঝেমধ্যেই তারা কলা কিনতে গেলে এই চিপসগুলো কিনতে।
এরপর একদিন তারা চিন্তা করল তাদের মায়ের হাতের আচার ও তো অনেক বেশি ভালো খেতে হয়। এ আচারগুলো তারা আস্তে আস্তে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো। এভাবেই তাদের দিনগুলো ভালো ছিল এখন তাদের আয় রোজগার অনেক বেশি ভালো হয়। কারণ তাদের কলার চিপস গুলো সবাই অনেক পছন্দ করেছে। হঠাৎ একদিন বাজারে একজন লোক এলো। এবং তাদের থেকে করাও কিনা পাশে তাদের এই কলার কিছুগুলো দেখি সে এক প্যাকেট গলার চিপস ও কিনে নিল। সে বাড়ি গিয়ে কলার চিপস খাওয়ার পর তার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। এরপরেই সেই গ্রামে বেরিয়ে তাদের বাড়ির খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায়।
যখন তাদের সাথে কথাবার্তা বলো তখন সে বলে কলার চিপস গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই কলার চিপস গুলো অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি তোমাদের কাছে একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। তোমরা যদি রাজি থাকো তাহলে আমি আমার এই প্রস্তাবটা তোমাদের মাঝে বলতে পারি অবশ্য তাহলে তোমাদের ও ভালো হবে। আপনি বলতে পারেন কথা সব নিয়ে এসেছি। যদি আমাদের কাছে ভালো থাকে আমাদের যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে আমরা আপনার প্রস্তাবে রাজি হব। তখন সে বলে যে কলার চিপস গুলো কে তৈরি করে। তখন তার বউ বলেছে এই কলার চিপস গুলো আমি তৈরি করি নিজের হাতে।
শহরে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে। তোমরা যদি পারো আমি তোমাদের কিনে আমার শহরে নিয়ে গিয়ে বেশ ভালো টাকায় বিক্রি করতে পারব। কারণ তোমরা খুবই সাধারণ মশলা দিয়ে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে এই কলার টিপস গুলো তৈরি করা। সবাই যদি জানে এই এই কলার চিপস পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় তাহলে সবাই বেশ ভালো দাম দিয়েই কিনতে চাইবে। বাজারের অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে এখন বর্তমানে স্বাস্থ্যকর খাবার অনেক বেশি ভালো দামে বিক্রি করা যায়। পরবর্তীতে লাভ অনুসারে তোমরা বেশ ভালোই টাকা পাবে। বলতে গেলে তাদের এই কলার চিপসের ছোটখাটো একটা হয়। আর এভাবেই তারা এই চিপসগুলো বিক্রি করতে থাকে এবং অনেক ভালো টাকা ইনকাম করে। একটা সময় তারা বেশ ভালো অবস্থানে চলে যায়। আর এভাবেই তাদের জীবনটা খুব সুন্দর ভাবে কাটে। এই ছিল আজকের গল্প আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই গল্পটি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://x.com/APatwary88409/status/1884974801569374421?t=jG2CA8S1HaWkiLXwqiEMYA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit