ইফতারের আয়োজন।

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের প্রস্তুতি হল ইফতারের আয়োজন নিয়ে। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের ইফতার করার সময় কি কি আয়োজন করা হয় সেটি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে পড়ে।

রোজার মাসটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল ।রোজার মাসটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটা বছরের শুরুতে রোজার জন্য অপেক্ষা করে থাকি কখন রোজা আসবে। ছোটবেলা থেকে রোজার মূল আকর্ষণটা ছিল ইফতারি। বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি হয় ওই খাওয়া অপেক্ষা। যদি এখন ইফতারের জন্য রোজা দিনগুলো ভালো লাগেনা। রোজার দিনে রোজা রেখে সবাই খুবই ভালো ভাবে চলে। রোজার যে আবহাওয়া ও‌ পরিবেশ এই জিনিসটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ইফতারের আয়োজন প্রতিদিনই আমাদের বিকেলবেলা করা হয়। ইফতারের তিন চার ঘণ্টা আগে থেকে ইফতারের আয়োজন শুরু করা হয়। যদিও এবার নতুন জায়গায় নতুন পরিবেশে রোজা কাটাচ্ছি তারপর অনেক বেশি ভালো লাগছে।

ইফতারের মূল আকর্ষণ হলো ছোলা। আমার তো মনে হয় এই ছোলা ছাড়া কখনো ইফতার সম্ভাব না আমার জন্য। ছোটবেলা থেকেই ছোলা দিয়ে ইফতার করা শুরু। ছোলা দিয়ে ইফতার না করলে আমার কাছে মনে হয় যেন ইফতার কমপ্লিটই হয় না।আগের দিন রাতে ভিজিয়ে সিদ্ধ করে পরে তিনি ইফতারের আগে রান্না করে নিয়েছি। তাছাড়া ডাল দিয়ে কাঁচা বুট তৈরি করেছি ইফতারের জন্য। বিভিন্ন ধরনের সালাদ, আচার ইত্যাদি জিনিস দিয়েই রেসিপি টা তৈরি করা।

বিভিন্ন ধরনের চপ ছাড়া ইফতার সম্পন্নই হয় না। এখানে বেগুনি, আলুর চপ ও সবজি রং চপ রয়েছে। আর নিচে আলু দিয়ে একটা চপ তৈরি করেছি এবং চিকেন দিয়ে একটা চপ এবং পেয়াজু তৈরি করেছি। কয়েকদিন আগে আমার বাংলা ব্লগের ইউনিক চপ রেসিপির প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ধরনের রেসিপি শিখেছি। রোজার মধ্যে একদিন এক রকমের চপ রেসিপি তৈরি করে খাব সেটাই ভাবছি। ছোটবেলায় যখন দোকান থেকে চপ গুলো কিনে আনত তখন খাবার জন্য অনেক বায়না করতাম। তখন খেতে অনেক মজা লাগতো কিন্তু ছোটবেলার সেই স্বাদ যেন এখন চপ গুলোর মধ্যে খুঁজে পাই না।

এটা এক ধরনের মিষ্টি বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছে। নামটা আমি জানি না তবে খেতে একদম জিলাপির মত। আমার কাছে মনে হয়েছে জিলাপির মিশ্রণটা দিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে। তবে খেতে মন্দ না খেতে বেশ ভালোই লেগেছে। তাছাড়া ইফতারের শরবত, খেজুর , বিভিন্ন ধরনের ফল সব কিছুই ছিল।

এই ছিল ইফতারের আয়োজন। ইফতারের সবকিছু রেডি করে অপেক্ষা করছিলাম ইফতার করার সময় কখন হবে সেটার জন্য। পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ইফতার করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ইফতারের আয়োজনে কি কি ছিল সেগুলো তো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আমার এই পোস্টটি।

আমার পরিচয়

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।