গল্প-সংসার জীবন।

in hive-129948 •  yesterday 

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সংসার জীবন গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000042683.jpg

আজকে আপনাদের মাঝে আরো একটি গল্প নিয়ে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে ভূতের গল্প গুলো খুব বেশি ভালো লাগে সেগুলো পড়ার মজাই আলাদা হয়। তবে আজকে অন্য একটি গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম গল্পটির নাম হচ্ছে সংসার জীবন। প্রত্যেকটা সংসারের গতিপথ আলাদা হয়। প্রত্যেকটা সংসারে খুবই আলাদা ভাবে সংসারে কাহিনী ও আলাদা হয়ে থাকে।আজকে আমি এমন একটা সংসারে গল্প আপনাদের মধ্যে শেয়ার করব। যে সংসারে গৃহিণী কত কষ্ট করে সংসারটাকে ধরে রেখেছে সেটাই শেয়ার করব।

সুন্দর একটা পরিবার স্বামী-স্ত্রী সংসার। তাদের কোন বাচ্চাকাচ্চা নেই তবে ঐ সংসারের কর্তা তার বোনের মেয়েকে নিজের মেয়ের মতোই লালন পালন করে। তাদের সন্তান না থাকায় তারা তাদের বোনের মেয়েকে নিজের মেয়ে মনে করে লালন পালন করছে এবং তার দায় দায়িত্ব সবকিছুই তারা নিয়েছে। তাদের সংসার খুবই সুখের দিন কাটছিল তবে সেই সুখটা সবার জন্য সুখ নয়। সংসারের যিনি গৃহিনী ছিলেন তিনি সংসারের সব দায়িত্ব পালন করতেন। নিজের দায়িত্বগুলো তিনি পালন করতে নেই তার স্বামীর দায়িত্ব গুলো তাকে পালন করতে হতো কিন্তু কারণ তার স্বামী কোনরকম কোন কাজই করতেন না। তিনি অনেক অলস প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। কোন কাজকর্ম না করে তিনি চাইতেন সারাদিন রাত শুধু ঘুমিয়ে কাটাতেন আরাম আয়েশ করে কাটাতেন আর সেগুলি তিনি করতেন।

আর এদিকে সংসারে সবকিছুই সামাল দিতে হতো তার স্ত্রীকে। তিনি ঘরে বাইরে সবকিছু সামাল দিতে গিয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে যেত। আর সারাদিন কাজকর্ম করে তার শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত থাকতো এবং তিনি ভাল করে বিশ্রামও নিতে পারতেন না। সংসারের সব কাজকর্ম এবং বাইরে সবকিছু করার কারণে এ কারণে তিনি সবসময় ক্লান্ত থাকতে এবং অসুস্থ থাকতেন। তিনি তার স্বামীকে সবসময় বলতেন তার কাজ কি সামান্য হলেও সাহায্য করার জন্য। কিন্তু তার স্বামী করবে বলে আর করতো না। এভাবে দিনের পর দিন যেতে থাকে।

তিনি যেন সংসার সামলাতে সামলাতে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তার শরীর আর চলতো না। একদিন সকাল থেকে খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল আর বৃষ্টির কারণে বাজারে করা হয়নি। তখন তিনি তার স্বামীকে বলছিলেন যে বাজারে গিয়ে বাজার করে নিয়ে আসতে। কিন্তু তারা স্বামী বাজারে যেতে চাইনি এবং অনেক জোর করার পরও তিনি বাজার করতে যাননি। পেটে দায় তাকেই আবার এই বৃষ্টির মধ্যে বাজার করতে যেতে হল। বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে তিনি বাজার করে আনেন এবং রান্নাবান্না সব কিছু করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেন। সারাদিনের কাজকর্ম সব সেরে যখন বিছানায় ঘুমোতে যান। তখন তার শরীরটা খুবই খারাপ লাগছিল আর অনেকদিন ধরে তার শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না।

বৃষ্টিতে ভেজার কারনে অনেক বেশি শরীরটা খারাপ হয়ে যায় এবং অনেক জ্বর হয় যার কারণে পরদিন সকালবেলা থেকে তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছিল না। অসুস্থতার কারণে পরবর্তীতে তার স্বামীকে সেদিন সারা দিনের কাজকর্ম সবকিছু করতে হয়। আর এই অলস লোকটি যখন সংসারে সব কাজকর্ম একদিন করে তখন তার অনেক বেশি কষ্ট এবং সে বুঝতে পারে যে তার স্ত্রী এতদিন অনেক কষ্ট করেই এই সংসারটা সামলিয়েছে। কিন্তু তারপরও সে তার অলসতা থেকে বের হতে পারেনি। তার স্ত্রী সুস্থ হওয়ার পর সে আবার সবকিছু করতে থাকে। কিভাবে একদিন অসুস্থতার কারণে তারা স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কি তার ভুলটি বুঝতে পারেন কিন্তু তখন তো আর ভুল বুঝে কোন লাভ ছিল না। মানুষটা যখন বেঁচে ছিল তখন তার কষ্ট বোঝেনি। আসলে সবার সংসার সমান হয় না সব প্রত্যেকটা সংসারেরই গতিপথ আলাদা হয়। এই
রকম কিছু দায়িত্বহীন পুরুষের কারনে কিছু কিছু সংসার ধ্বংস হয়ে যায়। যেই সংসারে পুরুষ মানুষের এরকম অবস্থায় সেই সংসার মানুষগুলোকে অনেক কষ্ট করতে হয়।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!