গল্প:-বৃদ্ধাশ্রম (পর্ব ১)

in hive-129948 •  last month  (edited)

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বৃদ্ধাশ্রম গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000054204.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হলাম। গল্প করতে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। গল্পগুলো পড়তে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে তাছাড়া গল্পের মধ্যে ভূতের গল্প গুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগে। কারণ সে গল্পগুলো পড়ার মধ্যে অনেক কৌতুহল কাজ করে। আমি আপনাদের মাঝে যেই গল্পটি শেয়ার করতে চলেছি সেই গল্পটির নাম হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার এবং বৃদ্ধাশ্রমে থাকার যে কত কষ্ট কত কাহিনী রয়েছে সেটা তাদের লোকজন এবং যারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকে তারাই জানে। আজকে আমি সেরকমই একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

মধ্যবিত্ত একটা পরিবারের একটি বৃদ্ধাশ্রম এর গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের কথা তাদের দুই মেয়ে। দুই মেয়েকেই তারা দেখেশুনে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছিল। তার মধ্যে বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির মানুষের অনেক টাকা পয়সা ছিল। তারা ছিল পয়সাওয়ালা। কিন্তু ছোট মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ছিল মধ্যবিত্ত। পরিবার ছিল তাদের কোনমতে তাদের সংসার চলত। দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর তারা স্বামী-স্ত্রীর দুজন মিলে একাই থাকতো। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর তার স্ত্রী হঠাৎ করেই মারা যায়। বউ মরে যাওয়ার পর তিনি বাড়িতে একা হয়ে যান।

বেশ অনেকদিন একা থাকার পর তিনিও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি একে তো বাড়িতে একা থাকেন তার উপর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তিনি ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া কিছুই করতে পারছিলেন না। তখন তার বড় মেয়ের পরিবার তো অনেক বেশি পয়সা ওয়ালা ছিল। তখন তারা চিন্তা করে যে তার বড় মেয়ের কাছে চলে যাবে তাদের তো টাকা-পয়সার অভাব নিয়ে একা বাপকে তারা দেখবে। সে তার বড় মেয়ের কাছে চলে যায় এবং তারাও তাকে রাখতে রাজি সেজে শুধু তার বড় মেয়ের কাছে বড় মেয়েদের টাকা পয়সার উপর সেরকম আসে যে চাকরি করতো সেই চাকরির কিছু সঞ্চয় ছিল। সেগুলোই মাসে মাসে বড় মেয়ে সংসারে কিছুটা পরিমাণ দিত।

এভাবে বেশ অনেকটা সময় কেটে যায়। যেহেতু তিনি অসুস্থ ছিলেন তার ওপর বড় মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ছোট মেয়ে শ্বশুর বাড়ির দূরত্ব অনেক বেশি ছিল। যার কারণে সে আর বড় মেয়ের বাড়িতে সেরকম আসা-যাওয়া করতে পারতনা অসুস্থতার কারণে। একটা সময় তার চাকরির যে সঞ্চয় ছিল সেটাও শেষ হয়ে যায়। চাকরি সঞ্চয় শেষ হয়ে যাওয়ার পর তার বড় মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে তার সাথে করা আচরণগুলো যেন আস্তে আস্তে বদলে যেতে শুরু করে। এরপর একটা সময় এখানে থাকতে একদম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিল না। সে নিজেও বুঝতে পারছিল যে এখন সে সংসারে টাকা না দেওয়ার কারণে সবাই তাকে সেই সংসারের বোঝা মনে করছে এবং তার নিজের মেয়েও। হঠাৎ একদিন (চলবে.....)

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1000052972.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

1000041574.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

1000054446.jpg