একটা অসহায় মেয়ের জীবনের গল্প।

in hive-129948 •  7 days ago 

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একটা অসহায় মেয়ের জীবনের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000048571.jpg

আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ভূতের গল্প পড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কারণ সে ধরনের গল্প গুলোর মধ্যে অনেক বেশি কৌতূহল জাগে। তাছাড়া সবাই গল্প শেয়ার করে সেই গল্পগুলো পড়েও খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি হচ্ছে একটি অসহায় মেয়ের জীবনের গল্প। আমাদের কোন প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবনের গতিপথ একদমই আলাদা। প্রত্যেকটা মানুষকে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করে বাঁচতে হয়‌। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে আলাদা আলাদা সমস্যা রয়েছে সে সমস্যা গুলো নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে বেঁচে রয়েছে। সেরকমই একটি গল্প আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এসেছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা অসহায় মেয়ের জীবন কাহিনী শেয়ার করবো। খুবই সুন্দর ছোট একটা হাসিখুশি পরিবার ছিল। আর তাদের পরিবারের ছোট্ট একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান ছিল। মেয়েটি কিছুটা বড় হলে মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে এবং তার মাকে রেখে বিদেশে চলে যায় টাকা-পয়সা রোজগার করার জন্য। বেশ ভালো সংসার চলছিল তাদের। পরবর্তীতে ছোটবেলায় মেয়েটির বাবা ও মারা যায় বিদেশ থাকা অবস্থায় রোগের কারণে। এরপর তাদের সংসারে অনেক অভাব অনটন লেগে থাকে। সংসারের রোজগার করার মানুষটি যখন চলে যায় তখন তো আর সংসারে একবার জন্যই সংসারে ডাল ভাত জোগাতে ও তখন কষ্ট হয়ে যায়।

পরবর্তীতে মেয়েটির বাবা বিদেশে যে জায়গায় কাজ করতে সেই জায়গার মালিক একদিন তাদের খোঁজখবর নেয়। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে যে তাদের পরিবার অনেক কষ্টে দিন কাটছে। এরপর তাদের মালিক বলে যে তার বাবা যে চাকরিটা করত সেই চাকরিটা ইচ্ছে করলে এই মেয়েটিও করতে পারে। সে পর্যন্ত মেয়েটি অনেকটাই বড় হয়ে যায়। তখন আত্মীয়-স্বজন সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েটির বাবার চাকরিটাই বিদেশে গিয়ে মেয়েটি করবে। সবার সিদ্ধান্তই মেয়েটি ও বাবার চাকরি করার জন্য বিদেশে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে ও বাবার চাকরিটা করে বেশ ভালই রোজগার করছিলে এবং তাদের সংসারটা অনেক সুন্দর ভাবে চলছিল। এদিকে তাদের অভাগা মা স্বামী তো হারিয়েছেই তার সাথে সাথে মেয়েটা কেউ হারিয়ে ফেলেছে বলতে গেলে। মেয়ে তার কাছ থেকে দূর প্রবাসে চলে গিয়েছে।

এদিকে মেয়েটি ও বিদেশের মাটিতে বসে তার মা এবং তার পরিবার আত্মীয়-স্বজনকে অনেক বেশি কাছে পেতে চায় কিন্তু সেটা আর হয় না। বেশ কয়েক বছর কাটার পর মেয়েটি একদিন দেশে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দেশে ফেরার পর শেয়ার বিদেশে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ তার মা একাই পরিবার এই থাকত অনেক বেশি কষ্ট হয়। তার মা অনেকটাই বয়স হয়ে গেছে বয়স্ক মানুষটি একা একা থাকে। তার অনেক বেশি অসুবিধা হয় সেজন্য তার মায়ের এই অবস্থা থেকে বিদেশে যাবে না বলে। পরবর্তীতে দেশে এই কোনরকম একটা চাকরি জোগাড় করে মা মেয়ে মিলে দিনকাটায়। এই ছিল আমার আজকের গল্প আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের গল্পটি ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

1000041574.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1000048578.jpg

আমার কাছে সত্যি আপনার লেখা এই গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে। মেয়েটার জীবন অনেক বেশি কষ্টে কেটেছিল ছোটবেলা থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়েটা নিজের বাবার চাকরি বিদেশে গিয়ে করায়, ভালোই কেটেছে তাদের জীবন। কিন্তু মাকে একা রেখে যাওয়া তো অনেক কষ্ট লাগছিল তাই দেশে এসে চাকরি করে। সব মিলিয়ে তাদের জীবনটা এখন অনেক সুন্দর হয়েছে শুনে ভালো লাগলো।

এরকম অনেক মানুষ হয়েছে যারা অনেক কিছুই কষ্ট করে বড় হয়ে থাকে। এই গল্পের এই মেয়েটাও অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। কিন্তু বড় হওয়ার পর আগের মত তেমন অভাব তাদের পরিবারে ছিল না, এটা দেখে ভালো লাগলো। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এই পুরো গল্পটা পড়তে।

অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু আপনার গল্পটা পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে যার পিতা নাই সেই একমাত্র বোঝে পৃথিবীটা কি জিনিস। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই বিদেশে থাকা সেই মালিককে যে পুনরায় আবার চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল মেয়েটিকে। যাইহোক মেয়েটি অনেক কষ্টে মানুষ হয়ে শেষ পর্যন্ত মাকে নিয়ে আবার সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পেরেছে এটাই সার্থকতা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।