গল্প -একটা দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। টাকা দিয়ে বিপদ কেনার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে গল্পটি শেয়ার করছি সেটি সম্পূর্ণ বাস্তবিক জীবন থেকে নেওয়া একটি গল্প। এই ঘটনাটি আমাদের পাশের বাড়ির ঘটনা। একটা লোক কিভাবে একটা দূর্ঘটনার মাধ্যমে তার সারাটা জীবন শেষ করে দিল সেটাই এই গল্পের মূল কথা। তাদের সংসার ওর মধ্যবিত্তের সংসার ছিল কোনভাবে তাদের পরিবার চলত। সংসারের হাল ধরেছিলেন তিনি বাইরেই টুকটাক কাজকর্ম করতেন কিন্তু কোন কাজে তিনি সফল হতেন না এবং ঠিকভাবে টাকাও ইনকাম করতে পারতেন না।

সব সময় চেষ্টা করতেন টাকা রোজগার করার এবং সংসারটাকে সুন্দর করে চালানোর। সব সময় চেষ্টা করে যাতে নতুন নতুন কাজ করার এবং সেই কাজগুলিতে সফল হওয়ার। শেষে তিনি প্রবাসে চলে যাবেন সেখানে গিয়ে অন্তত ভালো কাজ করে সংসারটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলবেন। সেই লক্ষ্যে তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক মানুষের থেকে টাকা ধার নিয়ে বিদেশে চলে গেলেন। যতসব সমস্যা সেখানে গিয়ে দেখা দিল। প্রবাসীরা কতটা কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে সেটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। প্রবাসীরা ইনকাম করার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। এই লোকটিও প্রবাসে চলে যাওয়ার পর সেখানে অনেক পরিশ্রমের কাজ করে।

একদিন কাজ করতে করতে বড় একটা বিল্ডিং থেকে তিনি নিচে পড়ে যায়। এবং অনেক অসুস্থ ছিল কয়েক মাস সেখানে চিকিৎসা করানোর পর তার পায়ে কিছুটা সমস্যা হয়ে গিয়েছিল এবং ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। তো সেখানে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে তাকে আবার কাজ পড়া শুরু করতে হয়। তিনি ভাবলেন এত কষ্টের মাঝে কাজ করতে পারবেনা তাই দেশে চলে এসেছে দু মাসের জন্য। দেশে এসে তিনি তার চিকিৎসা করাবেন এবং দেশে থাকলে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছুটা রেস্ট নিতে পারবেন। দেশের আসার পর তিনি চিকিৎসা তো করিয়েছেন তবে ভালো চিকিৎসা করান নি। ভালো হসপিটালে নিজে চিকিৎসা না ‌করিয়ে সরকারি হসপিটাল এ গিয়ে কোনভাবে তিনি চিকিৎসা করিয়েছেন টাকার সমস্যার কারনে।

বেশি টাকা খরচের ভয়ে টাকা হাতে না কম থাকার কারণে সরকারি হসপিটালে কম টাকা চিকিৎসা করাতে গিয়ে আজ মৃত্যুর পথে বসেছে। যে পায়ে তার সমস্যা ছিল সেই পা ইনফেকশন হয়েছে এবং পাশাপাশি আরেকটা পায়েও ইনফেকশন হয়েছে। পরবর্তীতে ভালো ডাক্তার দেখানো হয় কিন্তু তখন ভালো ডাক্তার দেখিয়েও লাভ হয়নি। পরবর্তীতে মানুষ থেকে সাহায্য চেয়ে অনেকগুলো টাকা তুলে তিনি চিকিৎসা করেন চিকিৎসার করাতে গিয়ে তাকে তার দুটো পা হারাতে হয়েছে । কারণ ভালো চিকিৎসা করা তেল দেরি হয়ে যাওয়া তখন ডাক্তার দুটো পায়ে কেটে ফেলে এবং দুটো পায়ে কেটে ফেলা হয়।

পরবর্তীতে দুটো পা কেটে ফেলার পরও ডাক্তার আর তাকে বাঁচার আশা দিতে পারেনি। বর্তমানে পেটে ভিতরে অংশ শুধুমাত্র দেখা না যায় বা বাইরে বেরিয়ে না আসে কতটুকু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে জিনিসটা আসলে খুবই ভয়ঙ্কর লাগে। এখন তিনি পায়খানা প্রস্রাব করার জন্য তাকে কোলে করে নিয়ে যেতে হয় এতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। একটা দুর্ঘটনার সারা জীবনের কান্না এই লোকটাকে তো এরকমই ঘটেছে। সুস্থতা অনেক বড় নেয়ামত।

আমার পরিচয়

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।