একটি অলৌকিক ঘটনা।

in hive-129948 •  yesterday 

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একটি অলৌকিক ঘটনা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000042033.jpg

আজকে একটু নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প করতে এবং গল্প লিখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। গল্প করতে অনেক বেশি ভালো লাগে তার মধ্যে ভূতের গল্প গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে পড়তে। আজকে অনেকদিন পর একটা নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদেরকে একটি ভূতের গল্প শেয়ার করব অনেকদিন হলো আমি আপনাদের মাঝে ভূতের গল্প শেয়ার করি না। বেশ অনেক অনেক দিন পর আজকে একটা ভূতের গল্প আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হলাম । আসলে ভূতের গল্প পড়ার এবং ভূতের গল্পের মধ্যে কৌতুহল অনেক বেশি সে জন্য ভূতের গল্প পড়ার মজাটাই আলাদা। তাহলে শুরু করা যাক আজকের এই ভূতের গল্প।

খুব মধ্যবিত্ত একটি পরিবার। পরিবারের মধ্যে রয়েছে মা-বাবা দুই ভাই দুই বোন। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে তারা শ্বশুরবাড়িতে থাকে। এখনো সেইভাবে কিছুই করে না তাদের বাবার সাথে টুকটাক কাজে সাহায্য করে। তাদের বাবার নদীতে মাছ ধরে এবং সে মাছগুলো তারা দুই ভাই বাজারে বিক্রি করে। এই করে তাদের সংসার চলে। প্রতিদিনের ভোর রাতের দিকে তাদের বাবা এবং তারা দুজন নদীতে মাছ ধরতে যায়। সকৈ হলেই সে মাছগুলো এনে বাজারে বিক্রি করে একেবারে সকাল সকাল। সেদিন তাদের বোন এসেছিল বাপের বাড়িতে কয়েকদিন থাকার জন্য। প্রতিদিনের মত তারা বাবা ছেলে সবাই বেরিয়ে গেল একবারে ভোররাতে মাছ ধরার জন্য। নদীতে যাওয়ার পথে একটা বড় জঙ্গল পরে সেই জঙ্গল পেরিয়ে নদীতে যেতে হয় মাছ ধরতে।

সেদিন তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইয়ের একটু শরীর খারাপ ছিল। সেজন্য তার ঘুম ঘুম ভাবটাও বেশি ছিল ভোর রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার। চোখে ঘুম ঘুম নিয়ে বাবা আর ভাইয়ের সাথে মাছ ধরতে যাচ্ছিল হঠাৎ করে যেন তার গায়ের সাথে একটু গরম বাতাস লেগে তার গা টা একটু ওজন হয়ে আসে। সে যেন কিছুই বুঝতে পারছিল না। সে বিষয়টা তার বাবা আর ভাইকে বলতে চাইছিল কিন্তু সে তাও বলতে পারছিল না তার পুরো শরীর যেন তার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়। সে তার ভাইয়ের বাবার সাথে মাছ ধরছিল ঠিকই কিন্তু সে আজকে যেন নিজের মধ্যে নেই এরকম একটা বিষয় তার মধ্যে কাজ করছে। মাছ ধরা শেষে সে মাছগুলো নিয়ে ভাইয়ের সাথে বাজারে যায়। এবং হঠাৎ করে বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রি করতে করতে হঠাৎ তার মাছের উপর চোখ পড়ে। হঠাৎ করে কাঁচা মাছগুলো দেখে তার খুবই খেতে ইচ্ছে করছিল আর ইচ্ছে করছিল ঠিক কিন্তু আবার সে আরেক মনে চিন্তা করছিল কাঁচা মাছ খেতে কেন আমার ইচ্ছে করছে। ভিতরে ভিতরে সে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করছিল মুখ দিয়ে কিছুই বলতে পারছিল না।

তারপর বাড়িতে গিয়ে শুরু হলো তার সাথে সব অদ্ভুত সব ঘটনা। ভিতরে ভিতরে সে সবই বুঝতে পারছিল কিন্তু তারা কাজকর্মের মুখে ভাষা কোন কিছু প্রকাশ করতে পারছি না। ‌ রাতের বেলা সে খুবই অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে এবং তাকে সামলাতে রাত্রে বেলা সবাই ঘুম থেকে উঠে যায়। তার বাবা-ভাই মাত্র যেন তাকে সামলাতে পারছিল না তার এরকম অদ্ভুত আচরণে। তখন পরিবারের লোক বুঝতে পারলে যে নিশ্চয়ই তার ভিতরে অন্য কিছু রয়েছে যার কারণে সেই রকম অদ্ভুত আচরণ করছে। একটা হুজুর ডেকে নিয়ে আসে এবং সে হুজুর দেখে সবকিছু বুঝতে পারে। জঙ্গলে যাওয়ার পথে তাকে অশুভ কিছু ভর করেছে সেজন্য সেরকম আচরণ করছে। তার শরীরে দানা বেদেছে এবং তাকে দিয়ে এরকম আচরণ করাচ্ছে।

পরবর্তীতে অনেকটা সময় নিয়ে তারা সেই হুজুরের মাধ্যমে তাদের ছেলের শরীর থেকে সেই অশুভ ছায়াটাকে বের করে আনে এবং তাদের ছেলেটাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এই ছিল আমার আজকের এই ভূতের গল্পটি আশা করি আপনাদের কাছে এই গল্পটি ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ভুতের গল্পের প্রতি কমবেশি আগ্রহ থাকে বেশি সবারই। আমার তো খুব ভালো লাগে কারো কাছ থেকে ভুতের গল্প শুনতে।কি ভয়ংকর গল্পটি আপু গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো।ধন্যবাা গল্পটি ভাগ করে নেয়ার জন্য