শৈশবের আম চুরির একটি দারুন গল্প(১০% লাজুঁক শেয়ালের জন্য)

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ- ১৭ চৈত্র /৩১মার্চ| ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| বৃহস্পতিবার | বসন্তকাল|

আসসালামু-আলাইকুম।

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব শৈশবের গ্রীষ্মকালীন ফল "আম" খাবার অভিজ্ঞতা।


আমের মৌসুম আসলে মনের মাঝে অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে।আম খাওয়ার পাশাপাশি অন্যর গাছের আম চুরি করা। আমার বাড়ির পাশে একটি আমের বাগান আছে। বাগানের মালিক থাকে অন্য পাড়ায় তার বাড়ি থেকে আম বাগান দেখা শুনা করা অবশ্য তার পক্ষে অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। যাই হক মালিক না আসতে পারলেই তো আমার জন্য ভালো🤪।

InShot_20220331_080412029.jpg


আমি ও আমার চাচাতো বোন দুজনেই ছিলাম নাটের গুরু।আমরা দুজন আম চুরি করে খাওয়ার ওস্তাদ ছিলাম। যখন আম চুরি করতে যেতাম তার আগে পেলান করেই যেতাম কি ভাবে কি করবো।আম চুরি করতে যাওয়ার আগে কয়েকটি ছোটো বাচ্চাদের রেডি করে রাখতাম এবং বাচ্চাদের সব বুঝিয়ে বলতাম কখন কি করতে হবে। এখনকার বাচ্চারা তো বুঝতেছেনই কেমন। এক কথা বলতে গেলে দশ কথা বুঝে নেয়।বলার পরপরই দেখি ওরা রেডি তাও আবার সাথে নেয় একেকজন দুই তিনটা করে পলিথিন ব্যাগ । আমরা যদিও একটু লেট করি ওঁরা তো মাথা নষ্ট করতো কখন যাবেন চলেন কখন যাবেন চলেন। এবার আর দেরি করার কোনো অপশন নেই চললুম আম বাগানের দিকে।এবার কে গাছে উঠবে এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে ঠেলাঠেলি চলতো।শেষে আমাকেই চড়তে হয় গাছে।ছোটো বেলা থেকেই আমি গাছে উঠতে পারি আমি গাছে উঠি ঠিক আছে কিন্তু ওকে বলি আমাদের আগে খাবো তার পর ফেলাবো।


আমি গাছে উঠে একটা সুন্দর ডালে বসে মনের সুখে কাঁচা মিঠালি আম গুলো খেতে থাকি।চাচাতো বোন ও বাচ্চারা নিচে থেকে চিল্লাইতে শুরু করলো। আমি কারো কথাই কান না দিয়ে মনের সুখে আম খেয়ে চলছি।একটু পর আম নিচে ফেলায় আর সবাই কে বলি খুব তাড়াতাড়ি আম গুলো ব্যাগ ভরাও। যার ব্যাগ ভরে যাবে সে দৌড় দিয়ে বাসায় চলে যাবা।এভাবে সবার ব্যাগ ভরার আগেই গাছের মালিক চলে আসে।মালিক আসার আগ মহত্ত্ব সবাই টের পেয়ে যায়।এবং সবার ব্যাগ জঙ্গলে মধ্যে লুকিয়ে রাখে।আর এর ফাঁকে দ্রুত গাছ থেকে নামিয়ে পড়ি।নেমে বেশি দুরে যেতে পারি নি বরং গাছের তলায় বসে পড়ি।মালিক এসে বলে তোমরা এখানে কি করো আমরা বললাম আম পড়ে আছে না কি তাই দেখতে আাসছি চাচা।ওরে বাবা কি ভদ্র সাধুরা সব মুখে কি সুন্দর ভাষা।কিছু সময় পর মালিক চলে যায়। এবার আমরা আম গুলো নিয়ে এক দৌড়ে সবাই বাসায় চলে যাই। এবার আম গুলো কেটে মাখানো হতো কেউ লবণ কেউ মরিচ কেউ আবার চিনি নিয়ে আসতো যে যার বাসায় থেকে। অনেক জ্বাল দিয়ে মাখানো হতো বেশ মজাই লাগতো।সবাইকে হাতে হাতে দিয়ে আমরা দুই জন গামলা নিয়ে অনেক দূরে গিয়ে বসে নিরিবিলি খেতাম সেই সোনালী দিন গুলো আর নেই। শৈশবের কথা গুলো খুব মিস করি।



শুভেচ্ছা রইল হাফিজুল্লাহ ভাই সহ এডমিন ও মডারেটর প্যানেলের সকলের জন্য। যারা এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। সেইসঙ্গে আন্তরিক ভালবাসা রইল @rme দাদার জন্য যার একক প্রচেষ্টায় আমাদের সকলের ভালবাসার "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন সময় শুধু সামনে এগিয়ে যাবার। আমার গল্পটি কেমন লাগলো আশা করি তা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।

# আমার গল্প পড়ে সবার কাছে ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন, # সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি,

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চুরি করে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। যাইহোক আপনার এই গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো এবং বেশ মজা পেলাম। ধন্যবাদ আপু আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমার গল্প টি সুন্দর করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

হাহাহা ওস্তাদ সাহেব🤧🤣🤣

আমরা আপনার চুরিকৃত আম খাইতে চাই আসলে আমাদের ছোট বেলা হলো সব থেকে রঙিন এই রঙ আর পাওয়া যাবে না।অনেক দারুন ছিল গল্প টা।

সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

ছোটকালে অনেকেই এভাবে আম চুরি করে খেয়েছে। তবে আমি মনে করি, এসমস্ত বিষয়গুলো আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার না করাটাই উত্তম। না জানি কবে কখন 'আমার বাংলা ব্লগ'এর দুর্নাম হয়ে যায়।

আরে না ভাইয়া মজার ব্যাপারে বলত ভালোই। ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর বিষয় গুলো তুলে ধরছেন।

আমি ভাবছি আমরাও ওস্তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেব। কিভাবে আম খেতে হয়। দারুন ছিল টাইটেলটি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং আমরা চাই হাজারো আম যেন আপনি খেতে পারেন আরও।

হাহা আর চুরি করে খাওয়ার বয়স নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

আপু আপনার শৈশবের গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো গাছের মালিক কে দেখে সাধু সাজার বিষয়টি। খুবই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন আম চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার পরে গাছের মালিক কে দেখে, ভালো সাজার অভিনয় করে। যাইহোক আপু, আপনি বেশ সুন্দর গুছিয়ে গল্পটিকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি চমৎকার ভাবে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার গল্প টি পড়ার জন্য।