হাওরের ফটোগ্রাফি। ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ- ০৫ কার্তিক /২১ অক্টোবর | ১৪২৯, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। সবাইকে হেমন্তকালের শুভেচ্ছা। হেমন্ত মানে নবান্ন। এ সময় গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে ফসল কাটা আর ঘরে তোলার ধুম পড়ে যায়। কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানান রকমের পিঠাপুলি। হেমন্তে কিছুটা শীতের পূর্বাভাস প্রকৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। গরম বিদায় নিয়ে হালকা শীত অনুভূতি বেশ আরাম দারক পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে আমার কাছে সব চাইতে বেশি ভালো লাগে এ সময়ের প্রকৃতি। ঝড়-বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। খুব বেশি ঠান্ডাও না আবার খুব বেশি গরমও না এমন একটা পরিবেশ সব জায়গায়। আর আকাশ থাকে ঝকঝকে নীল মেঘমুক্ত। এমন দিনে আজ আপনাদের সঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওর অঞ্চলের কিছু প্রকৃতির কিছু ছবি শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে।

আলোকচিত্রঃ ১


20220813_184445.jpg

পড়ন্ত বিকেলে অস্তমিত সূর্যের রাঙা আলোয় এক অদ্ভুত স্বর্গীয় সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে আকাশে। এগুলো শুধু অনুভব করা যায়। তবে ক্যামেরায় ধারণ করে এর সৌন্দর্য প্রকাশ করা অনেকটাই অসম্ভব।


আলোকচিত্রঃ ২

20220813_184105.jpg

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তায এটি। রাস্তার দুপাশে হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি। রাস্তাটিও অনেক সুন্দর, কোন ভাঙাচোরা নেই। আর বড় কোন যানবাহন না চলায় এ রাস্তায় ভ্রমণ সত্যি মনে রাখার মত।


আলোকচিত্রঃ ৩

20220813_183956.jpg

হাওর অঞ্চলের মানুষের গোসল সহ প্রাত্যহিক কাজের সুবিধার্থে হাওরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় এমন ঘাট তৈরি করে দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যেখানে ছেলে, বুড়ো, নর-নারী সকলেই গোসল করেন।


আলোকচিত্রঃ ৪

20220813_124323.jpg

হাওরের সর্বোত্তই চোখে পড়ে এমন হিজল গাছের বাগান। হাওরে যখন পানি থাকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ তখন এই হিজল গাছের বাগান গুলো দেখতে সত্যিই চমৎকার লাগে। হাওরে ঝর বা বাতাস হলে মাছ ধরার নৌকাগুলো এমন জায়গায় এসে আশ্রয় নেয়।


আলোকচিত্রঃ ৫

20220813_123320.jpg

20220813_123315.jpg

এটি হচ্ছে তাহেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। বলতে গেলে ভাবনটি সম্পূর্ণই হাওরের মাঝে অবস্থিত। বর্ষায় থৈ থৈ পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এই ভবনটি দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় করে। তাহেরপুর উপজেলা সদরটি বলতে গেলে হাওরের মাঝে অবস্থিত। তাই এখানে শুকনো জায়গার পরিমাণ খুবই কম।


আলোকচিত্রঃ ৬

20220811_074902.jpg

রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলা হাওরের একটি চিত্র। সামনের এই অংশটি মূল হাওর না হলেও বর্ষার সময় পানিতে এলাকাটি ভরে গিয়ে হাওরের অংশ হয়ে পড়ে। হাওরের যে বিষয়টি আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে তা হচ্ছে দারুন বাতাস আর নীল আকাশ।

আলোকচিত্রঃ ৭

20220811_202520.jpg

এতক্ষণ তো সব দিনের ছবি দেখলেন। এটা যে রাতে তোলা তা তো বুঝতেই পারছেন। রাতের হাওয়া কিন্তু কোন অংশে কম আকর্ষণীয় নয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাত্রে হাওরের যে সৌন্দর্য তা সত্যিই মনমুগ্ধকর। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে পূর্ণিমার চাঁদের লুকোচুরি খেলা আর নিচে হাওরের ঠান্ডা বাতাস যে কাউকেই কিছু সময়ের জন্য অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে।

আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
LocationTahirpur, Sunamganj
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জি ভাই এখন হেমন্তকাল বলতে গেলে এই গ্রাম বাংলার কৃষকের মুখে হাসি ৷ কারন এখন তাদের ঘরে নতুন ধান ঘরে আনার ধুম ৷

তবে আমি মুগ্ধ আপনার হাওয়রের প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে ৷ রাস্তার পাশে হাওয়র বিশাল জলরাশি আবার গোসল করার জন্য কি সুন্দর স্থান বানিয়েছে ৷
প্রথম ছবি টি আর শেষের তাহেরপুর ইউনিয়ন ভাবন টা যেটা জলের উপর নিমির্ত ৷
সবিমিলে অনেক ভালো লাগলো দেখে ৷

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুভুতি শেয়ার করার জন্য। আসলেই এই সময়টা দুই বাংলার কৃষকদের জন্য দারুন একটা সময়। আর হাওর এলাকাটা আসলেই অনেক সুন্দর। বিশেষ করে বর্ষাকালে।

  ·  2 years ago (edited)

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও সূর্য অস্ত যাওয়ার শেষ প্রান্তে হাওরের ফটোগ্রাফি করেছেন, যেটি আসলে মনমুগ্ধকর এবং তাকিয়ে থাকার মত। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

অনেক অনেক দিন পর আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

মন্তব্য করতে পেরে আমি ও অনেক আনন্দিত ধন্যবাদ।

ভাইয়া আপনাকেও হেমন্তকালের শুভেচ্ছা । এই হেমন্তকালটা আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে ,হালকা শীত শীত অনুভূত হয়। পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের ছবিটি সত্যিই চমৎকার হয়েছে ।প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধারণ করা সত্যিই বিরাট ব্যাপার। হাওরের গোসল করার ঘাট টি আমার কাছে সত্যিই চমৎকার লেগেছে, এমন জায়গায় গোসল করতে পারলে সত্যি বেশ আনন্দ পাওয়া যেত। হাওরের চমৎকার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন যেগুলো প্রত্যেকটি আমার কাছে দারুন লেগেছে, জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর।ধন্যবাদ

একটা পরিকল্পনা করেন। চলেন আগামী বছর সবাই মিলে হাওরে হাউস বোটে ঘুরে আসি কয়েকদিন। আমার মনে হয় দারুন একটা ট্যুর হবে।

এই সময় টা বেশ খারাপ। না ঠান্ডা না গরম বেশ অস্বস্তিকর। টাঙ্গুয়ার হাওর অনেক নাম শুনেছি কিন্তু কখনো যায়নি। বেশ দারুণ লাগছে দৃশ‍্যগুলো। বেশ চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

আমার কাছে কিন্তু বেশ লাগে এই সময়টা। যদিও অনেকের সর্দি কাশির মত কিছু ছোট খাট রোগ হয়ে থাকে কিন্তু শীতের আগমনের এই অনুভুতি আর ঘুরতে যাবার মত এত সুন্দর পরিবেশে বছরে আর কখনো পাওয়া যায়না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া, আপনাকে হেমন্তের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।আমার ও না শীত,না গরম এইরকম মেঘমুক্ত পরিবেশ অনেক ভালো লাগে।আর আপনার প্রত্যেকটি ছবি দুর্দান্ত হয়েছে।বিশেষ করে দ্বিতীয় ছবির রাস্তাটি ,ছেলেমেয়েদের গোসল করার দৃশ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই দেখার মতো ছিল।নদীর জল ও অনেক স্বচ্ছ মনে হচ্ছে, ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমার মনে হয় এমন পরিবেশ বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দ তবে ছবিগুলো যতটা সুন্দর বাস্তবের দৃশ্য তার চাইতে আরো অনেক বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ দিদি মন্তব্যের জন্য।

প্রথমেই বলি আপনার ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনার পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। এ ধরনের পোস্ট পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আমার তোলা ছবিগিলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আশাকরি এভাবেই পাশে পাব সবসময়।

১,৬ এবং ৭ নম্বর আলোকচিত্র আমআর মন কেড়ে নিয়েছে।লোকেশন যদিও বুঝতে পারলাম না, তবে ম্যানগ্রোভ গাছ দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণে, সুন্দরবন এলাকার আসেপাশে হতে পারে হয়তো। আপনার ফটোগ্রাফির হাত বেশ পরিপক্ক।

সম্ভবত আমার পোস্টে এটাই আপনার প্রথম কমেন্ট। জায়গাটা বাংলাদেশের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।