আজ ৩০শে, ফাল্গুন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগের সকল ব্লগার ভাই-বোন বন্ধুগণ আশা করছি এই রমজান মাসে সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন। যেহেতু রমজান মাস সবাই ধর্মীয় কাজে লিপ্ত থাকুন এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি । যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । আসলে আমরা বাংলা ব্লগ মানে ভিন্ন কিছু আয়োজন যেখানে প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে ভিন্ন কিছু ব্লগ উপস্থাপন করার। সে জায়গা থেকে আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিব যাত্রীর মেলাতে ঘোরাঘুরির আলোকচিত্র নিয়েই আজকের ব্লগ টি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলেছি ।
এই তো কিছুদিন আগেই আমাদের হিন্দু সনাতন ধর্মলম্বীদের এক বড় উৎসব মহা শিবরাত্রি । আর এই মহা শিবরাত্রি দিনে সকল হিন্দু ধর্মালম্বী ব্রত উপোস রেখে তারপর ভোলানাথ শিবের মাথায় জল কিংবা দুধ ঢালে । এবং কি নিজের মনোবাসনা পূর্ণ করার প্রার্থনা করে থাকে। যাহোক এই মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে মেলা বসে বসে জমজমাট আসর নিয়ে ।মূলত এই গ্রাম বাংলার এসব উৎসব বা মেলার আনন্দ গুলো সত্যি আনন্দ প্রহর হয় । আর তাইতো আজকে এই গ্রামের মেলার কিছু আলোকচিত্র বা দৃশ্যপট আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্যই আজকের ব্লগটি শেয়ার করতে চলেছি । আশা করছি সবার অনেক ভালো লাগবে এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শুরু করছি আমার আজকের মহা শিবরাত্রি মেলাতে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সেই সাথে আলোকচিত্র ।
শিবরাত্রি মেলাটি দেবগঞ্জ উপজেলায় একটি মন্দিরের মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজন হয় । মেলাটি প্রায় তিন দিন ধরে চলেছে। বলতে গেলে প্রায় দূর দূরান্ত থেকে অনেক ভক্ত এ মন্দিরে দর্শন করে সেই সাথে এই মেলা আরো অনেক জমজমাট আসরে পরিণত করে থাকে । যাহোক আমি দ্বিতীয় দিন মেলায় গিয়েছিলাম বিকেলের শেষ মুহূর্তে। তবে মেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষজনের আনাগোনা ঘটে সকালবেলার মুহূর্তে । কারণ মন্দিরের পাশে রয়েছে করতোয়া নদী আর এই নদীতে তিনদিন ব্যাপী স্নানযজ্ঞ অনুষ্ঠানের পালিত হয়ে থাকে। সেই জায়গা থেকে সকাল বেলা মেলাটি অনেক ভিড় এবং কি অনেক ভক্তের আগমন ঘটে।
আমি বিকেবলার মুহূর্তে গিয়েছিলাম তাই খুব একটা মানুষজন ছিল না। । তবে অনেকে দোকানপাট এবং কি গ্রামীন মেলা যে দৃশ্যপাঠ গুলো সেগুলোই আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।
মেলাটি বেশ বড় এরিয়া জুড়ে চারদিকে নানা দোকানপাট সেইসঙ্গে সারি সারি ভাবে সাজিয়ে । চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম এবং সেই ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তে চোখে পড়ল ধর্মীয় আসবাবপত্র জিনিসের দোকান । যেহেতু মহা শিবযাত্রি উপলক্ষে মেলা মন্দিরের সাথেই দোকানটি চোখ পরল এখানে পূজো আর্যনা করার জন্য কিছু উপকরণ। যেমন ছোট ছোট থালা-বাসন এছাড়াও বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি বা ছবি অংকন আবার রয়েছে কিছু সুতো লাল সবুজ যেগুলো আমাদের হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষগণ হাতে পড়ে থাকে। আপনার হয়তো প্রায় লক্ষ করবেন হাতে লাল সুতো কিংবা সবুজ এরকম নানা রঙের সুতো হাতে পড়ে থাকে।
সব মিলে দোকানটি ধর্মীয় আসবাবপত্র জিনিস দিয়ে ভরপুর বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে ।
এরপর আশেপাশে আরও অনেক দোকানপাট রয়েছে চারদিকেই হাঁটাহাঁটি ঘোরাঘুরি বিভিন্ন রকম খাবারের দোকান । তবে মেলাতে সবচেয়ে বেশি যেটা চোখে পড়লো সেটা হল কসমেটিক্স জানি না কেন ? প্রতিটি মেলায় পুরো মেলার অর্ধেক জুড়ে কসমেটিক দোকান দিয়েই ভরা । যেখানে আসলে ছেলেদের কোন জিনিসপত্র কেনার দোকান নেই বললেই চলে। শুধু আছে খাওয়ার জিনিস এই ব্যতীত শুধু ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া এটাই ছেলেদের মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্য। তবে মেয়েদের জন্য রয়েছে কসমেটিকসের দোকানের ভরপুর যেখানে নানারকম জিনিসপত্র পেয়ে থাকে যাহোক মেলা বলে কথা।
কসমেটিক লাইনে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তে চোখে পড়ল এক ঝাঁক তরুণী দোকানটিকে ঘিরে রেখেছে। তো দূর থেকে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি । না জানি কাছে গেলে আবার কি না কি বলে? যেহেতু মেয়ে বলে কথা। আর মেয়েদের আইন।
এরপর চোখ পড়ল গ্রাম বাংলার সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় দোকান যেটা হল পাপড়ের দোকান। আপনারা খেয়েছেন কিনা জানি না । এসব পাপড় মাত্র ৫ টাকা দাম তবে গ্রাম বাংলার সবচেয়ে বেশি ঐতিহ্যবাহী এই দোকানটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগেছে। ছোটবেলায় মনে আছে মাত্র পাঁচ টাকা দশ টাকা নিয়ে মেলায় যাওয়ার পর এসব জিনিসই খেয়েছি সবচেয়ে বেশি । মেলায় দোকানটি দেখে আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। যাহোক দোকানে কাছে গিয়ে একটা পাঁপড় খেয়েছি মাত্র ৫ টাকা দাম গরম গরম এই পাপড় গুলো খেতে কি যে সুস্বাদু তা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না।
তবে সব থেকে মজার বিষয় হলো এই পাপড় গুলো তেলে ছেড়ে দিলেই বেশ বড় লম্বা চ্যাপ্টা হয়ে যায় ।বিষয়টা দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে।
যাহোক এভাবে করেই মেলাটি চারদিকে ঘোরাঘুরি করেছি সেই সাথে অনেক ফটোগ্রাফি করেছি। আজকের এই মেলায় ঘোরাঘুরি করার প্রথম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। দ্বিতীয় পর্বে আরও গ্রাম বাংলার মেলায় এমন কিছু আলোচিত্র বা দৃশ্যপট তুলে ধরবো ।আশা করছি সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি । আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোষ্ট বিবরন
শিবযাত্রি মেলার ঘোরাঘুরি ও আলোকচিত্র
ক্যামেরাঃ realme C12
ছবি ক্যাপচারঃ gopiray
লোকেশনঃhttps://w3w.co/slotted.inward.quartered
আমার বাংলা ব্লগ ❤।। বাংলাদেশ।।
Twitter
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations @gopiray. You received an upvote from @supportive
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit