||তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা ডাকবাংলো ভ্রমণের কিছু আলোকচিত্র|| [10% ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]

আমার প্রিয় ভাই বোন বন্ধুরা এপার ওপার সকল ব্লগার ভাইদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা ৷ প্রত্যেক দিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম একটি নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে ৷ আসলে একটা কথা বলে না সময় যায় কিন্তু সময়ের সাথে স্মৃতিগুলো কখনোই ভুলে যাওয়া যায় না ৷ এইতো কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ঈদের সময় ঘুরতে গিয়েছিলাম বাংলাবান্ধা তেতুলিয়া ডাকবাংলা৷ সত্যি বলতে আমি একজন এমন মানুষ যে কিনা খুব কম সময়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করি৷ যদিও মনটা অনেক ইচ্ছে করে অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতে ৷ কিন্তু দিনশেষে আসলে একা একা কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না৷ তো গত ঈদে বাড়ির পাশে একটি কাকু ঢাকায় থাকে চাকরি করে সে বাড়ি এলো৷ তারপর ঈদে ঠিক তৃতীয় দিন আমরা দুজনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে কথা একটু ঘুরতে যাওয়ার ৷ তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম বাংলাবান্ধা ভজনপুর তেতুলিয়া ডাকবাংলো বেড়াতে যাব ৷ তো সেদিন দেরি না করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম সেই গন্তব্য স্থানে প্রিয় জায়গা যদিও আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম আগেও ৷ পোষ্টি তখনই করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আসলে আমার কাকুর ফোন দিয়ে ছবি তুলেছি বলে আর ছবিগুলো নেয়া হয়নি । এইতো দুদিন হলো আসার আর সেই ছবিগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা ডাকবাংলোর কিছু আলোকচিত্র ৷

লোকেশন

সেদিন সকাল বেলা বাসে করে ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ পৌঁছে যাই৷ ডাক বাংলোটিতে ঢোকার প্রবেশ পথেই বেশ কিছু লোক আর তার সাথে একটি চটপটি চানাচুরওয়ালা দোকান তারপর সবচেয়ে ইয়া বড় একটি গাছ ৷গাছটি দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে ৷ আসলে আমরা ঈদের তৃতীয় দিন যাওয়াতে লোক খুব বেশি ছিল না তবে হয়তোবা প্রথম দিন বা দ্বিতীয় দিন অনেক মানুষ হয়েছিল৷ আমি বেশ কয়েকবার এসেছিলাম খুব সুন্দর এবং কি মনমুগ্ধ একটি জায়গা এখানে এলে মনটা শান্ত হয়ে যায়৷ আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই বাংলাটি একটি সাধারণ মানুষই দিয়েছে যদিও সেই মানুষটি আর বেঁচে নেই তবে তার এই স্মৃতি রেখে যাওয়া বাংলোটি তার কথা মনে করিয়ে দেয় বারবার৷
ডাকবাংলো টির চারদিকে পরিবেশটা যে এত সুন্দর গাছপালা তার সাথে ভিতরে ঢুকলে অনেক কিছু বানিয়ে তৈরি করে রেখে দিয়েছে৷ ডাক বাংলোটির ভিতরে বেশ কিছু খেলা চটপটি অন্যান্য বিশেষ কিছু দোকান দিয়েছি আসলে ঈদ উপলক্ষে অনেক পর্যটক মানুষ ঘুরতে এসেছে বেশ জমজমাট ৷

লোকেশন

চলুন এবার দেখে আসা যাক ভিতরে পরিবেশ তার সাথে কিছু আলোকচিত্র তাহলে হয়তো আপনারা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন৷

আলোকচিত্র

গিটার হাতে নিয়ে বসে আছে

পালকি এবং তার দুপাশে দুটি মানুষ কে বানিয়ে রেখেছে সত্যি বলতে অসাধারণ

একজন মা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে মাথায় একটি টুকরি নিয়ে দাঁড়িয়ে

কৃষক কাঁধে কোদাল লাঙ্গল ও হাতে দ্যা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ৷

কবিগুরু কাজী নজরুল ইসলাম মাথায় পাগড়ি বেঁধে বড় বড় চুল

রাখাল রাজা সুন্দর করে গরুর গাড়ি তে বসে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করছে

এটি তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা একটি পিকনিক কর্নার গিটার নিয়ে হাতে দাঁড়িয়ে

রাজহাঁস গুলো

লোকেশন

---

বন্ধুরা সব মিলে ভিতরে প্রবেশ করে এবং আর চিত্র গুলো দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি৷ চারদিকের পরিবেশ বেশি মুগ্ধতা এনেছিল সত্যি বলতে যে কেউ এলে তার মনে কষ্ট থাকলেও সেই মুহূর্তে তার সকল কষ্টগুলো ধুয়ে মিশে একবারে ফুরফুরা মেজাজে হতে হবে এমন একটি জায়গায়৷ অনেকে আবার বড় বড় গাড়ি করা দূর দূরান্ত থেকে সবাই মিলে পিকনিক করার জন্য এখানে আসে ৷

তো আজকের মত আমার ব্লগ এতটুকুই আসলে স্মৃতির পাতা থেকে কখনো কোন কিছু ভুলা যায় না ৷আর তাইতো প্রায় অনেকদিন আগে ঘুরতে যাওয়া স্মৃতিগুলো আজ মনে পড়ছিল৷ তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে৷ এমন কি যদি মনে করেন তাহলে চলে আসবেন তেতুলিয়া বাংলাবান্দা ডাক বাংলোতে ৷ সেই নিমন্ত্রণ রেখে আজকের মত আপনাদের কাছে থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি৷

ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন!!

@gopiray
সবাইকে ধন্যবাদ