"টক দইয়ের মজাদার ঘোল রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি ভিন্নধর্মী রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।এই পানীয় রেসিপিটি অনেক ইউনিক লাগবে আপনাদের কাছে।

টক দইয়ের ঘোল রেসিপি:

IMG_20221118_072937.jpg

IMG_20221118_073140.jpg

বন্ধুরা,আমরা সবাই জানি শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।ভোরবেলা ও রাত্রে ভালোই ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।এটা গ্রামের দিকে আরো বেশি লক্ষণীয়।কিন্তু দুপুরের দিকে রোদ্রের তাপ খুবই বেশি কড়া থাকে।তখন প্রয়োজন হয় একটু তৃপ্তি মেটানোর।তাই আমি আজ তৈরি করেছি টক দই দিয়ে ঘোল।এই ঘোলকে অনেকেই আবার (মাঠা) নামেও চিনে থাকেন।টক দই দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পানীয় তৈরি করা যায়।যেমন-লাচ্ছি,ঘোল ও শরবত জাতীয় যা আমাদের শরীরকে গরম থেকে মুক্তি দেয় ও সঙ্গে অনাবিল প্রশান্তি।ঘোল খুবই মজাদার ও টেস্টি ঠান্ডা পানীয়।তাছাড়া এটি বেশ স্বাস্থ্যকর ও হজমে সাহায্য করে।আমার যেকোনো শরবত খেতে খুবই ভালো লাগে।আশা করি আপনাদের কাছে ও পানীয় রেসিপিটা ভালো লাগবে।তো চলুন শুরু করা যাক----

উপকরণসমূহ:

IMG_20221118_072704.jpg

উপকরণপরিমাণ
টক দই50 গ্রাম
লবন1/3 টেবিল স্পুন
লেবুর রস1 টেবিল চামচ
চিনি4 টেবিল চামচ
জল1 গ্লাস

প্রস্তুতপ্রণালি:

ধাপঃ 1

IMG_20221118_072720.jpg
প্রথমে আমি 100 গ্রাম টক দইয়ের পাত্র থেকে হাফ অর্থাৎ 50 গ্রাম টক দই একটি বাটিতে তুলে নিলাম।

ধাপঃ 2

IMG_20221118_072742.jpg
এবারে টক দইয়ের ভিতরে লেবুর রস ও লবণ যুক্ত করলাম পরিমাণ মতো।

ধাপঃ 3

IMG_20221118_072759.jpg
এরপর আমি স্বাদ অনুযায়ী চিনি যুক্ত করলাম।

ধাপঃ 4

IMG_20221118_072811.jpg
সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিলাম চামচের সাহায্যে।

ধাপঃ 5

IMG_20221118_072822.jpg
তো আমার টক দইটি ভালোভাবে ফাটিয়ে নেওয়া হয়ে গেছে।

ধাপঃ 6

IMG_20221118_072842.jpg
এবারে আমি ফাটিয়ে নেওয়া টক দইয়ের মধ্যে জল যোগ করলাম।

ধাপঃ 7

IMG_20221118_072855.jpg
এরপর জলটি ভালোভাবে টক দইয়ের মিশ্রণে মিশিয়ে নিলাম।

সর্বশেষ ধাপঃ

IMG_20221118_072921.jpg
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "টক দইয়ের ঘোল রেসিপি"

পরিবেশন

IMG_20221118_072907.jpg
এটি খুবই টেস্টি ও মজাদার একটি পানীয় তৃপ্তি মেটানোর জন্য।এবারে এটি ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের শরবত রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸🌸🌸

ক্যামেরা: poco m2

অভিবাদন্তে: @green015

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দারূণ একটা রেসিপি উপহার দিয়েছেন। দইয়ের ঘোল খেতে যেমন উপাদেয় তেমনি শরীরের জন্য বেশ উপকারি। ঘোলের আরেক নাম মাঠা এখন পানীয় হিসেবে বেশ পপুলার। শুভ কামনা আপনার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু,এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।ধন্যবাদ আপনাকে।

টক দই এর মধ্যে চিনি দিয়ে অনেক চমৎকারভাবে আপনি একটি রেসিপি বানিয়েছেন। আসলে গরমে প্রশান্তির জন্য এই রেসিপিটি অনেক উপযুক্ত। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

সত্যিই এটি গরমে ভীষণ প্রশান্তি দেয় ।ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ্ এই মাত্র খেয়ে উঠলাম এটা এখন প্রয়োজন ছিল। এটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু আর হজম কারক। তৈরি প্রনালী বেশ সহজ দেখলাম, খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে ফেলবো ইনশাআল্লাহ।

ভাইয়া আপনি খেয়ে উঠবেন বলেই তো বানানো,দ্রুত হজমের জন্য।হি হি😊,ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি বাড়িতে টক দই দিয়ে খুব সুন্দর করে ঘোল বানিয়েছেন আপু।দেখেই খুব লোভনীয় লাগছে।আমি একদিন ট্রাই করে দেখবো বাসায়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

Thank you.💝

মাঠা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটা পানীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন।টক দইয়ের মাঠা খেতে খুব ভালো হয়েছে নিশ্চয়ই।অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু,খুবই টেস্ট হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

টক দই এর ঘোল রেসিপি আমাদের হজমের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমার বাসাতে মাঝে মাঝেই গরুর খাঁটি দুধ রেখে দিয়ে টক দই তৈরি করা হয়। আর সেই টক দই দিয়ে এরকম ঘোল তৈরি করে খাওয়া হয়। তবে কখনো লেবুর রস যুক্ত করতে দেখিনি। তাই এরপর থেকে কখনো টক দইয়ের ঘোল তৈরি করে খেলে, লেবুর রস যুক্ত করে দেখব খেতে কি রকম স্বাদের হয়। টক দইয়ের ঘোল রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অবশ্যই ভাইয়া, লেবুর রস দিলে অন্য স্বাদের খেতে হয় খেয়ে দেখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠান্ডা একটু আকটু পরছে।তবে আমার কাছে মনে এটা যদি একেবারে অনেক গরমে ঠান্ডা পানি দিয়ে বানিয়ে খাওয়া যেত,তাহলে একেবারে পারফেক্ট। আমরা তো রোজায় ইফতারের সময় প্রায় খেয়ে থাকি।যাই হোক ছিলো মাঠা কিংবা ঘোল টা।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

আমার কাছে মনে এটা যদি একেবারে অনেক গরমে ঠান্ডা পানি দিয়ে বানিয়ে খাওয়া যেত,তাহলে একেবারে পারফেক্ট।

ঠিক বলেছেন আপু,এইজন্য তো বরফের টুকরো দিলাম না।ধন্যবাদ আপনাকে।

টক দইয়ের ঘোল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আসলে টক দইয়ের ঘোল রেসিপি খেয়েছি তবে বানিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।দেখি সময় করে একদিন বানাবো। প্রতি ধাপ অনেক সুন্দর করে দিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

অবশ্যই বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু।দারুণ মজার, ধন্যবাদ আপনাকে।

ঘোল তো গরমকালে খেতে হয়, তুমি শীতকালে বানালে কেন। 😁😁 ছোটবেলায় মনে হয় দুই একবার খেয়েছিলাম ঘোল। এখন তো কিছু কিছু বন্ধুরা আমাকে ঘোল খাওয়ায় 🤣🤣 যাই হোক দেখে সত্যিই খেতে ইচ্ছা করছে।

এখন তো শীতকাল নয়,হেমন্তকাল।😁😁এটা সারাবছরই খেতে ভালো লাগে।আর বন্ধুদের কাছ থেকে ঘোল খেতে মনে হয় বেশিই মজার তাইনা দাদা!☺️হি হি,ধন্যবাদ

টক দইয়ের মজাদার ঘোল রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগছে জানিনা খেতে কেমন হবে ।এমন ধরনের রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি ।আজকে প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে রেসিপিটা দেখতে পেলাম।

এটি খুবই টেস্টি ও মজাদার একটি রেসিপি আপু।খেয়ে দেখবেন এভাবে তৈরি করে, ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে বাসার তৈরীর জিনিসের মত আর কিছু হয় না। আপনি যেভাবে টক দই দিয়ে ঘোল বানিয়েছেন আমরাও এভাবে টক দই দিয়ে ঘোল বানাই আর এটি পেটের জন্য অনেক ভালো। তবে গরম দিনে এই ঘোলটি প্রতিদিন খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন আপু,বাড়ি তৈরি খাবার অনেক স্বাস্থ্যকর।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু আপনাদের দিকে ঘোল বললেও আমাদের দিকে এই রেসিপিটাকে মাঠা বলা হয়। সকাল বেলা রাস্তার ধারে বিক্রয় করা হয়। আমি মাঝে মাঝে সকাল বেলা স্টেডিয়ামে হাটতে গেলে আসার সময় এক গ্লাস করে মাঠা খেয়ে থাকি। খেতে অনেক ভাল লাগে,খাওয়ার সাথে সাথে ভিতরটা শীতল হয়ে যায়। আপনার থেকে দেখে শিখলাম। বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপু।

অঞ্চলভেদে নামের তারতম্য রয়েছে ভাইয়া।অবশ্যই তৈরি করবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

টক দইয়ের মজাদার ঘোল রেসিপি। আমার কাছে ইউনিক রেসিপি মনে হচ্ছে। কারন এভাবে আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ভাইয়া, এটি দারুণ মজার খেতে।খেয়ে দেখবেন এভাবে করে।ধন্যবাদ আপনাকে।