শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩১: "অষ্টমী/নবমী দুর্গাপূজার ফটোগ্রাফি-০৩"

আমি মূলত অষ্টমী/নবমী পূজার দিন বের হয়েছিলাম ঠাকুর দেখতে।কারণ এ বছর অষ্টমী ও নবমী পূজা এক দিনেই পড়েছিল।আসলে কলকাতার পরেই বর্ধমানের বেশ নাম ও পরিচিতি রয়েছে।তাছাড়া এখানে জমিদার বাড়ির অনেক পূজাও রয়েছে, যেগুলো পুরোনো দিনের ঐতিহ্য বহন করে।তাই আমি চলে গিয়েছিলাম বর্ধমান শহরের পূজা দেখতে।সেখানে জিডি রোডের পাশে আমি মোট তিনটি প্রতিমার দর্শন করেছিলাম।যেগুলো কিছুটা দূরে দূরে অবস্থিত ছিল,তো চলুন আরো একটি পূজা প্যান্ডেল দেখে নেওয়া যাক---

★বর্ধমানের পূজা প্যান্ডেল ,ক্লাব ও থিমের নামসহ কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :(তারিখ ও সময়সহ)

সবুজ সংঘ ক্লাব এবং পুলিশ লাইনের দূর্গাপুজা শেষ করে আমরা চলে গিয়েছিলাম পদ্মশ্রী সংঘের প্যান্ডেল দেখতে।প্রতিবছর চোখ ধাঁধানো বিষয়গুলি ফুটিয়ে তোলা হয় এখানে।তার মধ্যে সমসাময়িক বিষয়ও থাকে, কবি সাহিত্যিক ও গায়কদের নিয়ে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল আগের বছরগুলোতে।কিন্তু এ বছর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ছিল।তাছাড়া এখানে বড় করে মেলাও বসে প্যান্ডেলের একপাশে।

পদ্মশ্রী সংঘের দুর্গামা দর্শন

◆থিমের নাম: (হংস পাখায় মা উমা)

লোকেশন

পদ্মশ্রী সংঘের প্যান্ডেলটি হংসের আদলে তৈরি করা হয়েছে।যেটিতে অনেকগুলো হংসের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।এটির থিম মূলত হংস পাখায় মা উমা।এছাড়া প্যান্ডেলটির কারুকাজ রঙিন কাগজ,শালপাতা, বটপাতা,নারিকেল পাতা এবং সোলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

লোকেশন

প্যান্ডেলের সম্পূর্ণ কাজটি অত্যন্ত সুন্দর ও নিখুঁত লাগছিলো দেখতে দূর থেকে।কিন্তু যখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম তখন দেখলাম প্যান্ডেলের নিচের অংশে শালপাতা তৈরি যে বাটি দিয়ে সাজানো হয়েছিল তা অনেকখানি খসে পড়ে গেছে।অর্থাৎ এগুলো আঠা দিয়ে লাগানো ছিল কিন্তু হাওয়া কিংবা বিভিন্ন কারনে খসে পড়ে গিয়েছে।বাইরের লুকটি ভীষনই সুন্দর ছিল।

লোকেশন

এটি ছিল প্যান্ডেলের ভিতরের দৃশ্য।যেখানে সবুজ রঙের কাগজ দিয়ে মুকুটের মতো ডিজাইন করে সাজানো হয়েছিল।আর সোলাগুলি সরু করে কেটে ভিন্ন ডিজাইন তৈরি করা হয়েছিলো।সবমিলিয়ে ভিতরের প্রবেশ দ্বারটি বেশি সুন্দর ও নিখুঁত ছিল।

লোকেশন

প্যান্ডেলের চারিদিকে রাজহংসের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এবং চক্রের মতো দৃশ্য ও ফুটে উঠেছে।ছোট বড় অনেকগুলো হাঁসের ডিজাইন করা হয়েছে এছাড়া মায়ের মূর্তিটি ছিল অসাধারণ।সোনালী বর্ণের রঙে মায়ের মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিলো।

লোকেশন

মায়ের মূর্তির উপরে ছাউনির দৃশ্য ছিল খড় ও সোলা দিয়ে তৈরি।একটা গ্রাম্য দৃশ্যের স্পর্শ পাওয়া যাচ্ছিলো প্যান্ডেলের একেবারে ভিতরে।প্যান্ডেলের পূজা দেখে বের হওয়ার পথেই পড়ে মেলার দোকানগুলো।অধিকাংশ দোকানগুলো বন্ধ ছিল দিনের বেলা।কারন রাতের বেলা পরিশ্রম করে দিনে সবাই বিশ্রাম করে।তখনই দেখা হয়ে গেল আমাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের সঙ্গে।তারা প্রতিবছর এখানের পূজাতে দোকান দেয়।এই বছরও নিজস্ব চারখানা ফুচকার দোকান ও একটি চটপটির দোকান দিয়েছে।দুইজন লোক নিযুক্ত করাও রয়েছে এই কাজের জন্য,উনারা বেশ আন্তরিক বরাবরই।তাই কিছুটা সময় দোকানের মধ্যে গল্প করেই এ বছরের মতো শারদীয়া দুর্গাপুজার প্যান্ডেল দেখা সমাপ্ত করলাম।সবমিলিয়ে বেশ ভালোই আনন্দ করেছিলাম পূজার একটি দিনে।।

আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

বিষয়	শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩১: "অষ্টমী/নবমী দুর্গাপূজার ফটোগ্রাফি-০৩"
শ্রেণী	ফটোগ্রাফি
ডিভাইস	poco m2 এবং redmi note 10 pro max
অভিবাদন্তে	@green015
লোকেশন	বর্ধমান

আমার পরিচয়