নমস্কার
জেরুজালেমের কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি:
প্রথমে আমরা বর্ধমান স্টেশন নেমে তারপর সোজা হেঁটে চলে যায় বড় শপিংমল আর্কেডের পাশের গির্জাটিতে।25-ই ডিসেম্বর বড়দিন অর্থাৎ এই তারিখেই যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে উৎসব পালিত হয় কমবেশি সকল দেশেই।খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের জন্য এটি বিশেষ একটি দিন।আর এইদিনে সকলেই কেক খাওয়ার চেষ্টা করে, ফলে বিভিন্ন দোকানগুলোতে নানা ধরনের কেক পাওয়া যায়।যাইহোক আমরা এই দিনে বর্ধমানের চার্চ ঘুরতে গিয়েছিলাম।সেখান থেকেই গির্জা দর্শন করে ছবিগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
(এই গির্জাটির নাম জানি না তবে গির্জার বাইরে এমন দৃশ্য ছিল।আর এই বড় গির্জার মাঝবরাবর অংশে যীশুর একটি সুন্দর মূর্তি ছিল।যেটাতে যীশুর মাথার উপর সুন্দর একটি ছাতনা ছিল।)
যেহেতু দিনটি যীশুর জন্মদিন ছিল সেহেতু সকল গির্জার মধ্যে একইরকম থিম বা দৃশ্যের চোখে পড়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।এখানে যীশুর জন্মের সময় থাকা এক বুড়িকে দেখানো হয়েছে।যার সঙ্গে একটি ভেড়াও ছিল আর পিছনে জিরাফ ও সারস পাখিদের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পেইন্টিং এর মাধ্যমে।
যীশু খ্রীষ্টের জন্মের খবর পেয়ে হেরোদ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জ্ঞানী ব্যক্তিদের পাঠিয়ে দেন।যারা তাদের কথার জালে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল জোসেফ ও মরিয়মকে।সুতরাং তার এমন অলৌকিকভাবে জন্ম অনেকের ভয়ের কারন যেমন ছিল, তেমনি তারা মেনে নিতেও পারেন নি।
যীশুর জন্ম থেকেই অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়েছিল।কারন তার সঙ্গে থাকা মানুষ-ই তার বড় শত্রু ছিলো।যারা প্রত্যেকবার তাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো।
যীশুর জন্ম যেহেতু গোয়ালঘরে হয়েছিল তাই সেখানে গরু,ছাগল,ভেড়া,গাধা ও উটের মতো অনেক প্রাণী উপস্থিত ছিল।এই গির্জার দৃশ্যটি প্রচুর পরিমাণে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল।বিভিন্ন রঙের যেমন-সাদা,লাল ও সোনালী রঙের ঘন্টা বেঁধেও সাজানো হয়েছিল উপরের দৃশ্যটি।
যীশুর জন্মের পর ঈশ্বরের আদেশ অনুযায়ী অনেক দূত সেখানে উপস্থিত হন।সাদা রঙের কবুতরকে ঈশ্বরের দূত বলে মানা হয়।তাছাড়া পরীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন।
যীশু খ্রীষ্টের জন্মের পিছনে অনেক রহস্য ছিল ভালো কর্মের।তাই যখন অলৌকিকভাবে যীশুর জন্ম হয় তখন থেকেই তার শত্রু সংখ্যা বেড়ে যায়।যীশুকে মূলত ঈশ্বরের সন্তান বলে গণ্য করা হয়।
এখানে শুকনো ডাল ও সাদা রঙের কার্পাস তুলা দিয়ে দুটি গাছ তৈরি করা হয়েছে।যেটা হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি এর দৃশ্য।তবে মনে হচ্ছিলো কোনো তুষারপাত এলাকায় সাদা তুষারে ঢেকে আছে গাছটি।আর এই গাছের গায়ে একটি কমলা লেবুও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্টটি পড়ে যীশু খ্রিষ্ট সম্পর্কে বেশ দারুন তথ্য জানতে পারলাম। একই সাথে বিভিন্ন প্রকারের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। যাহোক এতো সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আমার পোষ্ট থেকে কিছু হলেও জানতে পেরেছেন এতেই আমার লেখা সার্থক।ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জেরুজালেমে কবে গেলেন আপু? যাই হোক তথ্যবহুল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আজকে। যেখানে যীশু খ্রীষ্টের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তারপর ক্রিসমাস ট্রি সম্পর্কেও লিখেছেন। আবার বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। মোট কথা জেরুজালেমের বেশ কিছু প্রামাণ্য চিত্রকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া, এখন কোনো কিছুর জন্য সেই জায়গাতেই যেতে হয় না।দেশের মধ্যে থেকেও অনেক কিছু পরিদর্শন করা সম্ভব হয় সেইরকম-ই।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জেরুজালেমের কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফি
গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।যীশুর জন্মের পর থেকে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে জীবন কেটেছিল।যিশুর জন্মের অনেক রহস্যও ছিল।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল এবং যীশুর সম্পর্কে আপনার পোস্টে অনেক কিছু জানতে পেরে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই আপু,যীশুর জন্ম রহস্যময় ও অলৌকিক ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit