নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।যাইহোক আজ চলে আসলাম আমি @green015 যথা নিয়মে আপনাদের মাঝে নতুন একটি অনুভূতি শেয়ার করতে।
বন্ধুরা, অনেকেই জানেন আমি বর্তমানে বর্ধমান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আছি।আর সেটাও বর্ধমান ইউনিভার্সিটির মেইন ক্যাম্পাসে ,যেটি গোলাপবাগে অবস্থিত।এই ইউনিভার্সিটির মেইন ক্যাম্পাসটি মোট 400 একর জমির উপর অবস্থিত অর্থাৎ 1,212 বিঘা জমি নিয়ে।এছাড়া 80 একর জমি নিয়ে রয়েছে প্রশাসনিক বিভাগটি যেটা অন্যপাশে অবস্থিত।যাইহোক অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম ইউনিভার্সিটি ঘুরে দেখবো,যদিও কম সময়ে কখনো সম্ভব নয় সবকিছু ঘুরে দেখার।
আমাদের সাড়ে দশটা থেকে ক্লাস শুরু হয় কিন্তু যখন আমি ও আমার এক বন্ধু ইউনিভার্সিটি গিয়ে পৌঁছালাম তখন জানতে পারলাম আজ প্রথম ক্লাসটি হবে না।তাছাড়া তিনতলায় যে রুমে ক্লাস নেওয়া হতো সেটা পরিবর্তন করে নিচের তলায় করা হয়েছে।কারন স্যার ও ম্যামদের প্রচুর কষ্ট হয়ে যায় তিনতলায় যেতে আসতে, তার উপরে আমাদের একজন স্যার খুবই অসুস্থ।তো নিচের তলায় যেখানে আমাদের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়েছিল সেখানেই ক্লাস হবে।তাই ভাবলাম যেহেতু প্রথম ক্লাস হবে না সেহেতু আমরা হাওয়া মহলঘুরতে যাবো।
আমাদের হাতে যেহেতু দেড় ঘন্টা সময় রয়েছে তাই আমি ও আমার বন্ধু বের হলাম ঘুরতে।যখনই সময় পাবো অল্প অল্প করে জায়গা ঘুরে দেখার ইচ্ছে রয়েছে, তাই বললাম চল--আগে হাওয়া মহল দিয়ে শুরু করি।যেতে যেতে ইয়া বড় বড় গাছ চোখে পড়বে।গাছগুলো এতটাই বড় বড় যে আপনারাও অবাক হয়ে যাবেন,প্রত্যেকটি গাছের গায়ে সিরিয়াল নং লেখা রয়েছে।আর সেগুলো এতটাই প্রকান্ড ও গুড়িগুলি মোটা যে দেখে আন্দাজ করা যায় সেই পুরোনো দিনের।রাজ-রাজাদের সময়কালের গাছগুলো অর্থাৎ আমাদের জন্মের আগের।চারিদিকে এত এত গাছ আর মাঝখানে পিচের রাস্তা যে একটা নির্মল পরিবেশের সৃষ্টি করে।গাছের মধ্যে এমন স্বচ্ছ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে।
হাওয়া মহল সম্পর্কে আমি ইউটিউবে জানতে পেরেছিলাম।যাইহোক এটা যাওয়ার পথে অনেক কিছুই চোখে পড়ে।যেমন প্রথমেই আমাদের বিল্ডিং পেরিয়ে পড়বে law ডিপার্টমেন্ট।এটা পেরোতেই চোখে পড়বে অডিটোরিয়ামের বিল্ডিংটি।যেটা মূলত তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে।যাইহোক তারপর যেতে যেতে ডোবা,প্রকান্ড জানাঅজানা গাছের দৃশ্য দেখা পড়বে।একটি গাছ তো ক্ষয়ে ভিতরে ঢুকে গেছে তাই ছবি না তুলে থাকতে পারলাম না।
সৃষ্টির কি অপূর্ব নিদর্শন এই ফুলগুলো।কুঁড়িগুলি সাদা রঙের হলেও ফুলগুলো কিন্তু ভিন্ন রঙের।তো আমরা হাওয়া মহলে পৌঁছে একটি ডিপার্টমেন্ট এর সামনে থেকে এই ফুলটির ছবি সংগ্রহ করেছিলাম।পিঙ্ক কালারের ফুলগুলি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিলো আর গাছগুলো লতানো টাইপের ছিল।যেটা দেখতে কিছুটা কলমি লতা গাছের মতোই লাগছিলো।তো পরের দিন শেয়ার করবো হাওয়া মহলের দৃশ্যগুলি, কারন বর্ধমান শহর হচ্ছে ইতিহাসে ঠাসা।
(চলবে--)
কিছুটা সময় ইউনিভার্সিটি ঘুরে দেখার অনুভূতি:
(চলবে--)
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,গোলাপবাগ |
আমার পরিচয় |
---|
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ অসাধারণ। পুরো ক্যাম্পাস টি জুড়ে বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছ পালা গুলোর জন্য একটু বেশি সুন্দর লাগছে। আশা করছি আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পড়াশোনা করে একদিন অনেক দূরে এগিয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে ইউনিভার্সিটিটি তৈরি মনে হচ্ছে। একদিনে ঘুরে দেখা সম্ভব হবে না মনে হয়। যাইহোক আপু আপনি তারপরও খুব সুন্দর করে ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ঠিকই বলেছেন এমন অনেক জিনিস আছে যা দেখলে বোঝা যায় যে আল্লাহর কি অপূর্ব সৃষ্টি। কলি গুলো আসলেই ভালো লাগছে দেখতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি তো দেখছি ইউনিভার্সিটিতে ভালো কিছু মুহূর্ত কাটালেন। ইউনিভার্সিটির আশপাশে ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মধ্যে এভাবে নিজেকে কিছু সময় দিলে অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দর করে মুহূর্তটি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit