হ্যালো! আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভাল আছেন। আমার পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। হাজির হলাম চেম্বার কথনের আরেকটা গল্প নিয়ে। আজকে আমরা শুনবো ভুল চিকিৎসায় ভোগান্তিতে ভোগা এক রুগীর গল্প। ওমানে ওষুধের দাম বেশী হওয়ায় এবং এভেইলএবল ডাক্তার না থাকায়, অনেকেই মোবাইলে কথা বলে দেশ থেকে ওষুধ নিয়ে আসেন কারও মাধ্যমে! অনেক সময় ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন অনেকে, অনেক সময় ওষুধ বিক্রেতার সাথে কথা বলেও নিয়ে আসেন ওষুধ। কোনটাই সঠিক পদ্ধতি নয়। মোবাইলে অনেক সময় সঠিক ডায়াগনোসিস করা যায় না। এরকম প্রক্ষাপটেই আজকের গল্প!
কফি শপে কাজ করেন উনি। বয়স ২৫-৩০ বছর এর মধ্যে। প্রাইভেট পার্ট এবং এর আশপাশের এরিয়ার চুলকানি! অত্যধিক চুলকানি! ওমানে ডাক্তার না দেখিয়ে দেশের একজন ফার্মেসীওয়ালার সাথে কথা বলে একটা মলন আনিয়েছেন কারও মাধ্যমে। দাউদের মলম বলে আনিয়েছেন মলমটা! লাগিয়েছেন সপ্তাহ খানেক। কোন উন্নতির লক্ষণ তো দেখেনই নি,বরং পুরুষাংগ, অন্ডকোষ, কুচকি এবং থাইয়ের ভিতরের দিক দ্গদগে ঘা এর মত হয়ে গেছে। এর পর এসেছেন আমার কাছে!
ইতিহাস নিলাম। দেখলাম আক্রান্ত জায়গা! পুরো জায়গাটা ভেজা, লাল এবং ঘা এর মত! উনি মলমটা সাথে এনেছিলেম। দেখলাম ওটা! কিসের জন্য মলম এটা? কারণ সেটা পরিচিত কোন মলম মনে হলো না আমার কাছে। বললেন দাউদের জন্যে আনিয়েছেন। আমি একটা মোবাইল এপ্লিকেশানের সাহায্যে দেখলাম ওটা কিসের মলম আসলে! ওটা ছিল আসলে মেসতার মলম! দাউদের জীবানু মারা কোন মেডিসিনই ছিল না ওটার মধ্যে! এবং ওটা ছিল বেশ পাওয়ারফুল মলম!
অন্য কোন কারণ না থাকায়, উনার তখনকার অবস্থার জন্যে ঐ ভুল মলম ব্যবহারই কারণ বলে প্রতিয়মান হলো আমার কাছে। তখন যে অবস্থায় ছিল, তাতে উনার মুল সমস্যা আসলেই দাউদ কিনা তা বলার উপায় ছিল না। সুতরাং প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসা দিলাম ঘা শুকানোর জন্যে। ফলো আপ এ আসতে বললাম দিন দশেক পর!
১০ দিন পর আবার এলেন উনি। ঘা শুকিয়েছে ততদিনে কিন্তু লাল লাল ভাব তখন যায় নাই। নতুন কিছু মলম এবং ট্যাবলেট লিখে দিলাম আবার। দেখা যাক পরবর্তী ভিজিটে ভাল কোন রেজাল্ট পাওয়া যায় কিনা!
আজকে এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো আজকে লেখাটি তা অবশ্যই জানাবেন কমেন্টের মাধ্যমে। ভাল থাকুন সবাই।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিরন্তর
ডা হাফিজ
ওমান
৪ঠা অক্টোবর,, ২০২৪