আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]

in hive-129948 •  28 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তবে সত্যি বলতে গেলে বলতে হবে মানসিকভাবে শান্তিতে নেই। এই মাসটা আমার জন্য এই বছর খুবই খারাপ ছিলো। সেটা যেমন মানসিকভাবে, তেমন শারীরিকভাবে, পারিবারিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে। এমন ভীষণ চাপে আমি কখনো পড়ি নাই, এটা একটা ভিন্ন অবস্থা। আজকে শুক্রবার স্পেশাল কিছু লেখার কথা থাকলেও খুব একটা কিছু লেখার ইচ্ছে না। সাধারণত নয়টা হতে সাড়ে নয়টার মাঝেই আমি পোষ্ট লিখে থাকি কিন্তু আজ এগারোটা বেজে গেলো তবুও পোষ্ট লেখার আগ্রহ পাচ্ছি না।

বাস্তবতা এক কঠিন জাল, আমরা ইচ্ছে করলেই সেই জাল বিদীর্ণ করে এগিয়ে যেতে পারি না। আমাদের সেই জালে আটকে থাকতে হয় নির্লিপ্ত হয়ে। সব সময়ই অক্টোবর মাসটি আমার জন্য বিশেষ সুখকর হয়ে থাকে, এবারও তেমন আশা ছিলো কিন্তু হলো না। আসলে সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা হতে আমরা কখনো বাহিরে যেতে পারি না এবং পারবো না, এটাই প্রকৃত কারণ এবং আমি ভীষণভাবে এটাকে বিশ্বাসও করি। দেখা যাক সামনে কি অপেক্ষা করছে এবং সেটাও কতটা সুন্দরভাবে গ্রহণ করতে পারি কিংবা মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। তবে একটা কথা অবশ্যই বলবো, সেটা হলো যা কিছু হয় বা ঘটে সবই আমাদের মঙ্গলের জন্য হয়ে থাকে।

night-7371349_1280.jpg

কখনো চিন্তা করেছেন, আমাদের হাতে আঙ্গুল কেন পাঁচটা? এখানে কেন ছয়টা কিংবা চারটা হলো না? সেদিন হঠাৎ অফিসে আলমিরার সাথে একটা খোঁচা খেয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথায় অনেকটা ডেবে যায়। সাথে সাথে অফিসের ফাস্টএইড বক্স হতে একটু তুলা এবং ভায়োডিন লাগিয়ে রক্ত পড়া থামাই। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিলো। কিন্তু তারপর ভীষণভাবে উপলব্ধি করলাম, প্রতিটি আঙ্গুল আমাদের পূর্ণতার জন্য কতটা জরুরী। যে কোজ করতে গেলেই সেই বৃদ্ধাঙ্গুলটি সামনে চলে আমি এবং সেই কাজটি কারতে ভীষণ বেগ পেতে হয়। অথচ আমরা কিছু হলেই অন্যদের জব্দ করতে এই আঙ্গুলটির ব্যবহার করে থাকি তুচ্ছভাবে।

বেশ নিদারুণভাবে বুঝতে পারলাম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে প্রদর্শন করা এই আঙ্গুলটির গুরুত্ব কতটা বেশী এবং এই আঙ্গুলটির ব্যবহার ছাড়া কতটা অসহায় মনে হয় নিজেকে। অফিসের বেতনের বিষয়ে নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না। হ্যা, গতকালের বিষয়টি অবশ্যই বলবো। আমার আম্মার বড় মামি মানে আমার বড় নানি। বলে রাখি আমাদের স্কুল ছুটির বেশীর ভাগ সময়ই আমরা নানির বাড়িতে কাটিয়েছি এবং বড় হয়ে এখনো কাটাই। আমি সাভার এ বাড়ি করার পর আমার নানি খুব গর্ব করে তার ছেলের বউয়ের কাছে বলেছিলেন আমার নাতি বাড়ি করেছে। এটা ছিলো তার খুশি হওয়ার অন্যতম একটা বিষয়। কিন্তু গতকাল ভোরে অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি পরকালে চলে যান।

মুহুর্তগুলো আমাদের কতটা অসহায় করে দেয় মাঝে মাঝে যা সত্যি আমাদের কল্পনায়ও হয়তো থাকে, যা আমাদের ভীষণভাবে অপ্রস্তুত করে দেয়। কিন্তু তবুও আমাদের কিছুই করার থাকে না, সময়ের গতির কাছে নিজেদের আত্মসমর্পণ করা ছাড়া। হয়তো এটাই আমাদের জন্য উত্তম, হয়তো এটাই আমাদের জন্য উপযুক্ত। যাইহোক, ভালো-মন্দ, দুঃখ-কষ্ট মিলেই আমাদের জীবন, এসব নিয়েই আমাদের গতিশীল থাকতে হবে এবং গতিশীল থাকার চেষ্টা করতে হবে।

Image Taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @hafizullah,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা গুলো পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কারণ আপনার প্রত্যেকটি বাক্য প্রত্যেকটি শব্দ খুবই বাস্তবসম্মত। আপনি এটা ঠিক বলছেন যে, আমরা যত চেষ্টা করি না কেন এই মায়া জাল ছেদ করে কখনো বেরিয়ে যেতে পারবো না। আমাদের মধ্যে জীবনের টান আছে দায়িত্ব আছে কর্তব্য আছে। শত চেষ্টা করলেও আমরা কখনো এড়িয়ে যেতে পারি না। জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের শরীরের প্রতিটি অংশ এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন প্রত্যেকটি অংশ আমাদের কোন না কোন কাজে ব্যবহৃত হয়। যা সৃষ্টিকর্তা এমনভাবে তৈরি করেছেন।

আপনার নানীর মৃত্যুর খবর শুনে খুব খারাপ লাগলো ভাই। আল্লাহ তায়ালা উনাকে যাতে জান্নাত নসিব করেন,সেই কামনা করছি। যাইহোক এটা ঠিক যে,আমাদের জীবনে যতকিছুই ঘটুক না কেনো,জীবনকে গতিশীল রাখতে হয়। নয়তো সবদিক দিয়েই অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।