হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। যদিও প্রকৃতির ভিন্ন রূপের কারনে সবাই বেশ দুশ্চিন্তার মাঝে রয়েছে, আবার পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম এই মাসেই নাকি একটা ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে। এমনিতে বৃষ্টি যা শুরু করছে তারপর যদি আবার ঘূর্ণিঝড় আসে তাহলে তো আরো বেশী সমস্যা তৈরী হয়ে যাবে। পরিবেশ এবং পরিস্থিতির কারনে সত্যি ভালো থাকাটা হয়তো আরো বেশী দুষ্কর হয়ে যাবে।
যাইহোক, হৃদয়ের টানে কলকাতার ইতিপূর্বে ১২টি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, আজ ১৩তম পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো। নিশ্চিয় মনে আছে আমরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল এর ভেতরের অংশ দেখা শেষ করেছিলাম। তারপর আমি সেখান হতে বের হয়ে আসি, তবে আমরা সামনের দিক দিয়ে বের না হয়ে পেছনের দিকে বের হওয়ার ভিন্ন একটা পথ রয়েছে সেদিক দিয়ে বের হই। কারন আমাদের উদ্দেশ্যে ছিলো যেদিক হতে এসেছি পুনরায় সেদিকে যাওয়া। সত্যি বলতে সেদিন আমাদের হাতে খুব বেশী সময় ছিলো না, যার কারন খুব দ্রুত সবগুলো ভিজিট করার প্লান করার ছিলো।
আমরা বের হতে গিয়ে দেখি সে দিকটাও বেশ সুন্দর এবং সেদিকে বাগান রয়েছে কিন্তু কিংপ্রস ভাই সেদিকে যেতে নিষেধ করলেন কেন নিষেধ করলেন সেটাও পরে বুঝতে পেরেছিলাম। তবে সেদিকটাও বেশ সুন্দর ও নিরিবিলি ছিলো। আবার ঠান্ডা পানি খাওয়ারও ব্যবস্থা ছিলো, যা আমি এর আগেও বলেছি। আমরা একটু বিশ্রাম করলাম এবং পেট পুরে ঠান্ডা পানি খেয়ে নিলাম। কারন হালকা খাবার খেয়ে আমরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। যদিও তখনও পেটে খিদা ছিলো। আমরা বের হয়ে সেই সুন্দর সবুজে ঘেরা পথটি ধরে আবার হাঁটা শুরু করলাম। আমাদের ইচ্ছে ছিলো সেই চার্চটা ভিজিট করার। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে সেটাও বাদ দিতে বাধ্য হলাম।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে সেই চার্চের সামনে আসলাম আবার, কারণ বাস হতে এখানেই নেমেছিলাম। গন্তব্য এবার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম। সেখান হতে অবশ্য খুব বেশী দূরে ছিলো না। যেহেতু আমাদের সাথে কিংপ্রস ভাই ছিলেন সেহেতু এটা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা ছিলো না। আমরা পুনরায় সেখান হতে বাসে উঠলাম এবং কাংখিত জায়গায় গিয়ে নামলাম। তবে এবার নেমেই বললাম কিছু খেতে হবে, কারন পেটে কিছু না থাকলে কোন কিছুই ভিজিট করে মজা পাবো না। তাই আমরা আবারও সিদ্ধান্ত নিলাম হালকা কিছু খাওয়ার। কিন্তু আরিফ ভাই ভাজা পুড়া কিছু খেতে চাইছিলেন না আর। তাই পুনরায় মিক্সড ফ্রুটস খেলাম আমরা, এগুলো সত্যি খেতে বেশ দারুণ ছিলো। অবশ্য আমি বরাবরের মতো তরমুজটা একটু বেশী খেয়েছিলাম এবং তাকে বলে দিয়েছিলাম যে আমাকে শুধু তরমুজ দেয়ার জন্য।
তারপর আমরা কাংখিত জায়গায় আসলাম অর্থাৎ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম। বাহির হতে খুব বেশী কিছু বুঝা যাচ্ছিলো না শুধু একটা বিশাল বিল্ডিং এর মতো মনে হচ্ছিল। আমরা টিকেট কাটার জন্য যথারীতি কিংপ্রস ভাইকে পাঠালাম। উনি টিকেট কিনে আনলেন এবং তারপর ব্যাগগুলো অন্য জায়গায় জমা দিতে বললেন। তখন আবার একটা বিষয় জানতে পারি যে, এখানে ফটোগ্রাফি করতে হলে তার জন্য বাড়তি টিকেট কাটা লাগে। কিংপ্রস ভাই দুটো এক্সট্রা টিকেট কেটেছিলেন যদিও কিন্তু আমি বললাম কোন রিস্ক নেয়া যাবে না, আরো দুটো টিকেট কিনতে বলি এবং সবাই ফটোগ্রাফি করার সুযোগ নেই। আমরা অবশ্য ভেতরে ঢুকে দেখতে পেয়েছি যে অনেকের ফটোগ্রাফি করার টিকেট চেক করা হচ্ছিল।
তবে এখানেও আমরা খুব বেশী সময় ব্যয় করার সুযোগ পাই না, দ্রুত আমরা প্রতিটি রুম ভিজিট করার চেষ্টা করলাম। এটা বিশাল একটা বিল্ডিং এর মাঝে ছিলো, সেটা ছিলো দুই তলা বিশিষ্ট। অনেকগুলো রুম ছিলো এবং প্রতিটি রুমই ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে সাজানো ছিলো। যদিও আমরা খুব বেশী ফটোগ্রাফি করি নাই, ভালো লাগার বিষয়গুলো শুধুমাত্র ফটোগ্রাফি করি তারপর সেখান হতে দ্রুত বের হয়ে আসি। আগামী পর্বগুলোতে মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল এবং ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে ১৩ তম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন ভাইয়া।আপনার ইন্ডিয়া ভ্রমণের সবগুলো পর্বই মোটামুটি পড়েছি।খুব আনন্দ করেছিলেন আপনারা ইন্ডিয়া তে ঘুরতে গিয়ে।মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি করতে আপনারা বাড়তি টিকেট নিয়েছিলেন রিস্ক না নিয়ে।নিয়ম মেনে ফটোগ্রাফি করে ভালো করেছিলেন নইলে ঝামেলায় পড়তে হতো হয়তোবা।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিংপ্রস ভাই ছিল বলেই আপনারা ভালোভাবে সব জায়গায় ঘুরতে পেরেছেন ভাইয়া। না হলে একা একা কোথাও যেতেও ভালো লাগতো না। আর অনেক ঝামেলায় পড়তে হতো। কলকাতায় গিয়ে অনেকটা সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit