হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত ভালো আছি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছি। যদিও পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুব একটা সুখে নেই, সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখে না কারন পত্রিকা কিংবা টিভি নিউজের মাধ্যমে সবাই সবটা জানতে পারছেন এবং বুঝতে পারছেন। কিন্তু যেটা পারছেন না সেটা হলো আমাদের মনের ভেতর থাকা নাজুক পরিস্থিতির ভিন্ন এক অনুভূতির কথা, হয়তো সেটা বুঝাতেও পারবো তেমনভাবে। যাইহোক, সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসুক, গতিশীলতা ফিরুক পূর্বের মতো এটাই এখন প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণ এর চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো আজ, যদিও পরিস্থিতির কারনে নতুন করে আর লেখার সুযোগ পাইনি এবং একটা অন্যরকম অস্থিরতার কারনে লেখার প্রতিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তৃতীয় পর্বে শেষ করেছিলাম কক্সবাজার আইকনিক রেলষ্টেশনে নামা পর্যন্ত। আমরা সেখান হতে একটু সামনে এগিয়ে গেলাম এবং কিছুটা সময় সেখানে অপেক্ষা করলাম। জায়গাটা ছিলো পার্কিং জোন, বিশাল জায়গাজুড়ে অনেক বড় আকারে এটা করা হয়েছে, বুঝাই যাচ্ছিলো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে এতোটা বড় আকারে এটা করা হয়েছে। বেশ সুন্দর লেগেছিলো বিষয়টি আমাদের কাছে। আমরা কিছুটা সময় নিয়ে সবাই মিলে গ্রুপ ফটোগ্রাফি এবং যার যার মতো সেলফি এ্যাকশন চালালাম। তারপর একটা অটো নিয়ে ডলফিন মোরে গেলাম।
এই ডলফিন মোর নিয়ে আমার মাঝে মেলা প্রশ্ন আছে হাঙ্গর এর ভাস্কর্য, এটা নিয়ে দুটো শংসয় তৈরী হতে পারে আমাদের এক আমরা ডলফিন কি জিনিষ সেটা চিনি না আর দুই মানুষকে ভয় দেখানো যে কক্সবাজার বীচে হাঙ্গর আছে। সুতরাং এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারি নাই যে এটা ডলফিন মোর। হাঙ্গর এর নামেও করতে পারতো অথবা যেহেতু ডলফিন মোর প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে সেহেতু ডলফিনের ভাস্কর্য বসানো যেতো। এর আগে আমি একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম যে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একবার এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। না না না আমি কিন্তু তাকে নকল করছি না, তার মতো আমার মনেও একই ধরনের প্রশ্ন উঠেছিলো, তাই শেয়ার করলাম হি হি হি।
যাইহোক, আমরা সেখান হতে নেমে সোজা চলে গেলাম আমাদের কাংখিত হোটেলে আরো একটা অটো নিয়ে। যেহেতু আমাদের হোটেল আগে থেকেই বুকিং দেয়া ছিলো। অবশ্য তখন ছিলো সিজন, খুব একটা পর্যটক ছিলো না সৈকতে এবং হোটেল গুলোতে। আবার তখন কিন্তু সমুদ্রে সিগন্যাল জারি ছিলো। অনেকেই আবার ভয়ে আসেন নাই সুযোগ থাকলেও। তবে আমাদের যেটা ভয় ছিলো সেটা হলো গরম এর মাত্রা, তখন কিন্তু বেশ গরম ছিলো। আমার যাওয়ার সময় বেশ টের পেয়েছিলাম গরমটা, তাই যাওয়ার সময়ই আসার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের বুকিং দিলাম যাতে আসার সময় গরমের স্থলে আরামের মাত্রাটা একটু বেশী থাকে হি হি হি।
আমরা হোটেলে যাওয়ার গলির মুখেই নেমে গেলাম, একটু চারপাশের পরিবেশটা দেখার জন্য। কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে আমরা কাংখিত হোটেলের সামনে চলে গেলাম এবং তারপর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সম্পন্ন করে রুমের চাবি নিয়ে উপরে উঠে গেলাম। আমাদের রুম দিয়েছিলো একদম উপরের দিকে, যেখান হতে সমুদ্রের ভিউটা খুব সুন্দরভাবে দেখা যায়। রুমে ঢুকেই একটু ফ্রেস হয়ে নিলাম, তারপর বিশ্রাম করে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাহিরের দৃশ্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। হোটেলটা ছোট হলেও ভেতরে মানে রুমের পরিবেশ এবং লোকেশনটা আমাদের দারুণভাবে পছন্দ হয়েছিলো, কারন রুম হতে বের হওয়ার আগে আমরা বাহিরের পরিবেশটা বুঝে নিতে পারতাম জানালায় দাঁড়িয়ে।
তারিখঃ মে ২৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ কক্সবাজার।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকে বলে কক্সবাজারে নাকি এখন বেশি ভীড় হয়। এই কারণে তাদের কাছে কক্সবাজার ভালো লাগেনা। কিন্তু ভাই বিশ্বাস করেন আমি বেশ কয়েকবার এখন পর্যন্ত কক্সবাজার গিয়েছি। আমার কাছে প্রতিবারই কক্সবাজার ভালো লাগে। বিশাল সমুদ্রের এই সৌন্দর্য আমাকে সব সময় টানে। আপনার পোস্টটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও প্রতিবার দারুণ এবং মুগ্ধকর মনে হয়েছে। ঝড়ের মাঝেও এবারের ভ্রমণটা দারুণ হয়েছিলো। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে দাদা থাকার জায়গাটা যদি অনেক বেশি কমফোর্টেবল হয়, তাহলে ঘোরাঘুরি করেও অনেক মজা হয়। তাছাড়া কক্সবাজারের মত এত সুন্দর একটা সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি করার জন্য একটু সুন্দর বিশ্রাম করার জায়গারও প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে এসি রুম নিয়ে আপনারা ভালোই করেছিলেন। আমার অবশ্য কক্সবাজারে যাওয়ার ইচ্ছা অনেক। তবে সুযোগ হয় না তেমন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা আপনি সঠিক বলেছেন, থাকার জায়গাটা ঠিক না হলে পুরো ভ্রমণটাই নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit