আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ শৈশব স্মৃতি ]

in hive-129948 •  9 hours ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি তবে গত কয়েক দিন ধরে বেশ চাপের মাঝে আছি। হঠাৎ করে অফিসের একটা প্রজেক্ট নিয়ে খাটতে হচ্ছে। আসলে অফিসে অন্যান্যরা তেমন একটা বাংলা লিখতে পারেন না, যার কারনে বাংলা বিষয়ক কোন প্রজেক্ট আসলেই আমার উপর সেটা চলে আসে। এর মাঝে আরো একটা চাপ তৈরী হয়ে গেলো, ছেলেকে গত নভেম্বর মাসে একটা সাইকেল কিনে দিয়েছিলাম, কিন্তু গতকাল বিকেলে সেটা বাড়ি হতে চুরি হয়ে গেছে। সামান্য অসতর্কতা বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এমনিতে দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না, চারপাশে চুরি ছিনতাই এখন স্বাভাবিক একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে এখন আমাদের একটু বেশী সচেতন ও সতর্ক থাকতে হয়। না হলে এমন অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই আমাদের সাথে ঘটে যেতে পারে, যার কারণে হয়তো আমাদের পরবর্তীতে অনেক আফসোস করতে হয়। এখন বাড়ির সবার মন খারাপ সাথে ছেলের এবং ছেলের নানীরও। সুতরাং বুঝতেই পারছেন অটোমেটিক্যালি চাপটা আমার উপরই এসে পরেছে। আমিও শান্তনা দেয়ার জন্য বলতে বাধ্য হয়েছি, ঠিক আছে যা হওয়ার হয়ে গেছে আরো একটা কিনে দিবো।

bicycle-1839005_1280.jpg

সমস্যা কখনো বলে আসে না বরং নীরবে সুযোগ বুঝে চলে আসে। তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে সতর্ক থাকতে হয়। আমার স্কুল জীবনেও একবার বাড়ি হতে সাইকেল চুরি হয়েছিলো। তখন অবশ্য সাইকেল অতো বেশী দামী ছিলো না, মোটামুটি প্রায় বাড়িতে সাইকেল ছিলো। কারণ তখন স্কুলগুলো খুব দূরে দূরে ছিলো, অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হতো। আর এখনকার মতো মা-বাবা স্কুলের ছেলে-মেয়ের হাতে টাকা দিতো না। যার কারণে উপায় ছিলো একটাই আর সেটা হলো সাইকেল। সাইকেল চালিয়ে আমরা হাট-বাজারেও যেতাম। তাছাড়া সড়কগুলোও এতোটা খারাপ মানে এক্সিডেন্ট হতো না।

সাইকেল চুরি হয়েছে শুনে ভীষণ খারাপ লেগেছিলো সেদিন আমারও তবে আমার বড় ভাই এবং বাবা এতো সহজে হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র ছিলো না। যেহেতু তখন আমরা সংরক্ষিত এলাকায় থাকতাম, তাই চারপাশের গেটগুলোতে লোক লাগিয়ে দিলেন এবং কোন নিউজ পেলে যেন তাদের জানান। তিন দিন পর খবর পাওয়া গেলো। এলাকা হতে বের করে এক দোকানে ১২০০ টাকায় সেটা বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তারপর আর কি, বড় ভাই এবং বাবা সেখানে গিয়ে বিস্তারিত বলে সাইকেল বাড়িতে নিয়ে আসলেন, তবে সেই লোককে ১২০০ টাকা দিতে হয়েছিলো, কারন উনি তো টাকা দিয়ে সেটা কিনে রেখেছিলেন। অবশ্য তার বিনিময়ে চোরের পরিচয় জানতে পেরেছিলাম।

তাদের বাড়িতে গিয়েও সেই বিষয়ে হৈ চৈ করা হয়েছিলো কিন্তু সেই টাকা আর আদায় করা যায়নি। যাইহোক, বিষয়টি হলো সমস্যা আসতে পারে এটা একটা আশংকা কিন্তু যখন আপনি অসতর্ক থাকবেন তখন সেটা আসবে নিশ্চিতভাবে। বাস্তবতাই এমন, আপনি যেখানে অপ্রস্তুত থাকবেন সেখানেই আটকে যাবেন, যেখানে অসতর্ক থাকবেন সেখানেই হতাশ হবেন। সুতরাং সমস্যা কিংবা নানা ঘটনা আমাদের নানাভাবে হয়তো সতর্ক হওয়ার সুযোগ করে দেয় কিন্তু আমরা যদি সেই সুযোগটা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই তাহলে হয়তো আফসোসের মাত্রাটা বেড়ে যাবে।

Image Taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাসা থেকে আপনার ছেলের নতুন সাইকেলটা চুরি হয়ে গেলো,জেনে খুব খারাপ লাগলো ভাই। দেশের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। ১ মাস আগে ড্রাইভারের ভুলের কারণে আমার একটা ছোট ট্রাক চুরি হয়ে গিয়েছিল ৩০ বস্তা তুলা সহ। পরবর্তীতে থানা পুলিশ করে গাড়িটা খুঁজে পেয়েছিলাম মালামাল সহ। যাইহোক সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সবার উচিত বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।