আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ শৈশব স্মৃতি ]

in hive-129948 •  9 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও মোটামুটি আছি এবং সব কিছু মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই আমাদের সয়ে যায়, যদিও সাময়িক সময়ের জন্য সেটা মেনে নিতেও আমাদের ভীষণ কষ্ট হয়। আর এই কষ্ট হতেই কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়। আবার যখন পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারি তখন আবার হতাশা দূর হয়ে যায়। এটাই হয়তো গতিশীল সময়ের নির্মম বাস্তবতা।

যেমন ছোটবেলার সেই সময়টা এখন কেমন অতীত, মনে সেই চঞ্চলতা আর আসে না। গতিশীল সময় সেটাকে নিদারুণভাবে অতীত করে দিয়েছে। অবশ্য তবুও মাঝে মাঝে সেই অনুভূতিগুলোকে স্মরণ করি এবং হৃদয়ের আবেগগুলোকে একটু বেশী গতিশীল করার চেষ্টা করি। সময়ের সবচেয়ে বড় আঘাত হলো যা চলে যায় তা নিয়ে দুঃখ করা এবং একটা আফসোস তৈরী হওয়া। যদিও চাইলেও আমরা সেই সুযোগটা আর তৈরী করতে পারি না, আবার সময় থাকতেও আমরা সেটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি না।

baby-5546144_1280.jpg

যাইহোক, আমরা বুঝি আর না বুঝি বাস্তবতা আমাদের নিকট হতে অনেক কিছু কেড়ে নিচ্ছে আবার অনেক কিছুর প্রতি আমাদের আফসোস বাড়িয়ে দিচ্ছে। যেমন বর্তমান এই বয়সে আমরা অতীতের ফেলা আসা সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি এবং ছোটবেলার সেই দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করি। কারণ সেই দিনগুলো আমাদের জন্য সেরা কিছু ছিলো সেটা এখন অনুধাবণ করতে পারছি। তেমন কিছু স্মৃতি আজকে শেয়ার করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমাদের সময় শীতকালে যেমন শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য স্কুলে ছুটি দিতো ঠিক তেমনি গ্রীষ্মকালেও ফলের স্বাদ নেয়ার জন্য স্কুলে ছুটি দিতো।

সেই ছুটিগুলো আমরা যার যার অবস্থান হতে ভিন্ন ভিন্নভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করতাম। যদিও আমার ছুটিগুলো বেশীর ভাগ সময়ে গ্রামীণ পরিবেশে উপভোগ করেছি। কারণ তখন মানুষ শহরের মাঝে নয় বরং গ্রামীণ পরিবেশে পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে ছুটির দিনগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করতো এবং গ্রামের বাড়িগুলোতে তখন ভিন্ন রকম একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী হতো। চাচাতো এবং ফুফাতো ভাইবোনদের নিয়ে দারুণ সময় উপভোগ করতাম তখন। সময়গুলো কেমন জানি আনন্দময় ও রঙিন হয়ে উঠতো। ছুটির দিনগুলো কেমন জানি দ্রুত ফুরিয়ে যেতো।

সুন্দর সময় উপভোগ করতাম বিষয়টি শুধু তেমন ছিলো না বরং পরিবারের সকলের সাথে আত্মীয় ও আত্মার বন্ধনটা আরো সুন্দর ও সুদৃঢ় হতো। পরিবারের অন্যদের প্রতি যেমন একটা আকর্ষণবোধ তৈরী হতো ঠিক তেমনি তৈরী হতো ভালোবাসা। আমরা গ্রাম হতে ফিরে আসলে সেটার একটা রেশ আমাদের মাঝে থেকে যেতো, আবার কখন স্কুল বন্ধ হবে এবং গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবো, এমন একটা অস্থিরতাও তৈরী হতে আমাদের মাঝে। একটু চিন্তা করে দেখুন তো, এমন পরিবেশ কিংবা অস্থিরতা কোনটাই কি বর্তমান প্রজন্মের মাঝে আছে বা সেটা কি তৈরী করা যাবে?

Image Taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

যখন বর্তমান কে পার করি তখন সেটা অতীত হয়ে যায়। যদিও বর্তমানকে আমরা এত বেশি গুরুত্ব দিতে অব্যস্ত নয়। কিন্তু যখন অতীত হয়ে যাই তখন সেই স্মৃতিগুলো বেশি মনে পড়ে। আমরা যদি মানুষরা এমন হতাম বর্তমানকে বেশি গুরুত্ব দিতাম তাহলে অতীত নিয়ে আমাদের আর হতাশা করতে হতো না। এমন কিছু স্মৃতি আছে যা কখনো আসলে ভুলে যাওয়ার মত নয়। বিশেষ করে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো বেশি মনে পড়ে যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা শৈশবের স্মৃতিগুলো পড়ে।

একটু চিন্তা করে দেখুন তো, এমন পরিবেশ কিংবা অস্থিরতা কোনটাই কি বর্তমান প্রজন্মের মাঝে আছে বা সেটা কি তৈরী করা যাবে?

এমন পরিবেশ কিংবা অস্থিরতা এখন একেবারেই নেই ভাই। ছোটবেলায় আমি নিজেও মামা এবং ফুপুর বাসায় যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যেতাম। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে তো সেদিনই চলে যেতাম বেড়াতে। তারপর উনারাও মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসতেন। সবমিলিয়ে দারুণ আনন্দ হতো। আর এখন আত্মীয় স্বজনদের বাসায় আসা যাওয়া সবারই কমে গিয়েছে। সামনে হয়তোবা আরও কমে যাবে। ছোটবেলার দিনগুলো সত্যিই মধুর ছিলো। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অতীতের এই মধুর স্মৃতিচারণ সত্যিই মনকে ছুঁয়ে যায়। সেই দিনগুলোর পরিবারকেন্দ্রিক আনন্দ এবং আত্মার বন্ধন আজকের প্রজন্মের জন্য অনেকটাই অনুপস্থিত। প্রযুক্তির যুগে আমরা সেই সরলতা হারিয়ে ফেলেছি। বর্তমান প্রজন্মের মাঝে এ ধরনের পরিবেশ তৈরির জন্য আমাদেরকেই সচেতন হয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। অসাধারণ লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।